রামকিশোর ভট্টাচার্য-র কবিতা

কর্কটকাল

মন মারা গেলে

বড় হাঁ করুন। দেখি গলার ভেতর ব্রহ্মান্ডের দানাগুলো
জমে আছে কিনা। দক্ষিণে পশ্চিমে জিভটা মেলে দিন
হুম, মৃত আগুনের কণা লেগে আছে কোণায় কোণায়,
রক্তে ঘুমিয়ে আছে প্রতিশোধ ! মন মারা গেলে এবার
ঠিকানা সহ শরীর ভাসানো‌ যেতে পারে। কষ্টশিল্প বুনে
ক্রান্তিকালের এ্যালার্জি সারানোর চেষ্টাও হতে পারে চোদ্দ দিনে।
জীবনের ইচ্ছে সব হাপুস হুপুস। চারপাশে কাবাবের গন্ধ,
মুখোশের ওপর মুখোশটাকে রাখা থাক আদরে আদরে।
মুক্ত ডানায় চিনচিনে ব্যথা। এবার টিপের মাঝখান দিয়ে
জাবনা কাটা রাত নামবে সকালের গায়ে…

কল্পনাপল্লী

একটা বিড়াল এসেছে এই কল্পনাপল্লীতে।
ডাকের শোভা ছড়িয়ে যাচ্ছে দরদের পাশে।
এবার মেঝের ফাটল দিয়ে ঢুকে ফাটিয়ে দেবে
পৃথিবীর বুক। শুরু হবে আগুন ওড়াউড়ি
খরবায়ু ডানার দল আদর নেবে পাগলাঘন্টির।
মনমড়া গৃহপালিতদের মনে তখন টম্যাটো কেচ্যপ লেগে।
এলিয়ে আছে পোস্টারের গায়ে। যতি চিহ্নের
পাঁশুটে গন্ধ টানটান ছড়িয়ে আছে মজে যাওয়া পাড়ায়।
আহা কৌতুহল, এ সময় তুমি বিড়াল সেজে এলে!
দু’ কাঁধে মনোরম জনসংযোগের ডানা।

এরকম মাঝে মাঝে হয়

অনেকক্ষন চুপ্পুস হয়ে পাগলাঘন্টি শুনে
ভিটের আত্মীয়তা মনে পড়ে,
তখন মনের ভেতর মাইক ফাটিয়ে
উড়ন্ত উদ্ভিদ হওয়ার গান শুরু।
শেকলের দরদ মাখা তেলকাদার খুশিরা
ভুলে যায় সিগন্যালের কঠিন শাসন।
বিশ্বাস পথ কেটে দিলে
একে একে বালির বস্তার দল চুক্তি এনে
মেলে দেয় জ্বালাপোড়া শরীরের সামনে।
রাত্রির ভিতর যে নদী থাকে
গোয়েন্দামুখো বাতাসেরা তাকেই তুলে নেয়–
বসানো হয় কমিশনের দেওয়ালে,
তখন তুমি বিকলাঙ্গ রাজা কপালে আবির,
ছোলা খাও দাঁড়ে বসে। প্রফিট ছোটাও…

Facebook Comments

Leave a Reply