সাত্যকি-র কবিতা
বর্তিকা
যে লিপি লিখে গেছে শিকড়
মেঘেদের থেকে দূর অন্তরালে
মাথায় উঠেছে লবণাক্ত কণিকার ঢেউ
তারপর জেগে উঠেছে আস্ত একটা সভ্যতার মশাল
একে একে শব্দরা জমে উঠেছে ভিড়ের ভারকেন্দ্রে
নেমে এসেছে কোথাও আলোয়ানের মত শরীর
আকাশের ঠিক নীচে এঁকেছে আরও একটা আকাশ
গড়ে ওঠা সভ্যতার ঢেউ শিকড়ের পিঠে
বাসা থেকে বাসা, হীন বাসা গড়েছে কত শত মুখ
যাদের শব্দের ভিড় আজও অপরিচিত থেকে গেছে
প্রবাহমান বাতাসের শরীরের কাছে দাঁড়িয়ে থেকেও
হাতের তালুর মত ছাদ ভেঙে গেছে রোদের পৃষ্ঠপোষকতায়
মায়াহীন বালির কাছে চুরমার হয়ে গেছে দিনের ঢেউ
আসবাব বাসন ভিজে গেছে জ্যোৎস্না নামক আদর বর্তিকায়
ছোটবেলা ও বৃষ্টির গল্পরা
ইটের গায়ে বালি সিমেন্টের ভিতর ঘাঁট কেটে
বসে আছে পিঁপড়ের দল
মেঘলা আকাশ হলেই ভেসে ওঠে গন্ধ বাতাসে
তারপর মুখে করে পিঠে করে স্থানান্তরিত
মিছিল আঁকে দেওয়ালের পিঠে
শুধু অভিযোগ থেকে যায় বাতাসে বাতাসে
কিচির মিচির শব্দের পরে আরও
শব্দ নিয়ে ধেয়ে আসে মেঘ
বৃষ্টি হয় ঠিক ছোটবেলার মত
ততক্ষণে, দেওয়ালের ওপিঠে নিভৃতে আসর বসেছে
আর ছোটবেলার ভয়গুলো পালিয়ে গেছে
দক্ষিণের বারান্দা থেকে নেমে যাওয়া খোলা সিঁড়ি ধরে…
দিনের গভীরে রাত
অপ্রয়োজনীয় শব্দটা এখন খুব কানে লাগে
বিকেল আসলে সকাল অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে
বিকেল নিয়ে ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যে নেমে আসে
প্রত্যেক দিনের গায়ে রাতের নাম লেখা থাকে
প্রত্যেক সকালের গায়ে লেখা থাকে শান্ত সন্ধ্যার গল্প
আমার বাবা একদিন প্রয়োজনীয় ছিল
পাড়া প্রতিবেশী আরও কোথাও কোথাও
আজ অপ্রয়োজনীয়
বিকেল এসে গেলে সকাল যেমন
আবার নতুন সকাল ঘিরে ধরে আমাদের চোখে