দুর্জয় আশরাফুল ইসলাম-র কবিতা
ধরো
ধরো এটা একটা প্রলোভন
বড়শি ফেলে দেখছো তুমি
আমিও জানি জলের বিড়ম্বনা
খাদ্য ও বিষ ফাঁদ একইরকম
যেহেতু জল সব রঙে যায়
যেহেতু প্রেম ও প্রতারণার সুতো
হ্রদের অতল চিনে খুব ভালো
তবুও কি এক পাশঘেরা থাকে
কি এক বহুমাত্রিকতা থাকে
অনিশ্চিত খেলার টেবিল ডাকে
যদি অন্যকিছু, অন্যমানে…
২.
ধরো এ বাঁশি নিঃশব্দ প্রাণের
কোন স্তব্ধ পাথরে ধাক্কা খায়,
যে পাথরে অনন্ত বিরহের ডাক
মরে আছে বিগত জন্ম নিয়ে ;
সে পাথরে আমাদের কিছু সুর
আমাদের কিছু না-বলা কথা
মিশে যাচ্ছে শ্যাওলা জন্ম মতো
আমরা কি হবো না সমস্বর –
পূর্বজ বিরহের জ্যামিতি দেখে!
বীণাপাণি
রোদে পুড়ে দাঁড়িয়ে থাকি
সরস্বতী আসে আর যায়
শূন্যচারী বাহন থেকে পড়ে ছায়া
সে ছায়া মিলিয়ে যায় অদৃশ্যে
তার নিচে উৎসুক জনতা
সকলেই ভাবে যদি পায়
বিদ্যা; অঙ্কের কারিকুরি
সাহিত্যের জানলা আঁকা খাতা
আমিও তাই, সকল মতো
দাঁড়িয়ে থাকি মনোবাঞ্ছায়,
আমারও যদি বিদ্যা হয় –
নদী ও মানুষের গতিপথ চেনার।
হে শহর
ভৌতিক তোমাকে দেখি। নিষিদ্ধ মোড়ক টানিয়ে কেমন আলাদা হয়ে আছো হে শহর। আমার আচ্ছন্নতা ক্রমশ অনুসন্ধিৎসু বালকের, তোমার গভীরে যেতে চায়। তোমার প্রতিটি সন্ধ্যার কাছে, দেয়াল আঁকা প্রতিচিত্রের কাছে, যেন ফেলে এসেছি পুরনো ডাকবাক্স, এমনকি তোমার রাত্রিছায়ার কাছে পড়ে আছে আমার অলেখা সব চিঠি।
Posted in: May 2020 - Cover Story, POETRY