আলিউজ্জামান-র কবিতা
গণিতভাবনা
মানুষ পেয়েও না – বলা আলবিদায়
মৃত্যুর মত,
একলা এবং ভিড় এই দুই পরিপূরকের
মধ্য দিয়ে এলোপাথাড়ি তোমার
হেঁটে যাওয়া।
রাত পোশাকে সেফটিপিন গুজে
খসে যাওয়া হলুদপাতা পর্যন্ত।
আর যা কিছু গুটিয়ে যায় কলাপাতায়
কৌটোমৌটো খুলে তাকে তুমি পেতে চেয়েছো
দুটো ফুটকির পৌনপৌনিকতায় ফেলে আসা
পাঠ্য বইয়ে।
ছাতাবৃত্তান্ত
(১)
ঘরোয়া টোটকায়
আল তারঙা পা
মুছে মুছে
পা মুছে মুছে
মলমাস দাগিয়ে রাখে মা
ক্যালেন্ডারে,
তারপর ঘ্যানর ঘ্যানর
পুকুরডাকা সকালে
যতদূর ছাতা খোলে
ততদূরই মেঘ।
(২)
গভীর রাতে বাচ্চার কান্নায়
ভাঙা ল্যাম্পপোস্ট
লুকিয়ে রাখে রাত্রির নিশানা।
টিকটিকি গুছিয়ে রাখে মেঘ
তার রঙিন পালকে পালকে
একটি ছাতা গুনে গুনে রাখে
বৃষ্টির ফোঁটা।
ইস্কুলঘর
স্বর্গে যাওয়ার প্রত্যেক সিড়িতে
ক্যামেরার ফ্ল্যাশ তুলে রাখছে
প্রত্যেকের হাসি।
এখান থেকে পর্দা দিয়ে ঘেরা একটা রিক্সা
চলে গেছে কিছুটা দূর…
ভিতরের খবর কেউ রাখেনি
শুধু জিজ্ঞেস করতেই
দূরবীনের বিরুদ্ধে রুলটানা খাতায়
আলো ভেঙে ভেঙে যতদূরে রামধনু
রাখা হয়।
ততদুরেই কমলালেবুর খোসা ছাড়িয়ে
একটা চাঁদর নিয়ে গেছে আমাদের
শীতকাল।
এই টুকুই বলে আরেকটু এগিয়ে গেলো রিকশা।
এখন যা কিছু বলার নয় তা অতিক্রম করতেই
হাতে হাতে পাচার হয়ে যায় ঠোঙায়মোড়া
আমাদের ইস্কুলঘর।
পাখি
কাছে আসা এবং
দূরে যাওয়া…
পার্থক্য বলতে
এইটুকুই
ফিনিক্স পাখির ছায়
বার বার বারণ করা
সত্বেও
পাখি হয়ে যায়!
সংরক্ষণ
ইটপাঁচিল তুলতে থাকে বাড়িগুলি।
রাস্তার কুকুর আপনাআপনিই চিনে নেয়
তার পথ।
যেমন জল ফেলার অভ্যেস চিনে নেয়,
পুরনো বন্ধুদের হাতচিঠি।যেমন দলিল চিনতে শেখে তার যাবতীয় টিপছাপ।
এসব লেখার আগে ,
ধবধবে ব্যান্ডেজের তলায় লুকিয়ে থাকুক
বর্ষাকাল।
বর্ষাকাল মানেই সংরক্ষণ…
Facebook Comments