সিন্ধু সোম-র কবিতা
একটি সংলাপ (কুত্তা ও চরাচরে) অথবা স্বগতোক্তি…
(১)
আমাকে বুঝতে পারো?
ছিরকুটে ত্রেতা
একটু লাজুকভাবে ঝুঁকে ও নেতিয়ে
ঘামে তার স্যাঁতসেঁতে সময়
দুলে দুলে
কেটে দিতে থাকে কুমড়ো ফুলের গোড়া বা
হাঁড়ি, ডিং হয়ে থাকা ক্যাথারসিস
আদি ঘা…সচ্ছ্বলতার বনবিনা ও লালতমা গলা ভাত
এই বসন্ত…এই দগদগে পোকা ঘা…তোমার সামনে মেলে ধরলাম…
আজ তবে একটি শব্দ দেবতার মাথায় ঠ্যাং তুলে পেচ্ছাপ করে
“কুত্তি”…
চাটতে থাকো, পিছনে দেখো না॥
(২)
একটা হাত অনেক ক্ষণ ধরে ঘুরঘুর করছে
ছারপোকা টিপে মারে
নাকের খোদলে ঢুকে মদ বাসি মাংসের দলা তুলে আনে…
কলম ওঠে না…
কালি শুকিয়ে এঁটোর দাগে মাছি ওঠে নামে
আর তার অযান্ত্রিক শীৎকার…
পাগলটার আঙুলে গোদ, আংটি ঢোকে না
বালা পরতে হয়…
গারদের এক কোণে এক মনে খিঁচে যায় ধৃতরাষ্ট্রের কলসি ইত্যাদি…
মেঘ দেখে বৃষ্টি ঝরছে না।
ছেড়ে আসা চামড়ার থেকে বেরিয়ে আসা রসে পথঘাট মেঘ হয়ে যাক…
যাবে না?
তামাটে ছুরির মতো জানলা বেয়ে নেমে যায় তাপ
সেদ্ধ হওয়া খাঁচার নিচে
দাঁত খিচিয়ে শুয়ে থাকতে থাকতে আমাদের অতিরিক্তে পোকা লেগে গেছে…
কুত্তায় না খুঁড়ে তুললে এযাবৎ এখানে সেখানে
‘বিশ্ব’ নামক লেজে
নিরন্তর গাঁড় মারা যায়…
(৩)
পাখিদের ডাক শুনছেন?
দূষণ কম?
প্রকৃতি বিশুদ্ধ?
আহা! পাতনে নিপাতনে ‘মানব’ ইত্যাদি অভেদের জয় হোক
বেশ কিছু শুয়োরের ঘোঁত ঘোঁত দেখি প্রতিদিন…
পরিচিত অনুপাত খুলে মেজে তীর্থে পৌঁছনো;
“বিশুদ্ধি তরলে ঠিক এতটুকু সায়ানাইড দিলে কেমন সুন্দর পবিত্র গঙ্গাজল হয়?”
অর্শ্ব বাড়ছে,
কমোডে কত রঙ!
রোজ রাতে পুটকিতে হাত বুলোতে বুলোতে স্বপ্ন দেখি,
‘সত্য, শিব, সুন্দর’—
আহা! তিন সৈন্যের পিছন মেরে চলেছেন সমানে শৈলেশ্বর…
(৪)
এক একটা ঈদ কেটে গেলে…
সিঁড়ি জোড়া একা বসে থাকি…চাঁদ ভেঙে পড়ে নাই ছাদে
মা একা লাচ্ছা রেঁধেছে…
ঘাসে খেলে বিড়ালের ছা…খেটে পোকা খুঁটে খায়…
আমাদের পোকা জুটবে না…
পোকা সব নিজের জিনিসে বেঁচে থাকে…
Posted in: May 2020 - Cover Story, POETRY