গল্প : চৈতালি দাস

খাঁচা

মেজ বউয়ের বন্ধ দরজার সামনে এসে সুমিত্রা হাঁক পাড়লো, কই গো মেজো গিন্নি, পড়ে পড়ে আর কতো ঘুমোবে! মানুষের রোগ হলে তো চোখ থেকে ঘুম উবে যায় শুনেছি, আর এ মেয়ে মানুষকে দেখো, যেদিন থেকে রোগ ধরা পড়েছে, ঘুমিয়েই যাচ্ছে। যেন সাত জম্মে ঘুমোয় নি কো। যখ্খনই খাবার থালা সাজিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে ডাকবো, উনি লাল চোখে হাই তুলতে তুলতে খিল খুলে বেরোবেন। বলি, খিদে তেষ্টা সব কি উবে গেছে!
বড়ো জা’র বাজখাঁই গলা শুনে অনুরূপা যেই না খুট্ করে খিল খুলে ঘর থেকে বেরোতে যাবে দুপুরবেলা , সঙ্গে সঙ্গে সুমিত্রা ভাতের থালাটা ঠক্ করে দরজার সামনে রেখেই তড়বড় করে উঠোন পেরিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে পড়বে। ছোট বেলায় ‘কুমির ডাঙ্গা’ খেলার মতো, সুমিত্রা যেন বরাত জোরে কুমিরের মুখ থেকে বেঁচে গেছে।

ছোট দেওর সুরাত থেকে ফেরার পর তার জামা কাপড় কাচা, ব্যাগ পত্তর ধুয়ে মুছে রাখার দায় পড়েছিল অনুরূপার উপর। ছোট জা, রমা, তার ছোট দু ছেলে মেয়েকে নিয়ে আগের দিনই পাশের গ্রামে বাপের বাড়ি চলে গেছে, ছেলেমেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে। বড় ভাসুরের ছেলে, রাজু, মস্ত কলেজে পড়ে, ব্রাইট ফিউচার, তার বাবা এ বাড়ির মাথা, চাষবাস সামলে সব্বার ‘খেয়াল’ রাখতে হয় তাকে। আর তাদেরকে দেখাশোনা করে বড়ো জা, তাদের জীবন কি কম দামি!
কাজেই পড়ে রইলো অনুরূপা, বিধবা, বাঁজা মেজবউ। তার আবার সুরক্ষা কিসের! এক হাতে আঁচল চাপা দিয়ে ঘর দুয়ার, উঠোন,খামার সাত সকালে ঝাঁট দিয়ে, সারা বাড়ির রান্না যখন তাকে প্রায় একাই সামলাতে হয়, এই কাচাকুচির কাজও যে তাকেই করতে হবে, এ আর নতুন কি! দশ বছর ধরে দু বেলা নিরামিষ খাওয়া শরীরে অনুরূপা যতটুকু শক্তি ধরে রাখতে পেরেছে, তা দিয়ে জীবন, জীবানু দুয়ের সাথে কতক্ষন লড়াই চালিয়ে যাবে, তা চিন্তার বিষয়।

অবশেষে ‘করোনা’র করুণায় অনু’র ‘অবসর’ মিলল! হেল্থ সাব সেন্টার থেকে দিদিরা এসে বলে গেছে, আলাদা ঘরে রাখতে। পাঁচ দিন হলো অনুরূপা ঘরবন্দি। ঘুস্ ঘুসে জ্বর আর গলায় ব্যাথা তার ক্লান্ত শরীরে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারল না। শ্বাস কষ্ট? সে তো তার বহু দিনের নিত্যসঙ্গী, যেদিন থেকে সাদা সিঁথিতে ঘোমটা টেনে কাঠের উনুনের ধোঁয়ায় চোখ ভিজিয়েছে। অথচ, বাড়িতে প্রায় বছর পাঁচেক হলো রান্নার গ্যাস এসেছে। কিন্তু সেটা টুকটাক প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার করতে মানা।
এখন অনু ভোর ভোর উঠে, বাইরের ছোট্ট বাথরুম ঘুরে, সার্ফ জলে সেই জায়গা ধুয়ে, ভিজে কাপড়ে সেই যে ঘরে ঢোকে, তারপর বেলা আড়াইটায়। মাঝে খিদে পেলে কৌটোয় রাখা ঘরে-ভাজা মুড়ি আলগোছে মুখে ছুঁড়তে ছুঁড়তে জানলা দিয়ে তাদের বাঁশবাগানের দিকে তাকিয়ে থাকে।

খিড়কি দিয়ে সোজা বেরিয়ে বাঁশবাগান, তার মধ্যিখান দিয়ে সরু রাস্তা গিয়ে উঠেছে অনুদের পানের বরজে। তার বাঁ পাশে পুকুর। পুকুর কাটিয়ে সেখান থেকে মাটি তুলে বরজের জমি উঁচু করতে হয়। ভিতরে জল দাঁড়াবার জো নেই। কাঠফাটা রোদ আর বাইরের ঝুট ঝামেলা থেকে পানগাছকে আগলে রাখতে বরজ পাটকাঠি দিয়ে মাথা সমেত চারদিকে চৌকো করে ঘেরা, ঘরের মতো, যেন ছোটবেলায় বন্ধুদের নিজের হাতে বানানো কালিঠাকুরের প্যান্ডেল। পাটকাঠির ফাঁক দিয়ে রোদ্দুর এসে ঠিকরে পড়ে পানের তেলা পাতায়। তাদের কচি সবুজ গায়ে ঝিলিক খেলে যায় । ফাঁকা ফাঁকা হয়ে দাঁড়ানো লতানো গাছ গুলো কঞ্চির গা বেয়ে জড়িয়ে ছাদ ছাপিয়ে উঠতে চাইলে তাদের গোড়ায় আরো মাটি চাপিয়ে,যেন শাসন করে ,তাদের বাড়বৃদ্ধি রুখে দেওয়া হয়। এসব অবশ্য শোনা কথা অনুর। বছর খানেক আগেও একবার বরজ দেখার মৃদু প্রসঙ্গ তুললে, বাড়ির সকলে রে রে করে উঠেছে, মেয়ে মানুষের আবার বরজ দেখা কি!
সুমিত্রা মুখ বেঁকিয়ে তার সাথে আরো জুড়ে দিয়েছে, ওই তো শখ দেখিয়ে একটা পাতিলেবুর গাছ পুঁতে ছিলে খামারে, তিন বছর সমানে দাঁড়িয়ে, একটা ফুলও তো আসে নি। এমন হতভাগীর দেখছি নিঃশ্বাসেও বিষ!
গাছটা অনু শখ করেই পুঁতেছিল, ফলের আশায়। জা’য়ের কথার ঝাপটায় লেবুগাছের কাঁটাগুলো এসে বিঁধল তার গর্ভ যন্ত্রে, যা নিঃসন্তান হৃদয়কে এখনও মাঝে মাঝে রক্তাক্ত করে তোলে।

আজ বাঁশবনের দিকে তাকিয়ে অনু যেন দেখতে পেল, তার ঘরের মানুষটা মাথায় মিঠে পানের বোঝা নিয়ে এগিয়ে আসছে তার দিকে তাকিয়ে, মুখে অদ্ভুত হাসি। অনুর মনে এক ঝলক আনন্দের শিহরণ বয়ে গেল। কিন্তু তার পরেই দেখল পায়ের নীচে শুকনো বাঁশপাতার আড়ালে আড়ালে একটা কেউটে সাপ হিস হিস করে এগিয়ে আসছে। বুকটা ছ্যাঁত্ করে ওঠে তার। ভয় পেয়ে কালো খাটের স্ট্যান্ড টা আঁকড়ে ধরে। তপ্ত কপালটা খাটের ধাতব শীতলতায় একটু স্বস্তি পায়।
অনুর মনে পড়ে, বিয়ের সময় তার বাবা বাঁশের কঞ্চিতে চিকন সুতো ঘুরিয়ে মাছ ধরার চাক-জাল বুনতে বুনতে বলেছিলেন, দ্যাখ অনু, জাল বোনার কষ্টের টাকায় এই খাট টুকুই তোকে যৌতুক দিতে পারবো, সংসারের জাল টুকু নিজের হাতে শক্ত করে বুনে নিস্। অনুরূপা কাঁঠাল কাঠের তক্তপোশ থেকে শয্যা পাতলো রট আয়রনের খাটে।

পাঁচটা বছর যেতে না যেতেই কেউটের বিষ তার খাটের একমাত্র ভাগীদারটাকে কেড়ে নিয়ে তাকে একলা করে দিল। গা গতরে খেটে, বাড়ির লোকের মন যুগিয়ে এত কাল চলে এলেও এই অভাগীর ঘরবন্দি কপালে সারাদিনে জোটে কেবল এক থালা ভাত আর ডালের জল, সঙ্গে বড় জা’র আমিষ বাক্যবাণ। তাই স্বামীর মৃত্যুর পর পুরো বাড়িটাই যেন পানের বরজ মনে হয় অনুর, বিষ নিশ্বাস নিয়ে তার প্রকৃত অন্দরে প্রবেশের কোনও অধিকার নেই।

পরের দিনও সুমিত্রা গলা উঁচিয়ে ভাতের থালা ঠুকে বসিয়ে হাঁক পাড়তে লাগল। দরজা খুলে কেউ আর বেরিয়ে এলো না। দু দণ্ড অপেক্ষা করার পর কোন আওয়াজ না পেয়ে, ভ্রু দুটো কুঁচকে, কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে সুমিত্রা, ও মাগোওওও, বলে উঠোনের দিকে তড়িঘড়ি হাঁটা লাগাল। মায়ের চিৎকারে রাজু ঘর থেকে বেরিয়ে এলে সুমিত্রা বলে, ওরে কে কোথায় আছিস হেল্থ সেন্টারে খবর দে, তারা এসে যা করতে হয় করুক বাবা। ছোট দেওর, স্বপন, এই সময়টায় খেয়ে দেয়ে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাইরের দিকে বেরোয়। বড় বৌদির হাঁকডাকে থমকে গেল সে।এক ঘন্টার মধ্যে হসপিটাল থেকে লোক এলো। সঙ্গে পুলিশ। দরজা জোরে ঠেলতেই খুলে গেল। অনুরূপার অসাড় শরীরটা খাট থেকে স্ট্রেচারে তুলতে তুলতে অদ্ভুত পোষাক পরা স্বাস্থ্য কর্মী তার পুরু গ্লাভস্ এর ভিতর দিয়েও টের পেল রক্তের ধারা ক্ষীনস্রোতে এখনও বয়ে যাচ্ছে। বন্ধ চোখের ভেতর তারাগুলো মিটিমিটি কাঁপছে। বিস্মিত কয়েক জোড়া চোখকে হতাশ করে অনুরূপাকে স্ট্রেচারে চাপিয়ে ‘প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে’ বলতে বলতে, তারা অ্যাম্বুলেন্সে স্টার্ট দিল। গাড়ির আওয়াজ মিলিয়ে যেতেই ঝেঁপে বৃষ্টি নামল। জলের অভাবে নিস্তেজ হয়ে পড়া লেবুগাছটা খামারে মনের আনন্দে একা ভিজতে লাগল।

জেলা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের কোভিড উইং এর বেডে অনুরূপা আরো ক’দিন বেঘোরে পড়ে রইলো। জ্ঞান ফিরতে টের পেল বাঁ হাতে খুব ব্যাথা। হাত বোলাতে বুঝতে পারল স্যালাইনের নল। চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখল একই রকম বেশ কিছু নল ঝুলে রয়েছে ঐ ঘরে, নলের শেষ প্রান্তে একই রকম মানুষ। একটু থিতু হবার পর ঘোর কেটে গেলে অনুর ভালো লাগল। কিছুক্ষণ অবাক হয়ে চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখল। সে এর আগে কোনোদিন হসপিটালে আসেনি।
অচেনা চেহারা গুলোর সঙ্গে ভাব জমাতে, মুখ ফিরিয়ে পাশের বেডের দিকে তাকিয়ে বলল, ও দিদি, হসপিটালের জামা পরে কেমন যেন অন্য অন্য লাগছে, ছোটবেলার ইস্কুলের মতো, সবার এক ড্রেস। অন্য বেডের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলল, জানো, এই ক’দিনে আমি মরে গেছি না বেঁচে আছি তাই টের পাই নি। যেন মনে হচ্ছে নতুন জীবন পেলুম। সবাইকে চুপচাপ দেখে সে আবার বলে, তোমরা কেউ কিছু বলছো না কেন গো ? আমার কিন্তু কথা কইতে খুব ইচ্ছে করছে – আ, দূর দূর, শুয়ে শুয়ে কি আর কথা বলা যায়! বলতে বলতে সে উঠে বসার চেষ্টা করল।
তার সরল আন্তরিক ভঙ্গিতে তাল মিলিয়ে পাশের দু জনও উঠে বসে গল্প জুড়ে দিল। বাকিদের সঙ্গে সে কথা বলে জানল তাকে অন্য ঘর থেকে আজই এই জেনারেল বেডে এনেছে। তারা অনুকে আরো বলল, দিদি, হসপিটালের স্টাফেরা বলাবলি করছিল, অদ্ভুত তোমার জীবনীশক্তি।
অনু বলল, ও রোগের কথা একদম ভেবো না তো, দেখবে তোমাদের ও কিচ্ছুটি হবে না।
অনু বলে চলে, বাড়িতে আমার কথা শোনার লোক নেই গো। কিছু বললেই শুধু টিকিস টিকিস ক’রে বাঁকাচোরা উত্তর দেয়। তাই মুখে কুলুপ এঁটে থাকি, বুকে জাঁতা চাপিয়ে। আহারে, আমার সাপে কাটা স্বামীটাকে যদি ওঝার কাছে না নিয়ে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে এখানে নিয়ে আসত, কি জানি, হয়তো বেঁচেই যেতো। তাহলে আমাকে আর এমন জাঁতা কলে পিষে মরতে হতো না।

কোভিড উইংটা হসপিটালের অপর প্রান্তে, অন্য গেট দিয়ে ঢুকতে হয়। বাইরে অপ্রয়োজনীয় ভীড় একেবারেই নেই। ভিতরেও রোগী ছাড়া গুটি কয়েক নার্স, ডাক্তার আর দু একজন হসপিটালের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মী। অনু জেনারেল বেডে ট্রান্সফার হয়ে এসেছে আজ 16 দিন হল। হসপিটালের এই পরিবেশে অনুর বাড়ির থেকে অনেক ভালো লেগে যায়। তাই জেনারেল বেডে আসার পর থেকে অন্য সহরোগী আর হসপিটালের স্টাফ দের সে যত কথা বলেছে, বাড়িতে গত এক বছরেও বোধহয় বলেনি। সব স্টাফরা রোগীদের কাছে তাদের গলার আওয়াজেই পরিচিত, মুখ ঢাকা পোষাকে তাদের চেনার আর অন্য উপায় নেই। ওয়ার্ডে নার্সের সঙ্গে একতাড়া রিপোর্ট হাতে ঢুকতে গিয়ে অনুরূপার গলার আওয়াজ শুনে ওয়ার্ড মাস্টার কমল সামন্ত থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে। এই ক’দিনে অনুর সরল চনমনে ভাবভঙ্গি তাকে সহজেই আর পাঁচ জনের থেকে আলাদা ক’রে চিনিয়ে দেয়। যেন একগাদা জংলি ঘাসের মধ্যে লাল হলুদ রঙা রাংচিতা ফুল। বুনো, তাই কদর নেই। মধ্যচল্লিশের অবিবাহিত কমল অনু’কে দেখলে কেমন যেন সামান্য অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে। আগে তার সাথে বেশ কয়েকবার কথা বলার সময়ও এমনটা হয়েছে। অনুও বোঝে সেটা। সেও কি তার চশমার আড়ালে চোখ দুটোর মধ্যে নিশ্চয়তা খুঁজতে চায়নি ?
নার্স অবন্তী একটু দূরে দাঁড়িয়ে বলে, অনুরূপা বাড়ুই, তুমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। আর তিন দিন পরেই তোমায় রিলিজ করে দেওয়া হবে। জানলার দিকে চোখ দুটো ভাসিয়ে দিয়ে অনু বলে, আমি এখানেই ভালো ছিলুম। ওদের কাছে আমি তো মরা মানুষ! আপনারা ছেড়ে দিলে আমি আকাশের পাখি হয়ে উড়ে যাব, যেদিকে দু চোখ যায়। সংসারের ওই খাঁচায় বন্দী থেকে থেকে তারের ভেতর দিয়ে মাথা গলিয়ে যতবার উড়ে যাবার চেষ্টা করেছি ততবারই গলার পালকগুলো খসে খসে ভেতরের চামড়ায় ঘা হয়ে গেছে।
কমল পেছন ফিরে গুন গুন করতে করতে বেরিয়ে যায়, ‘.. ধরতে পারলে মন-বেড়ি দিতাম তাহার পায়…..’

অনুরূপা বাড়ুই এর রিলিজ এর দিন সকালে কমল সামন্ত আসে তার পুরোনো মোটর বাইকটা নিয়ে। অনুরূপার রিলিজ অর্ডার হাতে নেয়, খুব ইচ্ছে করে তার পাশে এসে বলে, অনুরূপা, আমার ছোট উঠোনে অযত্নে পড়ে থাকা তুলসী মঞ্চটায় প্রদীপ জ্বালানোর কেউ নেই, যদি তোমার মতো কেউ এগিয়ে আসতো, আগুনের ফুলকি হাতে!
নাঃ, ইচ্ছেটা হাজার দ্বিধার আগল পেরিয়ে জিভের ডগায় আর পৌঁছাতে পারে না কমলের।
তার হাত থেকে হসপিটালের প্যাকেটটা টেনে নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে অনু বলে, চলি, আপনি সাবধানে থাকবেন ।
কোথায় যাবে অনুরূপা?
কোথায় আর যাবো! আমার লেবু গাছটা যেখানে সবার চোখের আড়ালে মাটি আঁকড়ে পড়ে আছে, যে মাটিতে আমার ঘরের মানুষের ছোঁওয়া মিশে আছে, সেখানেই …
অনু পা বাড়ায়।
কমল খানিক চুপ করে সেদিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর আপনা থেকেই গুনগুনিয়ে ওঠে, ‘…মন, তুই রইলি খাঁচার আশে, খাঁচা যে তোর তৈরী কাঁচা বাঁশে…’

অচিন পাখি উড়ে যায় বাঁশবাগানের ছায়া ঘেরা তার চেনা খাঁচায়, যার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পানের অগম্য বরজ।

Facebook Comments

Leave a Reply