মুক্তি মণ্ডল-র কবিতা

প্রবর্তনা

প্রবর্তনার শরীর বেয়ে নেমে আসে রোদ
ফরসা হয়ে ওঠে আমাদের সর্ম্পক
আমি তাকে দেখি
দেখি তার ভূজঙ্গনা রূপের উচ্চতম বিহার
দেখি তার মুগ্ধ শশীকলা
যেন তামসীর গালে টোল পড়া ঢেউ
বহুদূর থেকে দেখা যায়
দেখা যায় জলের ছায়ায় ডুবে যাওয়া
সেই মুহূর্ত।

মহুয়া পাশে রাত জাগা তারার নিচে

মহুয়া পাশে রাত জাগা তারার নিচে
সব দিন যদি মনে আসে
তবে জলের গভীরে কান পেতে
আরো প্রতীক্ষায় থাকা যেতে পারে
যেখানে রোদ নেই ছায়া নেই সেখানে
যদি আবারও চোখাচোখি ঘটে
যদি কাঠের ঘ্রাণের মতো সঙ্গ পাও
তাহলে বহুদিনের স্মৃতি সৈকতে
বালুর ভিতর লুকানো
মুছে দেয়া নামগুলো ভাসিয়ে তুলতে পারো

আমার কোনো কিছুই নিখুঁত নয়

আমার কোনো কিছুই নিখুঁত নয়
তুবড়ানো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঠাট্টায় ভরা
এসব নিয়ে ভাবি
জীবনের দগদগে ঘা ভেসে ওঠে
মনে হয় নিজের খুলির ভিতর
সেঁকা মাংসের ঘ্রাণে
উড্ডীন মনুষ্য প্রণতির শ্বাস
অবিরাম জলপড়ার শব্দ ঘোরে
নাচে বিভূতিনন্দন
অভিজ্ঞতার টোপ খাওয়া রোদে
নীরবে যখনই তুমি পাশে এসে দাঁড়াও
উপচে পড়ে
ম্লান আলোর টোল পড়া গাল
প্রবল অস্বীকারের ঢেউয়ে এলেমেলো
নিজস্ব
মুখোশের দিকে তাকাই
ঝাউবনের নীরবতা চিবুক ছুঁয়ে যায়

Facebook Comments

Leave a Reply