সোনালী ঘোষ-র লেখা
গহ্বর
কথা ছিল, মেঘ ভাঙা বৃষ্টির শেষ ধারাপাতে
ধুয়ে দেবো সকল এলিজি
তোমাকে আর কখোনো অপেক্ষায় কাটাতে দেবোনা
বর্ষা শিকার করে আমরা, মুখোমুখি বসব
মিথের জানালায়।
অবিরত মুগ্ধতার ছাঁটে চঞ্চল হয়ে উঠবে
নিরর্থক হতে থাকা ডজনখানেক শীতার্ত সংলাপ…
আমার জানা নেই কেনো শ্রাবণের মেঘে তালা
তোমার আমার দূরত্বে চুপ করে ঘুমায় অচঞ্চল ছায়া।
সব দৃশ্য একে একে হয়েছে চুরি
মরা খাতে অবেলার ভাতঘুমের মত পরে আছে
অগাধ জীবন।
ডিভাইস
জ্যোৎস্নাস্নান সেরে আসি ঘুমের ঠিক আগে
ধীরে ধীরে রাত হয়ে উঠি।
বনময়ূরের নীল গ্ৰীবায় ঝুলিয়ে দেই আমাদের রসায়ন।
এখন সারারাত শীতকাল।
ঘড়ির কাঁটা সারারাত পাহারায়,
সমগ্ৰ অলিন্দ জুড়ে একঘেঁয়ে
নিরিবিলি।পিয়াসী জোনাকি ও
ঝুরোঝুরো নক্ষত্র থেকে শুষে নেয় আলো;
রাত জাগা পাখির ডানায় ওমের গন্ধ ঘণীভূত….
আরো নরম হয়ে উঠি, এ অসীম রাতে,
গুহার তলদেশে দেখি
বহুকাল আগে ফেলে যাওয়া এক হিংস্র থাবার দাগ…
অন্তত ভেবেছি তাই
তুমি এসেছিলে ভরা বসন্তের শেষে
দাড়ি কমা না দিয়ে বাঁধিয়েছিলে আপসে দ্বন্দ্ব
এক গভীর ঘুমের মধ্যে এ জন্ম কেটেছে
রেশম চুলের মাঝে বেঁধেছি উন্মাদ নদি,
অন্তত ভেবেছি তাই।
ওয়াড্রোবের ভেতর লুকিয়েছি আর্তনাদ
এভাবেই কাটবে দিন
অন্তত ভেবেছি তাই।
ভাঙা মেঘের গর্জন ছড়াচ্ছে চারদিক
এই তো একমাত্র সন্ধিক্ষণ যে কারোর সাথে কথা বলে না
একাকী আত্ম মৈথুন ফেলে রেখে যায়
আর বারবার মিথ্যে প্রমান করা যায় নিজেকে।
Posted in: May 2020 - Cover Story, POETRY
অন্তত ভেবেছি তাই- এটা বেশি ভালো লাগলো।