মুক্তগদ্য : শানু চৌধুরী

রোমথা

স্বর, সংগতি হারাচ্ছে। গৃহনির্মাণ হতে আলবক পৃথিবীর চূড়ায় ধরেছে জমি, খনন ও নিষিদ্ধ এক সমাপতনের রাত্রিভোজ। যে জল ফুটে অমৃত হল তাতে ভাঙা বাতাস নিঃস্পৃহ ছিল আর তখন কপালে লেখা হল একটিমাত্র শব্দ। কপোল আমাকে উল্লেখ করেছিল কিনা জানা নেই। রাত যেভাবে চুইয়ে চুইয়ে পৃথক… সেভাবেই আমার শব্দভাণ্ডার থেকে জন্ম নিল শব্দসংকর। আমিতো বেতের বিহার চেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী ধারালো ছুরি সঙ্গে নিয়ে কেটেছি ফলার সমস্ত অপরাধ। হায়! জঘন্য কেরোসিন তেলের বাতিতে মরে যাচ্ছে কীট-পতঙ্গ-! তাদের সাথে আলাপের আগেই ডানাগুলো কতটা আবশ্যক তা মনে রাখা উচিত ছিল না কি আমাদের? দরকার ছিল আহরণ থেকে আগতপ্রায় সূচিমুখ ও নিজেকে পায়ের কাছে লেপ্টে যাওয়া ঘাস ভাববার। কিন্তু, ভাবিনি। কাঠ চুবিয়ে রেখেছি জলে যাতে আগুন কাছে না আসে। জবার পাতাটুকু কেবল দুলছে, যেভাবে দুলছে অসহায়তা। তাইতো এই অসময়েই শুধু বর্ষাতি। কেন? শুধু কি মনতুষ্টির জন্য?
                             জানি না
জানি না
                                        জানি না
পাখাসহই হয়তো দেখছি বিচার আর উল্কি দিয়ে আঁকা আমার একটি বাঁশি ও কোমরের তাগা। হয়তো এগুলোই প্রয়োজন আমার অথচ রোগ আর মরে যাওয়ায় অনন্ত কবিরাজ শেষ কথাটা বলবে না কোনওদিন। তবুও আমার প্রাণ তাঁর স্বেচ্ছাধীন। তাঁর আদেশে নিষেধাত্মক হবে সামান্য অলঙ্কার… কথা বলবে না। বলবে না তামা বা পিতলের মতো ধাতু হয়েছিলাম কিনা? তবুও আমার কপাল ছিল যাতে লেখা ছিল মুছে দিতে চাওয়া প্রকাশিত রোমথা…

Facebook Comments

Posted in: May 2020, PROSE

Tagged as: ,

Leave a Reply