ধর্ম ও অধ্যাত্মবাদ – জ্ঞান এবং বোধ সম্বলিত দর্শন : সংযুক্তা পাল

ধর্ম ও অধ্যাত্মবাদ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রথমত ধর্ম প্রসঙ্গে প্রারম্ভিক যে কথাটা মনে আসে ধর্ম কি? দেশ কালের ধারাবাহিক নিয়ম অনুযায়ী বহু মানুষ ধর্মের বহু ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন; সাহিত্যিক ও দার্শনিক রঁল্যা-র মতে ধর্মের প্রকৃত মর্ম নির্ভীক সত্যানুসন্ধিৎসা, যা যে কোনো ত্যাগের জন্য প্রস্তুত।ধর্মের সঙ্গে জ্ঞান ও দর্শনকে একাত্ম করে তাকে ব্যাখ্যা করেছেন বিবেকানন্দ।আঠেরো শতকের যুক্তিবাদ যে সেকুলারিজমের তত্ত্বকে খাড়া করেছিল সেখানে ধর্মকে কেন্দ্রবিন্দুর বাইরেই রাখা হয়েছিল, কিন্তু বিবেকানন্দ দেখেছিলেন ধর্ম দায়ী নয়, দায়ী তথাকথিত ধার্মিকদের সঙ্কীর্ণতা, গোঁড়ামি, স্বার্থান্বেষী বুদ্ধি, অহমিকা ও মানুষের মনস্তত্ত্ব সম্বন্ধে অজ্ঞতা।সত্যিকার ‘ধর্ম’ কারো প্রতি কোনো বিষয়ে জোর আরোপ করেনা। সুতরাং জ্ঞান এবং ধর্মবোধ কোথাও অঙ্গাঙ্গী, পরস্পর সাপেক্ষ। অথচ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে সম্প্রদায়গত ধর্মীয় ভেদাভেদ প্রধান হয়ে দাঁড়ালে বুঝতে হবে প্রকৃত ধর্মবোধ এবং প্রকৃত জ্ঞান কোনোটা সেখানে অনুপস্থিত–খানিকটা ঐ ‘পুস্তকে মহাসাম্যবাদ’ আর ‘কার্যে মহাভেদবুদ্ধি’ আর কি।এখন প্রশ্ন হলো প্রকৃত ধর্ম বলতে কি বোঝায়? বিখ্যাত দার্শনিক এবং সমাজতাত্ত্বিক ক্যোঁৎ সর্বপ্রথম ‘Religion Of Man’ এর কথা বলেন, অর্থাৎ মানবধর্ম। কিন্তু মানবধর্ম বিষয়টা কি? তার উত্তরে যেটা অনায়াসেই বলা যায়, মানুষের যা ধর্ম—মানবতাবাদ; এই মানবতাবাদ বিষয়টার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যায় আরো অনেকগুলো শব্দ সত্য, ন্যায়, ঔচিত্য—প্রত্যেকটি শব্দই আসলে একটা বোধকে চিহ্নিত করে। মনুসংহিতায় ধর্মের দশটি স্বরূপের কথা বলা হয়েছে।পতঞ্জলির যোগশাস্ত্রেও বিষয়টি আলোচিত-

“ধৃতিঃ ক্ষমা দমোহস্তেয়ং শৌচমিন্দ্রিয় নিগ্রহঃ
ধীবিদ্যা সত্যমক্রোধা দশকং ধর্মলক্ষণম।”

সহিষ্ণুতা, ক্ষমা, চিত্ত সংযম, চুরি না করা, শুচিতা, ইন্দ্রিয় সংযম, ধী(বুদ্ধি), বিদ্যা(জ্ঞান), সত্য ও অক্রোধ।
(দ্রঃ–যদিও মনুসংহিতায় কিছুক্ষেত্রে ধর্মকেন্দ্রিক সংকীর্ণ ভেদ-বুদ্ধি তত্ত্বও চোখে পড়ার মত; পরবর্তী সময়ে বহু বিশ্লেষক আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যা অন্যত্র আলোচনা করা যেতে পারে।)

সুতরাং ধর্ম বিষয়টা মানুষের নৈতিকতার সঙ্গে জড়িত এমন এক বোধ যা তার অন্তরাত্মার অভিমুখকে ক্রমোর্দ্ধোমান করে তোলে; কিন্তু সেক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন এই ধর্মবোধ আর প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম এক নয়।স্বামীজিকে জাতিভেদ প্রথা সম্পর্কে একবার প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “জাতিভেদ সামাজিক প্রথা… ধর্মের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।” তাঁর একই ভাবনার প্রকাশ পাওয়া যায় অন্যত্র—”যে ধর্ম গরীবের দুঃখ দূর করে না, তাকি আবার ধর্ম? আমাদের কি আর ধর্ম? আমাদের ‘ছুঁৎমার্গ’, খালি আমায় ছুঁয়ো না, আমায় ছুঁয়ো না।”
প্রমথ চৌধুরী তাঁর প্রবন্ধ সংগ্রহ ‘ভারতবর্ষের ঐক্য’ তে ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী ধর্মের যে ধারণা প্রদান করেছেন তাতে ‘পারম্পর্য ক্রমাগত’ আর্য আচারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং ‘বেদ স্মৃতি সদাচার ও আত্মতুষ্টি’ সম্বলিত ধর্মশাস্ত্র ভবিষ্যতে আচারসর্বস্বতায় পরিণত হবার অনেকখানি সম্ভাবনা যে আপনা হতেই অর্জন করে নেয় তা বলা বাহুল্য।এ বিষয়টি আরো সুস্পষ্ট করা যায় প্রমথ চৌধুরী উল্লিখিত একটি দীর্ঘ উদাহরণের দ্বারা, যেখানে খৃস্ট ধর্মের ত্রি রত্নের কথা বলছেন তিনি—
“সে হচ্ছে খৃস্ট ধর্ম ও সংঘ: এবং খৃস্টিয়ান মাত্রেই নামমাত্র এই তিনের শরণ গ্রহণ করেন কিন্তু যুগভেদে এই তিনের মধ্যে এক-একটি রত্ন সর্বাপেক্ষা মহামূল্য হয়ে ওঠে।
প্রথম যুগে খৃস্টিয়ানের পক্ষে খৃস্টই ছিল শরণ্য। মধ্যযুগে খৃস্টের স্থান খৃস্টসংঘ অধিকার করেন এবং ইউরোপের মনোরাজ্যে একাধিপত্য স্থাপন করেন।সে সংঘ সে আধিপত্যের ভাগ খৃস্টকেও দেননি; ধর্মকেও দেননি। প্রায় এক হাজার বৎসর ধরে খৃস্ট সংঘ মানবের বুদ্ধি ও আত্মাকে সমান অভিভূত করে রেখেছিলেন শুধু তাই নয় সাংসারিক হিসাবেও এই সংঘ ইউরোপের রাজ রাজেশ্বর হয়ে উঠেছিলেন।এই সংঘ মানুষের তন মন ধনের উপর এই অসীম প্রভুত্ব অক্ষুণ্ণ রাখবার জন্য ধর্মের নামে কত যে অধর্মযুদ্ধের প্রবর্তন করেছেন তার প্রমাণ মধ্যযুগের ইতিহাসের পাতায় পাতায় পাওয়া যায়।”
‘এর পরবর্তী যুগে জর্মানি বাইবেলের আবিষ্কারের সঙ্গে নিজের আত্মারও আবিষ্কার করলে; মানুষে এই সত্যের পরিচয় পেলে যে ধর্মের মূল তার নিজের অন্তরে, ধর্মযাজকের মুখে নয়।খৃস্টের ধর্মের পরিচয় লাভ করে মানুষে খৃস্ট সংঘের সংস্কারের জন্য উৎসুক হয়ে উঠল। জর্মানির এই নবসংস্কারের গুনে ইউরোপের মানব শক্তি আবার অন্তর্মুখী হলো। মানুষ আত্মদর্শনের জন্য লালায়িত হয়ে উঠলো।’
এই আত্মদর্শনের চাহিদা থেকেই জন্ম নেয় অধ্যাত্মবাদ বা বলা ভালো অধ্যাত্মদর্শন।
ভগবানে বিশ্বাস এবং অধ্যাত্মবাদ কখনোই এক নয়।spiritualism যে একটি বোধ যা বিদেশি বই-এর সাহায্য ছাড়াও অক্ষয়কুমার দত্ত-এর ‘ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়’ বইটি অবলম্বনে ধারণা করা সম্ভব; সেখানে বিভিন্ন দর্শন সম্পর্কে আলোচনার নিরিখে সাংখ্য দর্শনকেও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সাংখ্য মতের প্রবক্তা মহর্ষি কপিল ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছেন কিন্তু বেদকে অস্বীকার করেননি, অতএব নিরীশ্বরবাদী হলেও নাস্তিক নন। ঋষি গৌতম এবং বিশেষত কণাদ অণু-পরমাণু তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন; পরমাণুই জগতের মূল পদার্থ যা পৃথিবীর আপন নিয়মে সৃষ্ট, অন্য কারো দ্বারা সৃষ্ট নয় তাই সেক্ষেত্রে জগত সৃষ্টিতে ঈশ্বরের ভূমিকা নাকচ, এঁরাও নিরীশ্বরবাদী কিন্তু বেদের প্রতি আস্থাশীল; অর্থাৎ এঁরা অণু-পরমাণুবাদের সাপেক্ষে বলা যায় প্রকৃতিতত্ত্বে বিশ্বাসী। প্রাকৃতিক শক্তির মধ্যে দিয়ে অধ্যাত্মবাদের বোধকে জাগ্রত করা। পরবর্তীকালে বেদের কর্তৃত্বকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিল বৌদ্ধ, জৈন, চার্বাকরা।
যদি অধি+আত্ম+বাদ=অধ্যাত্মবাদ হয় সেক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত মত নিজের অন্তর্গত সত্য বা আত্মগত প্রকৃতির অনুসন্ধান যার সঙ্গে অধিচেতনবোধও কোথাও সমার্থক হয়ে যায়।অধিবাস্তববাদ সে কথাই বলে।concious ও unconcious mind এর মধ্যবর্তী অধিচেতন যে অবস্থা সেই নির্জ্ঞান স্তর তাও নিজের ভেতরের একান্ত আত্মগত অংশকেই বাইরে টেনে আনে-তাকে বোঝবার জন্য এক স্বতন্ত্র সাধনার দরকার হয়। ভারতবর্ষের পৌরাণিক ইতিহাসে যোগ সাধনার কথা পাওয়া যায়, তাছাড়া চর্যাপদে উল্লিখিত বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনায় বোধহয় তারই প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়।ইরা-পিঙ্গলা-সুষুম্নার মাধ্যমে নিজ তন্ত্রীকে জাগ্রত করা।বৌদ্ধ ধর্মের দুটি পৃথক ধারা হীনযান ও মহাযান। হীনযান অন্তর্ভুক্তরা মনে করেন বুদ্ধ নির্দেশিত পথে বিভিন্ন আচার আচরণ ও নৈতিক ধ্যান ধারণায় অস্তিত্বকে শূন্যতায় পরিণত করা অপরপক্ষে মহাযান সম্প্রদায়ভুক্ত-এর মতে ‘বুদ্ধত্বের অর্থ শূন্যতা ও করুণার সমন্বয় স্বরূপ বোধি চিত্তের অধিকার লাভ’ এই দুই ভাবধারার সঙ্গে ক্রমে মন্ত্র, মুদ্রা প্রভৃতি তান্ত্রিক সাধনরীতি যুক্ত হওয়ায় নির্মিত হয়েছে বজ্রযান। বজ্র শব্দের অর্থ শূন্যতা।
“বজ্রযানী মত অনুসারে পরিপূর্ণ শূন্যতা, মহাজ্ঞানী বলিলে বুঝায় নির্বাণ।এই মহাজ্ঞানের নাম নিরাত্মা।নিরাত্মা দেবীরূপে এবং বোধিচিত্ত দেবরূপে কল্পিত হইয়াছে।বোধিচিত্ত যখন নিরাত্মায় লীন হন, তখনই হয় মহাসুখের উদ্ভব। চিত্ত যখন অচিত্ততায় মগ্ন অর্থাৎ ইন্দ্রিয় চেতনা হইতে মায়ামোহ যখন নিঃশেষে বিলুপ্ত, তখনই মায়াতীত বোধিচিত্তের উদ্ভব।”(‘চর্য্যাপদ’/মণীন্দ্রমোহন বসু)
বজ্রযান থেকেই উদ্ভূত সহজযান।এই সহজযান এর অন্তর্ভুক্ত সাধকেরা বজ্রযানের আচার আতিশয্যের পরিবর্তে দেহ-সাধনার মাধ্যমে সিদ্ধিলাভকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। বৌদ্ধ দর্শনের এই ধারাটিতে আচার আচরণ গৌণ, মুখ্য হলো ‘অন্তরস্থিত আবেগ-ভক্তির উজ্জীবন এবং রূপবিকৃত ভাবমোহ হইতে চৈতন্য স্বরূপকে উদ্ধার করিয়া অবিকল্প আত্মরতির আনন্দ-সম্ভোগ’। এককথায় চৈতন্যের সাধন ও জাগরণ।এই জাতীয় দর্শন-বোধকল্পে ভাব সমাধিস্থ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ তাই তাঁর ভক্তদের সম্ভবত ‘তোমার চৈতন্য হোক’ এমন বাক্যবন্ধনী ব্যবহার করতেন।তাই বলা বাহুল্য যে সহজিয়া সাধনা আসলে একটি দর্শন এবং এর ‘আচার-অঙ্গ ধর্মের পরিপোষক।’ মন্ত্রতন্ত্রের পরিবর্তে যে ধ্যান ও উপলব্ধিকে সহজিয়া সাধকরা ধর্ম সাধনার উৎকৃষ্ট পন্থা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন, পরবর্তীকালের বৈষ্ণব দর্শন সেই ভাবনার রসে জারিত ছিল তবে সেক্ষেত্রে চৈতন্য পরবর্তী যুগে গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শন অনুযায়ী জীবাত্মা-পরমাত্মা তত্ত্বের উদ্ভব ঘটেছিল নতুবা চৈতন্য পূর্ববর্তী সময়ে তা বিশেষ দেবতার আকারকে সামনে নিয়ে লোকায়ত কিংবা মানবীয় প্রেমভাবকে অনেক বেশি বহন করে, সে প্রসঙ্গ বিশদে আলোচনা করার অবকাশ এখানে কম।গীতাকে যদি আধুনিক কালের বিজ্ঞানসম্মত এবং বাস্তব রাজনৈতিক দর্শনের দলিল হিসেবে আধুনিক পর্যালোচকরা মনে করে থাকেন সেখানে জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ, কর্মযোগ ইত্যাদি ‘যোগ’কে দেখানো হচ্ছে, অতএব সহজেই মনে করা যেতে পারে যে ঈশ্বর আসলে ‘অভীষ্ট’ এবং এই ‘যোগ’গুলি অভীষ্টে পৌঁছনোর কতগুলি মার্গ। হিন্দু ধর্মের ধর্মগ্রন্থ প্রতিম এই গ্রন্থটিই প্রমাণ করে দেয় যে ধর্ম একটি দর্শন। স্বয়ং বিবেকানন্দও হিন্দু ধর্মকে একটি দর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পক্ষপাতী ছিলেন। বেদান্ত দর্শনকে আত্মস্থ করেই তিনি বলেছিলেন “সেই ধর্ম শুধু ব্রাহ্মণ্য বা বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা মুসলমান হবে না।সেই ধর্ম সব ধর্মের সমষ্টিরূপ হবে… পৃথিবীর সব নরনারীকে তা আলিঙ্গন করবে।” (১৮৯৩, ১৯ সেপ্টেম্বর, শিকাগো ধর্মসভায় “অন হিন্দুইজম” পেপারটি পড়বার সময়কালীন বক্তব্য) যা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মতে পরবর্তীকালে রচিত ‘স্বাধীন ভারতীয় সংবিধানের সেকুলারিজমের তত্ত্ব’কেই (‘কেন বিবেকানন্দ/চার্বাক বক্তৃতামালা – ১, ১৭ নভেম্বর ২০১২) সূচিত করে দেয়।ধর্ম কথাটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ধৃ ধাতু থেকে; ‘ধৃ’ ধাতুর সঙ্গে ‘মন’ প্রত্যয় যোগে এর অর্থ নিষ্পন্ন হয়, অর্থাৎ যা ধারণ করে কিংবা যা ধারণশক্তিসম্পন্ন। ঋগ্বেদের ভাষ্যে পাওয়া যায় “ধর্ম ধারকং কর্ম” সুতরাং সমগ্র বৈশ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতিকে কিংবা সৃষ্টিকে যা ধারণ করে রাখে তাই ধর্ম।

ব্যক্তি মানুষের নৈতিক বোধ তথা জীবনদর্শন নিজেকে এবং তার পারিপার্শ্বিকতাকেও ধারণ করে।সেদিক থেকে পৃথিবীর সুস্থ সামাজিক অস্তিত্বকে সুসংহত করাই মানবধর্মের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।”Religion is the heart of a heartless world” যতক্ষণ না ‘রিলিজিয়ন’ শব্দটা ক্ষুদ্র অর্থগন্ডীতে নিজেকে সীমাবদ্ধ করছে; যখনই তা ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে কূপমণ্ডূকতায় পর্যবসিত হবে তৎক্ষণাৎ বিপদ, আর এই ধারণক্ষমতা তথা ধর্মের বৃহদার্থ লাভের পথই হলো অধিস্তরে নিবিষ্ট আত্মমগ্ন যে সত্তা সাধনার মাধ্যমে তার বিকাশ ঘটানো।এই আত্মচেতনার জাগরণ বা অধ্যাত্মবাদের প্রকৃত সুস্পষ্ট দর্শনকে উপলব্ধি করতে পারলে রাজনীতি ধর্মের দ্বারা অন্তত মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবেনা এটুকু নিশ্চয়তা দাবি করা যায়।

[লেখক – কবি, গল্পকার, গীতিকার। পেশায় শিক্ষিকা]

Facebook Comments

Leave a Reply