সায়ন্তনী হোড়-এর কবিতা
দাগ
বুকপকেটে শ্যাওলা পড়লে
নরম হাতের মাইথোলজি জ্যান্ত হয়ে উঠছে
বসন্ত গলে যাচ্ছে বুকের উপর
শুধু ভাষার জাদুমন্ত্রে আটকে আছে
সম্পর্কের চিহ্ন
প্রত্যাখ্যানের ক্ষত গভীর হলে
হরফের ভেতরে তুমিগন্ধ প্রকট হয়ে ওঠে
তাই এসব ব্যর্থ দাগের গল্প লেখা হলে
ব্লেডের কোণায় বৃষ্টি দাঁড়িয়ে থাকে…
দৃশ্যবদল
আলোর বিপরীতে
অন্ধকারের কোরিওগ্রাফি করছে
পথভ্রষ্ট জোনাকিরা
গুহার মুখে আদরের শেষাংশ পড়ে আছে
লুপ্ত হচ্ছে পাখির যন্ত্রণা
করোতালি বেড়ে গেলে দৃশ্যপট বদলে যায়
শরীরের ভেতর নদীর যাতায়াত , ফুল বদলে যাওয়ার ঘটনাও বেড়ে চলে
তাই ছাদের উপর
হেঁটে যাওয়ার কান্না শুনতে পেলে
এখন শুধু জানালার পাশে
খরস্রোতা বুদবুদ উড়ে যেতে দেখি
আবছায়া ও শেষপর্ব
ক্যালেন্ডারে পাখি বসলে
তারিখের রামধনু জড়িয়ে ধরে
পুরোনো কথোপকথনকে
কর্পূর মেশানো অধিকারবোধ ছুঁতে গেলেই অদৃশ্য হয়ে যায়
দশমিক পুড়তে পুড়তে শূন্যতার শেষ কক্ষপথে আত্মসমর্পণ করে
দরজা খুলে দিলে সুতোর নাব্যতা হারিয়ে যায়,
ক্রমশ হালকা হয়ে আসছে যৌবনচিত্র
তাই বাঁশিপর্বের আত্মহননের উপায়
এখন যেকোনো পদ্ধতিতেই বর্ণনা করা
যায় অথবা যায়না
Posted in: May 2020 - Cover Story, POETRY