হাসান মোস্তাফিজ-র কবিতা

অর্ণা বিলুপ্তের দিনগুলি



তল্পিতল্পা জুড়ে অরণি, জলসিঞ্চিত নিউজপ্রিন্ট
ভাসমান কালগুরু, বিবর্ণ খুন্তি,
দু’আর কাকস্নান, মন্ত্রমুগ্ধ গোটা পরাহ
পানিপথ সমান্তরাল,মনীষা চৌচির
লাগাতার অসন, মোনাজাতের স্লথ গতি
ওযুর পানি অম্লান।

হুদাই নির্মেঘ, নভঃ নগ্ন নর্ম
বিকিনির আঁশটে হুঁক, শুভাশুভের বিচ্যুতি,
দীর্ঘতনু সার্বিক খরস্রোতা চ্যালা
ছড়ানোছিটানো পারদের ছলকানি,
টান টান আবৃত শারীরিক ধবলিমা
নওবাহারের ধূলিশয্যা অস্থির।



অর্ণা,দেখো হসন্ত



ইনসুলিনের ঝাল — মিষ্টির প্রাপক জুদা
চালচলনে চাতুরালি
        ঝিমিয়ে হসন্ত,
রম্য গেরিলা পর্যাপ্ত সংখ্যার সেট
ডবল ব্যারেল চুষে চুষে — কনকন ফোঁটা পর্যন্ত
সাদা হৃৎপিণ্ড হরণ
— নিম্ন নিমকের সঠিক বিন্যাস।

পঞ্চম নিযার্সের নির্লেপ
— মৃত্তিকাজাত ফুঁ ফুঁ
ঝলকানো দু-পাঁচ আয়াত প্রযোজ্য
উচ্চারণের পাথর
        জীর্ণ সাক্ষীর দুর্গ্রহ
দুর্ধর্ষ শ্রতিলিখন—ডিঙা
— ডম্বর হতে।



অলীক অর্ণা



অ্যাজমা সমাস, আলোচিত সমীর
দাড়িম্ব ভেবে—সমদ্বিবাহুর নবজাতক
            ঠং ঠং
ঠিকারি ঠিকা, ঢকঢক আফোঁটা চিঁ চিঁ।

গর্ভাশয়ে রসালো কারফিউ
           শুষে তরতাজা কোর্স,
ইপক স্কেলে কার্সর বুজে বুজে
রুদ্র বুট-বড়ার গন্ধে
রুইদাস আঁকে পুষ্প সংকেত।

খান্ডার স্প্যাম, পুনঃ পুনঃ অহিত
কোলেস্টেরল প্রকারভেদ নিশান্ত
            ছমছমে
তাজি মিঠাই তালি
              আনাড়ি অলীক রোটিকা।

Facebook Comments

Leave a Reply