রাধে ঘোষ-র কবিতা

দিশবিদিশ

১.

এখন বিবাহের আয়োজন, মধুহনন। হাতদুটি শ্রমগুল্মবাহার।
দুটি হাত শ্রমমাধ্যমে উঠিয়ে আনছে মন্তেসরি আহ্লাদ…
এ পর্যন্ত এই দধিমাত্রিক ব্যবস্থাপত্র, চরম স্কুলবাড়ি, বৈদেশিক হাতপুরান
এযাবৎ কয়েকপ্রস্থ প্রকৃতি, দত্তদের মেয়ে, ছায়াস্তৃত, এই মধুকল্প
শাল সকলই কেবল শৃঙ্খলাবোধের খাতিরে হাতবদল হচ্ছে
অন্য যাত্রীদের ঘাড়ে পড়ছে, প্রতিটি সিট প্রয়োজন মতো লিভারের
সহায়তা গতির হাত মেলানো সমতা
পোয়াতি নিরক্ত প্রতিটি সিট, পোয়াতি যন্ত্রানুষঙ্গের মন্তেসরি
হাতপুরান, এইভাবে বিরাট ক্যানভাসের জলচিতল যে কিনা
অধিগোল প্রশ্নমালা খননকার্যে ব্যাপৃত এবং ভেবে দ্যাখো
নিরর্থক এনগেজমেন্ট বড় বালাই ছিল তার,
ইনি আর কেউ নন! একজন অগ্নিযোগ্য ও আফগান
একজন অনায়াস বোবাকালা পেটফাটা লামা যাঁর
ইত্যাকার সাধনার নিটফল কেবল চিত্রল জল

২.

এই সেই ধাবারাত ও নিশিঘের রেসিপি
এ সেই পাঁপড় ও শেষপাতের পাঁপড়বিন্যাস
এ হল ভোজ্য তেলে যেকোনো কুড়কুড়ে ডার্টিজোকস, রহস্য কাহিনী
শক্ত শক্ত সব কর্ম – সাফ সাবাড় করে, শক্ত শক্ত সব কম্মো
এইমাত্র নিঃশেষ করে ফেলে, বা একটি কাঁচের গ্লাসের
হত্যাসিনের জন্য কমবেশি বিঘতস্পেস রেখে,
জিরো লাইনের কাছাকাছি আমরাই নিয়ে এসেছিলাম
গুলাবের মৃদু শিউলির মা;
এই ভারী ভারী ব্যাপারের মধ্যে যে মুর্গী সাপ্লাই করেছে; গল্প,মুর্গী, বিষাদ
গল্প ও বাজ, সৈনিক ও ডিম
এইসব দৃশ্যকে সামনে রেখে আমরাই বানিয়েছি
হাতের কুমার – নিশপিশে ও গৌর

৩.

এইসব দৃশ্য সুনিবিড় আজিকার কোন বিহঙ্গ
আঁচড় ফেলে গেছে এবং মূল্যবান ঘোটকীর কোমরের বরফ
মফসসলের পেটের ভিতর উন্মুখ শীতগ্রাম চেপে বসছে
কবিতা,পঞ্চহাজার মঞ্চে বরফ লোফালুফি
আর এইসব নির্মাণে স্রোতস্বিনী রোদপিঠ দেহলীনা –
মাঠ, নদী, পিচপথ, বিপুলা জলাশয়, সকলই
ক্রম রোদবর্তুল গ্রামোন্নয়ন খাতের টাকা সকল শুধু
এক পেটফাটা ডাইমেনশন, মূর্ধা স্পর্শ করে যেন –
এখানে ওখানে কেবল বিয়ারক্যান ও ঝিমুতে থাকা বিঘত স্তন…