অমিত পাটোয়ারী’র কবিতা
বর্ণাশ্রমের কবিতা
যেসব দিনে চুমু হয় না
চাকরির কোনো কললেটার ব্লিং করে না
জাদুঘর বন্ধ থাকে
সেসব দিনে যে কবিতা লেখা হয়
তাকে বলে ব্রাহ্মণ্যবাদের কবিতা।
আর ঠিক সেইসব রাতেই এই সব কিছু
উল্টে যায়
ক্ষত্রিয়েরা চটপট লিখে ফ্যালে তাদের আস্ফালন
রেফ্ , ড্যাশ্ , চুমু , কললেটার
উপচে ওঠে
যেসব দিনে বনধ্ ভেঙে শাটার ওঠে
রবীন্দ্রনাথ আর দালি নিয়ে বিতর্ক বসে গাছঘরে
গাছের নীচে মেরি-গো-রাউন্ড ক’রে মানুষ দৌড়োয়
সেসব দিনের কবিতা হ’ল বৈশ্যের কবিতা।
সেইসব রাতেও কবিতা লেখে
ওই বৈশ্যরাই
হরিজনের কোনো বিশুদ্ধ কবিতা নেই
সিঁড়িহীন বাড়িতে
পাহাড়ের উপর একটা হলুদ বাড়িতে
এখন আমাদের ঘর।
আমাদের কোনো সিঁড়ি নেই
পাহাড়ের অমসৃণ ধাপগুলোই ব্যবহার করি আমরা
ছাদে উঠবার জন্যে—
ছাদে উঠবার এই অপ্রচলিত ব্যবহারকে নিয়ে
আমাদের মধ্যে মতের অমিল হয় প্রায়ই…
দু’জনেই মাঝে মাঝে ঘর ছেড়ে চলে যাই নিরুদ্দেশে
তারপর ফিরিনা… ফিরিনা…
আমাদের এই একলা থাকার সুখ সীমাহীন!
যখন আমি থাকিনা ,
রণবীর সিং শত বিপদ তুচ্ছ ক’রে পাহাড় ডিঙিয়ে
ওকে থামস্ আপ খাওয়াতে আসে ;
যখন ও চলে যায় ,
আমার বেডরুমে দশ টাকার লাক্স্ সাবান ঘষে ঘষে
করিনা কাপুর শরীরে তৈরি করেন অজস্র ফ্যানা
পাহাড়ে কুয়াশার মতো!
আমি দেখি। দেখতে থাকি…