বৈশাখী নার্গিস-র কবিতা

ক্ষত

যেন কোনও এক ভাঙা থিয়েটারে বসে থাকা স্বপ্ন
আমরা ঘিরে থাকি ঘুম, অবকাশ, অবসাদে

যেন কতদিন… কতখানি রাত
যেন অপেক্ষায় একটা গোটা আকাশ

খেলা জমে ওঠে অগোচরে

যুদ্ধ লিখে রাখে আত্মজীবনী
আমরা চেয়ে থাকি
শুধু চেয়ে থাকতে হবে বলে

সেইসব সাক্ষীরা খুঁটে আনে খুদকুঁড়ো
হেঁটে যায় মাইল মাইল

ওরা বলে চলে যায়
চোখে জল ভাসে ভবিষ্যতের

হয়ত একদিন আমরা লৌহমানব
জন্ম দেবো
অথবা ভুলুন্ঠিত ক্ষত

প্রশ্ন আসে আবার মিলিয়েও যায়
যেভাবে অন্ধকার রাতও

আমরা আমাদের শুরু থেকে শেষ
লিখে যাব

ঈশ্বরের মেদ

ওদের কথায় জোৎস্নায় এতটুকু চিড় ধরে না
আমিও ভুলে যাই বৃহত্তর আবেগ

চিবুকের তিলে লেগে থাকে ডার্ক ফ্যান্টাসি
আমরা ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারস এ উড়ে যাই
চাঁদ ওঠার মুহূর্তে
ছায়ার ভেতর আলসে গোলাপ লিখে রাখে
অন্ধকারের নিস্তব্ধতা

অবাক পৃথিবীর বুকে দাগ কাটি আবার

ক্রমশ মিল্কিওয়ে ধরে হেঁটে যাওয়া
ধূলিকণাকে ভেবে নিই ঈশ্বর
ঈশ্বরের মেদ বেড়ে যায়

এই শহরের গা ঘেঁষে জমে ওঠে কুয়াশা
এভাবে একদিন ক্যালাইডোস্কোপ ঘিরে
বেঁচে ছিল আমাদের নিঃশ্বাস
আমরা পরস্পরের দিন গুনে রাখি আর
মোমবাতি মিছিল নামে সহস্র এক
এরপর টু-বিএইচকের ব্যালকনি
দখল নেবে চাঁদ
নিরক্ষরেখার সাথে আপোষ করে
টেনে নিই চাদর

এবং বোগেনভিলিয়াকে

এরপর বেড়ে চলে অভিজ্ঞতা
জানলায় এসে বসে চাঁদ
তোমার স্বপ্নে গুনগুন করে
পাহাড় পরবর্তী আলোচনা
আমরা জেগে উঠি মাঝ রাত বরাবর
একটা গল্প থেকে আর একটা গল্পে
হেঁটে আসে মেগাস্থিনিস
আমরা বারুদ ভরি কলমে
‘শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে
বোগেনভিলিয়া’
এই মর্মে লিখে রাখি স্লোগান
পাতারা অকারণ ঝরে পড়ে আর
আমরা ভাবি
বরফ কুচি দুপুর
ট্রেনের ঝমঝম
ট্রাফিকের ব্যস্ত শিস
শূন্যতার অনেক ভাষা নিয়ে
আমরা এক একটা দ্বীপ হয়ে উঠি
পরস্পরের জানলায়
তুমি এবং একাকীত্ব পাশে এসে বসো
আমরা ভুলে যাই
দূরবর্তী লকডাউনের প্রভাব

Facebook Comments

Leave a Reply