অরূপরতন ঘোষ-এর কবিতা
প্রজাতান্ত্রিক কবিতা . ৩ . কথা কবিতা
খানিক থমকে আছি, নক্ষত্র ভ্রমণের মাঝে
এই একবার.. নতুন লেখায়
কে এমন ডাক দিয়ে গেল –
সূর্যাস্তে, ভাড়া বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে
সমুদ্র গর্জন শোনা গিয়েছিল কিনা
এমন জটিল প্রশ্নে শরীর অসাড় করে
চলে গেল কে?
এখন সন্ধ্যায় বাড়ি নিশ্চুপ, থমথমে।
কিছুই কী করার নেই এখন –
এরোড্রোম ছাড়িয়ে চলে গেছে সঙ্গীত মুখর সন্ধ্যা..
ছোটো ছেলে পড়তে বসেছে। পাশে মা।
প্রজাতান্ত্রিক কবিতা . ৬ . সকাল
অনুমোদন থেকে একটা শব্দ এনে বসাও –
তুলে আনা সকালের শব্দের মত
নানান অস্বস্তির মধ্যেও এইখানে
নারকেল গাছের ছায়া কিছু আছে, রাস্তায়
যে যায় সে নিশ্চয়ই কেরানি –
রাজমিস্ত্রীর দড়ি ও পাকানো লাট্টুর মধ্যে
ফজল আলির আনা আপ্রাণ সব্জির মধ্যে
সকালের তুলে আনা শব্দের মত
একটা শব্দ বসাও
এই রান্নাঘরে, মশল্লা বাঁটা হচ্ছে যখন
প্রজাতান্ত্রিক কবিতা . ১৮ . ফরেস্ট বাংলো
কাচের গঠন দেখে আশ্চর্য হই
সেরামিক নীলের আবেশ দেখেছি আগেও, তবু
প্রায় এক সাংকেতিক রং
যুদ্ধকালীন বেতার তরঙ্গ যেন জ্বলে ওঠে
সতর্ক সন্ধেবেলায়
বেতের চেয়ারে এসে লাগে
বাংলোর বিবশরূপ –
ঠিক বোঝা যায় না
হরিণ পালিয়েছে জিপ থেকে, না কি
কেউ তির ছুঁড়ে হত্যা করেছে নীলগাই –
এসব প্রশ্নে রেঞ্জার সাহেব বিব্রত হন
আমিও সুযোগ বুঝে এগিয়ে দিই পানীয়ের গ্লাস
নিঃশর্ত জ্যোৎস্নার দিকে!