সুমন কুণ্ডু-র কবিতা

‘খোঁজ’




এক ।

একটানা নদীমাতৃক দেশে আটক একঘেয়ে দুটো লাইন। পারাপারের তিনটে নৌকা। পাশে জল। ভেসে উঠছে মাছের চোখ। ছিপের সাথে দোস্তি করতে গিয়ে দেখি বঁড়শির বাক্সের পাশে গুটিসুটি মেরে পড়ে রয়েছে চিরুনি। সেলুনে কতরকমের চিরুনি দেখেছি। চিরুনির সাথে জল, জলের সাথে স্নানের নিবিড় যোগাযোগ আছে। স্নানদৃশ্যের অনেকগুলো জানলা খুলে আসলে মনে পড়ে তোমার সহজ ভঙ্গিমাগুলো। গামছা মাথায় ডলার পর চিরুনির প্রতিটা দাঁতের আঁচড় অবিন্যস্ত, অনিচ্ছুক চুলগুলোর আব্রু কীভাবে ফিরিয়ে দেয়।



দুই ।

হতে পারে দাঁড়িয়ে আছি। খালি রাস্তা, নিঃসঙ্গ ফুটপাত। কোথাও কেউ নেই বলে কথাদের রাত হয়ে এলো। একটা রোগা হাওয়া তড়পাতে তড়পাতে বয়ে চলেছে   একা হলেই চিন্তাগুলো দু’টুকরো ভাবো ?                        ভাবো, ভাঙা বোতাম! মন আসলে জোনাকি। অন্ধকার এবং আলো। ভিড় খোঁজে, অথচ ভিড়ের মাঝে পুরনো তারিখের মতো একলা হতে চায়! বিড়বিড় করে নিজের কথা একলা। যতটা নিরবচ্ছিন্ন তোমাকে দেখা যায়…



তিন ।

হেমন্ত আসে, আসতেই থাকে। দিনের পর দিন। বেলা-অবেলা শিশিরের ভার। সপ্তাহব্যাপী ঘুম ঘুম আসে, কাশফুলের সবকিছু গুলিয়ে যায়। সময় পেলে জানাবো, পিছনে পড়ে আছে যেসব দুলতে থাকা স্বপ্ন। রাত ভারী লাগে। অদ্ভুত একটা মাকড়শা এঁকেবেঁকে কী জানি কী জাল বোনে! মুখ দিয়ে লালা ঝরায় আঠার মতো। কী করবে সে! ভাবতে ভাবতে তোমার হঠাৎ ঘুম আসে, কথা নেই। চুপ হয়ে গেলে ভয় হয়।

Facebook Comments

Leave a Reply