ধ্রুব বাগচী-র কবিতা
তর্জনী
তোমার কথায় আজ্ঞাবহ হবো!
কাগজে কলমে, মুখেমুখে শুনি নৃত্যকলার খ্যাতি-
কি ভাবো নিজেকে, গোটা দুনিয়ায় তুমিই বাচস্পতি!
গ্রহ একটাই, কত ধর্মের বাস-
তবে কেন নয় সবার জন্য যথাযথ সম্মান,
বিক্রি হয়েছি, নিজের রক্ত নিজেরাই করি পান।
মুছি দশ আঙুলে সমস্ত পদবীকে-
দেখি কি ভাবে এবার তুমি অক্লেশে জেতো,
‘ফিরে এসো চাকা’ এখন জবাব দেবে তো?
ফ্লয়েডের নাম বিশ্বজুড়ে কোলাজ-
ফসলের ঘ্রাণে ভাত ডাল গান
অভিমানী,
আগামীদিনে তোমার হার অবধারিত জানি।
রামধুন শুনি আজান ক্রুশে ও পেরেকে,
এবার থোড়াই কেয়ার তোমার আধভাঙ্গা তর্জনীকে।
জন্মভুমিশচঃ
এসে গেছে পায়ের নখ থেকে মাথার চুল বিকিয়ে খুঁটে খাবার দিন।
তা থৈ য়্যাপগুলো মুছে দেবে মানুষের কলঙ্ক সব,
বাদ যাবে না জ্যোৎস্নাও-
ভাগ্যিস জুপিটার কিংবা মার্সে পিতামহ গড়েন নি বসত, ইঙ্গিতে বলতে চেয়েছিলেন, লজ্জাহীন লালসায় নিজেদের ঢেকে বিবস্ত্র পৃথিবী হবে একান্ত তোমাদের।
আমার জন্মভূমি, জননীর বুকে আজও ঘোরে পুরোন গানের রেকর্ড অবিরাম,
গাছের বিবর্ণ পাতায় লোভের ফলা লিখে চলে সন্দেহ রচনাবলী,
মধ্যাহ্ন সূর্যের মত একলা হয়ে দূরত্ব বজায় রাখি।
ভাবি, একটু পরে যদি ভোর ভোর ঘ্রাণ পাই,
অনলাইন ক্লাসে আজ পড়ানো হবে, জননী জন্মভূমি শচ: স্বর্গাদপি।