সমীরণ ঘোষ-র কবিতা
সা
সা, আমাদের আয়নার কেউ। ঘুলঘুলি টপকে নামা ভল্ল-সবিশেষ
গলির অন্ধকারে পাতালে পৌঁছচ্ছে কেউ। তারই কুহু
পচাগলা স্তনের শীর্ষে ভীমরুলসামান্য কালো গান। মহুয়াতরল
ছায়া তুলে বেড়াল কিছুটা শোনে। কিছু আড়মোড়া
তাচ্ছিল্য পর্যন্ত অপচীয়মান এই ধ্যান
শতাব্দীর আঙুলে জড়ানো চাক। মৃত্যুর এক-এক বোতাম খুলে
সোঁতার গড়ানো স্বরলিপি
দাঁতের কমলায় ভেজা জিভের চূড়ান্ত কোনো গোধূলির সিঁড়ি
যোনি থেকে সা-ই গড়াচ্ছে। অবিচ্ছিন্ন স্তূপের বরফ
পাঞ্জা
যেটুকু বেড়াল। উঁচুনিচু ফুরনো মাছের ছায়াপথ। কাঁটার আবছা
আঁশটে হত্যার বন। যৌনইশারা থেকে থাবার বেদানায় বোজা নখের ঘুঙুর
পিতল উপচে ঘন কূপ। গানমেটালের রাত। চোখের লোহায়
জল তোলে
ধ্বনিও বরফ। কিছুটা গন্ধকস্মৃতি বেড়ালের নাকের পাটায়
দেরাজের খোপে কাটা হাতের পাঞ্জা লাল ইজেরে মোড়ানো
বেড়াল সেটুকু শোনে, পচে ওঠা মাংসের সুর যে পর্দায় বাজে
অন্নপথ
ভ্যাপসা মাংসের নীচে কৃমিদুই মকশো করছে পূর্বপুরুষের ভোজ
দাঁতে কোঁদা দিগন্তের শীতে বেড়ালও অনিশ্চিত। যথেষ্ট ঝাপসা
চ্যাপটা বিকেল। মাথার পিনিয়ন থেকে হাওয়ার কার্নিশে ঝুলে
সরু নল চূড়ান্ত অব্দি ফুঁ দিচ্ছে মাংসের কানে
ঘটনা পাতাল খুলে শবই বুনছে একরোখা মরচে সুতোয়
ফাঁপা নলির ভেতর প্রতিধ্বনির বুঁদ। কৃমিদুই পৌঁছে যাচ্ছে
ছায়াচরাচরহীন মাংসের থাবায়
Posted in: May 2020 - Cover Story, POETRY