অয়ন্ত ইমরুল-র কবিতা
রাত
রাত দুলতে দুলতে বড়
করছে লীলা
আমি বরং
রাতের তলপেটে মুখ গুঁজি
যাতে ভোরে গেয়ে ওঠে
পাখি
‘সুভদ্রা মেঘ,সামলে চলো’
ঝড় রাঙাতে আসা হাওয়া
এখন আর গায়ে লাগে না
রোদ মাখতে মাখতে
আগুন হচ্ছে গতর,গতরে
গভীর জ্বর ভাঙছে
থার্মোমিটার
জলপট্টি হয় তবু কপালে
নরম কোন হাত টের
পাওয়া যায় না
এ তবে লীলা!
খড়কুটোর নাচে হাওয়া
দাও রাধা
রাধায় কৃষ্ণ ফোটা দেখি…
ধর্ষক
ঘরের ভেতর ঘরটা
ককিয়ে ওঠে
জারুল বেড়ার ফাঁক দিয়ে
যারতার উঁকি
পাগলনির পেট বড় হচ্ছে
কি না
পাড়া জাগছে
আমি আমাকে দাঁড় করাই
তখন নিঝুম
পাড়া ঘুমালে —
একটা বাবা ডাক, প্রথমে
অস্পষ্ট
স্পষ্ট হতে হতে ধীরে ধীরে
ঝংকার তুলে আমার
চারপাশে
তার রেশ সারাটা রাত্রি
আমাকে ঘুমাতে দেয় না…
বাবা
প্যাডেল ঘোরাতে জানা পা
ঘামের ভেতর থেকে
শরীর,ক্লান্ত হতে হতে
ঘুমকে শিল্প করে তোলা
দুপুর—
স্বাক্ষী থেকো,পাউরুটির
ভেতরে মাখনে
যার মুখ দেখা
গিয়েছিল,সে আমার
সন্তান।
তার এখন টিফিন
পিরিয়ড।
Posted in: May 2020 - Cover Story, POETRY