সুব্রত সরকার-এর কবিতা

অথ রহস্য রাক্ষস, কথা

১.

ঠিক দুক্কুর বেলা পানগাছের ছায়ারা হেঁটে বেড়ায়।
যাঃ, তা আবার হয় না কি?
হয়। যেবার চাঁদের শকটে করে ছেলেরা বারুদ নিয়ে
এসেছিলো, স্বপ্নের আলোয় ভেসে
যাচ্ছে চরাচর, যশোর রোডের দু’পাশের সেই গাছগুলিকে কারা
কবে কেটে সাফ করে দিয়েছে—
তারপর কপালে ব্যান্ডেজ বেঁধে তবেই তো রক্তপড়া আঁটকালাম।

২.

আজ আমার জন্মদিন। মন সকাল থেকে
ধূপের ধোঁয়ার মতো এলোমেলো হয়ে উড়ছে নানা ভালো
চিন্তায়, সু-সংস্কৃতির ভিতর, একটা সুন্দর গন্ধও
যেন টের পাচ্ছি, কিন্তু অন্য কারুরতো তা বোঝার উপায় নেই—
তারা কেবল আমার মন-কে তার মতো করেই কল্পনা
করতে পারে, তাহলে এই পৃথিবী যা একটু একটু করে প্রতি মুহূর্তে
বদলে যাচ্ছে তাকেও অনেকদিন পরে মনে হবে কারুর
কল্পনা, যেন মেঘের নিচে একটুকরো সোনার কল্পনা নিজে এসে
ফিরে গেছে চাঁদের দাগের মতো অতিদূর এক কল্পনায়।

৩.

আমি মনে মনে লাউডগার হাত চেপে ধরি, তোমার তো চোখ
নেই তবু এতটা বুকে হেঁটে আমার জানলার
গ্রিলের গায়ে স্প্রিংয়ের মতো আঁকশি বের করে জড়িয়ে ধরে
আলো খাচ্ছো কিভাবে? চুপ করে থাকলে হবে না—
কারসাজিটা বলো, তোমার মাথাই নেই, তবে এত বুদ্ধি
কৌশল শিখলে কোথায়? সেই অন্ধকারে কি
গান আছে, ভালোবাসা, রিপু, জীবন-তিয়াসা, অশ্রু—
বলো, না হয় ফিসফিস করেই বলো।

Facebook Comments

Leave a Reply