রথীন বণিক-র কবিতা
রথীনের অষ্টোত্তর শতনাম
যোনি পূজার মন্ত্র
আঁধারে তির মেরে মেরে সঠিক খেলুড়ে যেদিন হব অবশ্যই আমি আমার মায়ের সাথে সেক্স করব
যখন খুশি যোনিতে লাথি মেরে মুখ থেতলে দিয়ে এনে দেব চরম সুখ যা কখনও বিধাতাও দিতে পারেনি বিধাতিনিকে ডাকিনি ভেবেই ছুঁয়ে দেখা হল না লাল মাংস চাটি মেরে সবুজ বাগান হল না ছুরি দিয়ে কমলালেবুগুলো কেটে বাটিভর্তি রক্ত আমার পান করা উচিত ছিল জানি না উটের মতো রসুন তুলে ভিনিগারে মাখিয়ে প্রখর রোদে কেন ভেজে নেওয়া গেল না মা আমার বাড়া ধরো যত ইচ্ছে চুমু খাও আমাকে প্লিজ মেরে ফেলো না
প্রথম আলোর ভাষারীতি
বিষাক্ত দাঁত দিয়ে খেয়ে নেব বোনের ভগ্নাঙ্কুর এতে আমার অংশীদার প্রথম কেউ আমায় প্রশ্ন করো না খেয়ে যেতে হয় অল্প মুদ্রায় উপোসী বোনটার কাকভেজা চিবুকে আমিই পারি ইস্ক্রু দিয়ে নব যৌবন টেনেহিঁচড়ে বের করে আনতে আমাকে প্লিজ দাদাঠাকুরের মতো সহজপাঠ চিনিও না গুদ চেনাও চেনাও টপ টপ ভিটামিন
যৌবন বৃদ্ধির দোয়া
আমার প্রেমিকা কখন বীর্যে ঢুকে গিয়ে তার আগায় বিটনুন মাখিয়ে খেত আমার জানার কথা নয় গ্রাম প্রধান দু বেলা মেয়ে দেখলেই ভেতর ভেতর চোদবার ইচ্ছা কতটা বহন করছেন অতএব তিন সন্ধ্যা আমি খুব নিরীহ পত্নী যেভাবে আমার প্যান্ট খুলে কচি লিঙ্গটাকে বড় করত আমি দেখতাম আমার কৈশোর যৌবন এভাবেই দিনের পর দিন পত্নী প্রেমিকা গ্রাম প্রধান মুচকেরানা অমুকে তমুকে দেখলাম শরীরটা নিজে থেকেই বড় হল কত প্যান্ট ভেসে গেল নতুন নতুন শুক্রাণু ডিম্বাণুর আরাধনায়
সম্যক জ্ঞান
চুতিয়া ঈশ্বর ভেসলিন মেখে আয় তোকে ঢোকাই
অতো ভাবিস না খুলে ফেল ঢ্যামনামো বুদ্ধি তোকে চুদি বেদের শ্লোক আওড়াতে আওড়াতে হিট উইকেট হওয়া মাগিদের আজ ছুটি দেব সারা রাত আয় তবে সহচরী শৃঙ্খলা শেখাই বরাভয়দাত্রী পাছায় এ কেতাবমারানি ঠাপ কাকে বলে দেখে যা
বিক্রম বেতাল
খুন ধারালো ছুরি নিয়ে ভিটামিন তার কোলের সদস্য প্রোটিনগুলোকে মেরে ফেললো আমরা হাততালি দিলাম গ্যাজেটে লেখা হল কয়েক কাপ চায়ে মৃত ভিটামিনের প্রাণ সংশয় গ্রুপ ডিএর কর্মীদের মাসের পর মাস বাড়ি বসে শুধু দড়ি নিয়ে টুল দেখা বাকি সরকার দুধের শিশু বিস্কুট খাচ্ছে এখন খেতে দিন বড় হলে ঘুষি মারবেন শিরা ধমনী কলকব্জায় সবার আগে হৃৎপিণ্ড দেখা যাক
বঙ্গদেশের কৃষক
সব মেয়ে দেখলেই শুতে ইচ্ছে করে মাথা খারাপ হয়ে যায় মনে হয় মাগিদের মতো এতো মিনমিনে কবিতা লেখা একধরনের বদ অভ্যাস চাকরিরত সবারই ভেতরের কুত্তা শোষণ করতে চায় শ্রেণীহীন সমাজ ব্যবস্থার লাউগুলো জিভের সামনে লক লকিয়ে ঝোলে এই তুই তুমিই কি চাও চিনি কৃষকেরা আত্মহত্যা করুক এ সব ডানা কাটা শব্দদের দেখে দেখে
সোনার কেল্লা
মালিক চলে গেলে এসে যেত ঘর মোছার আদব কায়দা মালিকের বৌ মানেই আমার আমার বৌ মানেই মালিকের ক্ষেতে আমার বীর্য মালিকের স্ত্রী স্তনখানা খুলে দিয়ে বলতো লিপি বোঝো অবাকরুমে স্তন মানেই দুধ দুধ মানেই ছেলেবেলা পাশের বাড়ির আন্টির প্যান্ট পরাতে পরাতে দেখে নেওয়া বিপ্লব
ভাতকাপড়
দীর্ঘদিন এক মেয়ের সাথে ও সব করতে ভালো লাগে না তাই তো রেপ প্রথম প্রথম বড় প্রয়োজন
কবজি ডুবিয়ে শরীর খাওয়া
তালাক এ জন্মে
ও জন্মে অনেক দিয়েছি দেব
হেজে যাওয়া মুখকে ভালো রাখার স্বার্থে
হুজুর আমি রোজ এক মেয়ে গিলবো না
আমার নতুন নতুন চাই
একদম ফ্রেশ
দেখতে দেখতেই যেন
পৃথিবীর উপরিভাগ আমার খাওয়া হয়ে যায়
সাধারণত এইসব ব্যাপারে একেবারেই চুপ থাকি কারণ যারা এগুলো করে তারা কোনো যুক্তিতর্কের আলোচনায় যেতে চায় না পূর্বঅভিজ্ঞতায় দেখেছি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে না বলে পারছি না আর যাই হোক কবিতা হয়নি। স্ল্যাঙ্ ল্যাঙ্গুয়েজ, ফ্রি সেক্সুয়ালিটি, decay এসব ভাবনার সাহিত্য মন দিয়ে পড়লে বোঝা যায় তারও মধ্যে একটা প্লেজার (আক্ষরিক অর্থে নয় বরং সাহিত্য আলোচনার ক্ষেত্রে প্লেজার বলতে যা বোঝায়) থাকে, শিল্পবোধ থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেউ বলতেই পারেন শিল্পবোধকে ভাঙতে চাওয়া হয়েছে কিন্তু সেই ভাঙারও একটি শিল্পবোধ থাকে।এক্ষেত্রে অসংলগ্ন শব্দ নির্বাচন, ভীষণ নড়বড়ে বিষয়ের ভারে পাঠককে চমকানো গেছে হয়তো কিন্তু ‘কবিতা’ হয়নি। লেখাগুলির গায়ে ‘কবিতা’ নামক স্টিকারটি সাঁটা না থাকলে কোনো অসুবিধাই ছিল না। কে কী লিখবেন তা আমি ঠিক করে দেওয়ার কেউ নই। স্ল্যাং, ফ্রি সেক্সুয়্যালিটি নিয়ে আমার কোনও ট্যাবুও নেই। কিন্তু লিখতে বাধ্য হলাম বেশিরভাগ লেখাই ভীষণ অ্যাবিউসিভ যা একজন সচেতন নাগরিকের কাছ থেকে কাম্য নয়। আর কবিতা না বললেও লেখাগুলির কিছু এসে যায় না। ফলে না বলাই ভাল বলে মনে হয়।