মৃণালিনী-র কবিতা

ঈশ্বরের জুতো ও রোমিং বারান্দা








রাত আগলে পড়ে থাকে পাশের দেওয়াল
চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভাতের ফ্যান
জেলি বরফ আগলে হাতের নোয়া নড়ে ওঠে
ভোরের মেঘেরা রোজ ছিনিয়ে নেয় সাদা ভাত
নদীর চড়ায়
          পাটখেতের জঙ্গলে
             ভাতের গন্ধ
বাবাকেও নিয়ে গিয়েছে কোন এক সূর্য না ওঠা সকালে
রাতের মিছিলে গুমনাম লোকেরা হেঁটে চলেছে
শতাব্দীর পর শতাব্দী
নতুন উদ্যমে
পায়ের কাঁটায় রক্ত প্রলেপে মমতা মেখে দিচ্ছেন মা
আমরা যাকে নারী বলে চিহ্নিত করেছি…







যাকে ভালোবাসতে অথচ আগলে রাখতে পারোনি
যাকে পেয়েছিলে অথচ দম্ভে হারিয়ে ফেলতে চেয়েছিল মন
যাকে আগলে রাখতে ব্যর্থ সব প্রয়াস
যাকে ভুলতে চেয়ে ভুলে যাবার ছলনা মাত্র
যাকে কষ্ট দিতে চেয়ে যন্ত্রণায় স্মৃতিচারণ
যাকে হারিয়ে শূন্যতা, ভিড়ের মধ্যেও শূন্য অনুভূত মন
যাকে ছেড়ে এসে সাত পাকে ছুটে চলেছ গোল গোল।

তাকে তুমি ভুলে যাওনি কোনদিন
যার অস্তিত্ব দিনে সোনালি রাতে জ্যোৎস্নায় মোহময়ী
যার খেয়ালে তুমি
তোমার অস্তিত্ব জুড়ে আলোকিত ভুবন
তুমি আজও তারই আছো
সময়ের মায়া ঘাতক ছুরিতে অবিছিন্ন মনের বন্ধন
ভালোবাসার অনুভূতি হাওয়ায় মেশানো প্রাণবায়ু
ব্যর্থ তোমার ছেঁড়া যন্ত্রণার সেলাই
নীরব অভিমানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ শিশুর মত আত্মসমর্পণ।







যার ভাব ছিল না অথচ ভাষায় শতগুণ আগুন
যার চিন্তা ছিল না অথচ চেতনায় বুভুক্ষু ফাগুন
যার প্রেম ছিল অথচ প্রেমিক ছিল না
যার ভালোলাগা ছিল অথচ ভালোবাসায় নিশ্চুপ দহন
তাকে তুমি গৃহপালিত করতে চাইছ? চারাহীন!
আগুনের শিখায় যতটা লাল থাকে,
সমর্পনের কলঙ্ক চাঁদে নীলবিষ থেকে যে দ্বিগুণ
জীবনের ধারাপাত খুলে দ্যাখো
স্তব্ধতার প্রতিবাদে মর্মর প্রাসাদ ভাঙে
জলছাপে মেকী নাটক খসে
তবুও, মুখোশের কারুকার্যে এ জীবন রঙিন!

Facebook Comments

Leave a Reply