নিয়াজ আজিজ দ্বীপ-র কবিতা

কাব্যগল্প

মেঘ ছিড়ে বৃষ্টি উড়ে উড়ে আমার বাড়ি আসে—
এসে বসে উঠানে ঝরে; মেঘ-বৃষ্টির পরিবার।
তবুও -বধূ সেজে জলের ঘোমটা মাথা’য় করে
আমার বুকে টুপটাপ শব্দ বানায়—
গুঁড়িগুঁড়ি ছিটে ফোটা আনন্দে;
আমার মৃত্তিকামন জুড়ে সোঁদাগন্ধে ভরে যৌথশামুক বেলা—
সুপারিফুলে সাদা শৈশব- কৈশোর -যৌবম-কামুক হলুদ-ব্যাঙ্গের পিঠে চরে;
অনন্ত-বর্ষার আহবানে ;
আবহমান ধান ক্ষেত জুড়ে —
আমরা সংসার করি ;
বৃষ্টি ও ধান বুনার উৎসবে|

টুথপেস্ট

​তুমি আমার মুখের ভেতরের বাসি ব্যাকটেরিয়াগুলো;

তাইতো ব্রাশ করিনা দু’সপ্তাহ হলো।

তুমি আমার দাঁতের গোড়ায় আটকে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খাদ্যাংশ —
যার —পচা গন্ধ প্যারিসের সবচেয়ে সুগন্ধি পারফিউম;
যার —গলে যাওয়া লালাগুলো,
প্রেমিকার জিভে প্রেরিত শ্রেষ্ঠ উর্বর;
উন্মাদকলা|

শব্দছবি

তোমার ঠোঁটের পাশে বসে আছি

আমি শব্দমাত্র কবি

অর্থমাত্র নেই—

ভাবনামাত্র;

রক্তফল পেকে লাল—

বসন্ত পারে নিভে যাওয়া সূর্য

তখন ডুবে—

সন্ধ্যা ক্যানভাস।

আমি আঁকিবুকি আকাশে পলাশবন।

ঝরা পাতার গাছ—

হলুদচাষ ও মৌমাছি—

কোদাল কাঁধে চাষী—

শব্দতুলিতে নারী—

যৌবনে পাওয়া নদী।

পাতাঝরা দিনে হেঁটে যাওয়া ছোটযমুনা।

কৌশলে লেপানো ঘর

মৃত্তিকাফুলে বউ ও বর।

কৃষাণীকুলা তিনমুখাচূলা

আড়ানীতে ভেজাশাড়ি।

বিদীর্ণ নির্বিকার শালিকের কলকল

বাঁশবন ও চড়ুই—

বিকেলের গুপ্ত পাখিদের ছিটানো খই।

এসব শব্দছবি।

শামুকের খোলস চিরে রেখাপাত হওয়া খড়বন

পথের জ্যামিতি—

সময়ের অনুপাতে খয়েরী ঘড়ি।

কামুক রেখাপথে-
হরিণের আমলকী কুড়িয়ে খাবো —

নক্ষত্রের লাল মাংস|

Facebook Comments

Leave a Reply