অরবিন্দ রায়-এর কবিতা
১)
ফড়িংয়ের আকাশ উড়ছে,
জলে লেগে থাকা গাছ-ছায়ায়
পাখিদের কোনো আয়না ছিল না।
ঢেউ এ সাঁতার কাঁটা অভ্যাস নেই
তাই উড়ে যেতে হয়।
তখনই ওপারে বালির ঝড় উঠছে ভেবে মাছেরা সাঁতার কাটে।
পালক খেলব তাই পাখি ওড়া দেখি
আকাশ নিয়ে ঘর করা মানুষ শূণ্য নিয়ে ভাগ বসায়।
২)
পর্দার গায়ে লেগে থাকা ছায়া ,
গত জন্মের আয়নার প্রতিরূপ ।
ইতিহাস এখন অতীত,পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে সময় লাগে।
খাপ খাওয়া টেলিগ্রাম শব্দ গুনে ইতস্ততঃ
এখন ভরা পেটে অলস খেলার বাহানা।
খুব ভোর বেলা পাখি ডাকেনি শুনে বিছানায় স্বপ্ন দেখি-
ছোট বেলা ফিরে পেতে,
গাছ-পাতার টাকা বানাব !
৩)
খুব অভিমান হলে স্বর কথার অভাব টের পাই
শিমুলের লাল যখন খোপায় পলাশ হয়,
আমার প্রিয় ফুল তোমার টিপ।
গাছে জল দেওয়া পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি।
এক টুকরো ছায়া চেয়ে নিলে
খালি বট পড়ে থাকে।
নানা রকম পাখি আসে আকাশি তৈরি করে।
ডানা দিয়ে ঝাপটা দেওয়ায ঘুম ভাঙে।
ঘরে ফিরে দেখি শুয়ে আছো আর গ্রিষ্মে বসন্ত এসে পরেছে।
শীতকালীন দেশে এভাবেই পাল তুলে নৌকা যায় আর মাঝির হাল এপার ওপার সমান্তরাল টানে।
৪)
আঙুলে চাঁদ এঁকে বসতি গড়ব ।
মই লাগিয়ে চালা বুনতেই ফানুস অমবস্যার কলঙ্ক।
পথে কল্পনা আছে ভেবে চিন্তাশীল হই-
স্বপ্ন দিয়ে মাকে ডাকি মামা এসেছে কিনা!
ছোটবেলায় একটা বেলুন কিনে উড়িয়েছিলাম বলে
নৌকা কিনে দিলে না আজও।
অভিমান-
বাবা আসবে তাই নদীপথ হতে দাওনি।
পরিবর্তে
একফালি তরমুজের গায়ে কালো বীজ কাগজের ওপর বর্ষা ঢেলে গেল।
৫)
কলা পাতার বাড়ি বানালে আর কিছুটা দুপুর আটপৌরে ।
পালকের মাটি হলুদ গোধূলির ব্যাকরণ—
হঠাৎ কিছু পাখি সেখানে ধুলো খেলতে আসে ।
অবশিষ্ট অট্টালিকাই তো গড়া হবে না।
সে একদিন লাল টুনটুনি এনে দিতে বলেছিলে
এখন উঠোনে খঞ্জনি বাঁকা পড়ে
সন্ধ্যা হলেই বৃষ্টি নামবে ।
আয়নায় বৃষ্টি হয়না বলে
একা টিপ ছিটকে গেলো না ,
ভিজলো না কলাবউয়ের কপালে।।