আনিস আহমেদ-র কবিতা

দুটি কবিতা

১.

আলোর ধূসর স্বরলিপিগুলো গাইতে গাইতে
আমি, মৃদু কান্নার সরলতাগুলো খুঁটে তুলি
চোখের গভীরতম যে প্রদেশ থেকে—
নোনাস্বাদ নিয়ে জল বয়ে আসে,
আমার দৃষ্টি সেখানে খালি হয়ে যায়…
আমি দেখি
পিঁপড়ের যাতায়াতের পথে
নিস্তব্ধ হয়ে পড়ছে আমার দৃষ্টিভঙ্গি…
ঐ একটুকরো খাবার নিয়ে সারিবদ্ধ চলার সামনে
নিজের অসহায়তাগুলো বাজিয়ে দেখতে দেখতে
আমি এক ফাঁকা ধূ ধূ হয়ে পড়ি
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জলের কণাগুলো
চোখে এনে বসাই
যেন একটা গোটা মরূদেহের ভিতর
চোখ একটা মরূদ্যান

২.

জল খেতে গিয়ে
মুখের ছায়া দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছি গ্লাসের ভিতর…
এক অসীম কান্নার ওপর দিয়ে যেতে যেতে
ভাঙাচুরো চোখগুলো জোড়া লাগানোর চেষ্টায়
যখন টুকরো হয়ে পড়ছে,
আমি দেখতে পাচ্ছি
প্রতিবেশী ঠোঁটের ফাঁক গ’লে—
বেরিয়ে আসছে হাল্কা হাসির চলাচল…
জল কেঁপে উঠছে এতসব দৃশ্যের বাইনারির ধাক্কায়,
মুখের আকার ভেঙেচুরে যাচ্ছে তাতে…
জলভর্তি গ্লাসের উপমায়
জীবন’ নামক ভারি শব্দ এসে পড়ছে…

Facebook Comments

Leave a Reply