টুম্পা সাহা-র কবিতা

আপোষ

আলোক বৃত্তের কাছাকাছি হলেই,
মাথায় দামামা বাজে;
অন্ধকার আসক্তি বাড়ায়,
অযথা শব্দ ভাঙে আবহ।

পিচ্ছিল রাস্তা চলে একটানা।
কখনো গহীনতা টানে,
পাশ ফিরে যাই খাদের দিকে,
আপোষহীন একঘেয়ে।
নির্লিপ্ততা;

মায়াময় গভীর অন্ধকার,
বাড়তে থাকা হাত
থাবা বসায়।
শরীরে কাটাকুটি নিয়ে
ফিরে চলি।

দৃষ্টিহীন, গন্ধহীন, স্পর্শহীন
প্রেমহীন আলোহীন
মাটির টানে।

করগুনে

আমার জন্য এ জীবন নয়,
এমন বৈষয়িক
হাঁফ ধরানো
পথ অন্য কারো।

এত কঠিন বাস্তব
আমার না।
ওই পাহাড় প্রান্তর
বেয়ে চলে
যে নদী

যেমন
থমকে দাঁড়ায়,
পাথরে কেটে
রক্তাক্ত শরীর,

উচ্ছল উৎশৃঙ্খল,
সর্বনাশী।
মর্জিতে ধেয়ে
চলা উন্মাদিনী

তোমাদের ধূসর‌
পথ চলা,
করগুণে
শব্দ প্রয়োগ,
পা ফেলা
তোমাদেরই থাক।

এ জীবন এমন না।।

বিষাক্ত গলিপথ

এ শহরের বিষাক্ত গলি পথ
এখন চেনা।
নোনা ধরা পূরোনো দেওয়াল
বেয়ে বটের ঝুরি,
দুর্গন্ধে ভরা কাদা মাখা রাস্তা

চিনেই চলি।
কবেকার সেই গল্পে শোনা
পাতার টুপটাপ
বেগুনী পাড় শাড়ি

গহীনের হাতছানি
উপেক্ষিতই পড়ে থাকে

Facebook Comments

Leave a Reply