চয়ন দাশ-র কবিতা
নিঃশ্বাসের চোখমুখ
১.
ঘুমের ভেতর হাতকড়া পরিয়ে দিচ্ছে কেউ ! চারপাশ ঘিরে ফেলছে নীলচে ময়ূর আর জলপাই। গোপন স্বেদকুটিরের দিকে কাঁধতোলা করে নিয়ে যাচ্ছে। উবু হয়ে কনুই এগিয়ে বসি। কারো একটা হাতে ডালা খোলা কাচের তোরঙ্গ ! ভর্তি রক্ত। পায়ের পাতা চুবিয়ে রাখা সারাদিন। রেডফিট ও রেডফিট হলেই রাত্তিরে শুকোতে দেওয়া মাংস চুরি করতে যাব
২.
গণহত্যার মাঠে এসে উত্তেজনায় লিঙ্গ ঠাটিয়ে যায়। প্রতি ঘণ্টার স্লটে ন জন হত্যাকারী, ন জন শিকার। বিশাল মাঠ ও প্রাকৃতিক ঢালু গ্যালারি, কর্মসাথীদের তাঁবু। কোনো একজন শিকার মৃত্যুর পূর্বে ভয় পেলেই হত্যাকারীর নৈতিক পরাজয়। ডিসকোয়ালিফাই। আগের রাতে তাই শিকারদের জন্য মুজরা । মান্ডি থেকে মেয়ে ও ছেলেমেয়ে আসে। বাসি হরিণের মাংস আর নকল মেপেল সিরাপ
৩.
পৃথিবী শুকনো দানাশস্যের। একদিন সব জল শুষে ফুলে যাবে । গাছ ও খয়েরি ডাল হবে। পথ। গাছের পথিক। পিচ গলে গেছে শহরের। তার উপর সুগন্ধি দানা ছড়ানো। গন্ধে মাঝ আকাশ থেকে অথর্ব হয়ে যাচ্ছে পাখিরা । পড়ে যাচ্ছে রাস্তায়। হলুদ হাঁটু ডুবে গেছে তাতে । ঘাড় নিচু করে রাখে মাথা । হাতের তালু তীর ধনুক নেই
Posted in: May 2020 - Cover Story, POETRY