প্রশান্ত গুহমজুমদার-এর লেখা

পেয়ালা

৬.

বস্তুত লীনা ও আকাশ। এই রূপই অনুষঙ্গ। আষাঢ়ের প্রাথমিকে এমন ঘটে। আরো কিছু রচনা হয়, যাহাকে দৌবারিক আখ্যায় অত্যুক্তি হয় না। অপ্রকাশিত এই। কত দিবসের স্নানের বাসনা! সমূহ সবুজে চিত্রকর কৌতুক করে, আঁক কষে, বিয়োগ করে, আমাকে ইঙ্গিত। এ সব কি বয়সোচিত! ঘুঙুর একা একা ভাঙিতে থাকি, স্নান, নীরব অনুসরণে।

১৩.

অবসরের কোন সবুজ নাই। অথচ স্তুপগুলি। অথচ গহ্বরগুলি। অথচ তথাকথিত জানালা। এইরূপ স্বাভাবিক! এইরূপ, কেহ আসিয়া বসিল, নিকটেই, অথচ। অপাপ বাতাস। আলো, অর্বাচীন নহে। পথের অন্তেও তবে দু’চার পায়রা, ঘুড়ির বিস্ময়! যতিহীন শব্দ! সন্ধানে সেই খাঁজ, আধখোলা ঝিনুক, জল সদ্য তাহাকে চুম্বন করিয়াছে! পথ হইতে অন্য অদৃশ্যে ঘুরিয়া গেল কিশোর। বিড়ালটি বিস্মৃত হয় নাই। সেইখানে কি গলি, রুদ্ধ! করতলে দেখি এক পাতা, ঈষৎ রক্তাভ, পতনোন্মুখ। অশ্রু এবং আগুন তাহাকে দেখিতেছে। কি অবান্তর! মধুরে মধুর!

১৬.

দৃশ্যের ভিতরে বিখ্যাত সেই ছুরি। দৃশ্যে। সাদা-করুণ। ছুরি। দৃশ্যে। টেবিল-চেয়ার। স্পর্শজ। জানালায় কে ওই! উহারা! ওইখানে ছুরি। তীব্রমধ্যম। ছাদের গল্প। রূপকথার। ঝিনুকের। অবাঙমনসগোচর। ছুরি। পড়িতেছে। ঝুলনযাত্রা। সাদা কুঁড়িতেই। ফোঁটা ফোঁটা। যা লিবি তা ছ’আনা। আনি নি। যেহেতু ওই পেয়ালায় আজ। ছবি। গল্প। সাদা কি দুয়ারেই ছিল! ছুরিতেই! ওই প্রণামে? অশ্রুতে। নিশ্চিত অশ্রুতে। সেই ছুরি। এবং ঘরবাড়ি। অর্ধদগ্ধ টায়ার। ইহা কি লিখিত! অন্তর্জল!

Facebook Comments

Leave a Reply