অহনা সরকার-এর লেখা
বাছুরটা গুটিয়ে শুয়ে
ওপরে শিশু শাবক। ফুলগুলো এমনিই ফুটেছে ময়লা
ভুল বলতে ধক্ ধক্ শুনি নিজের বারণ
কেউ কি ডাকলো ওপরে?
চোখের জল জলের চোখে নিচে পড়েছে টুপ্
নিত্য শব্দের নৈনিত্য
একা ডালহরকরা দাসপালা গুছিয়ে কেটে ফেলা দাগগুলো নিজেই আলাদা এখন চোখে পড়ে না। কবেকার নজরবন্দী তুমিও তো
একটু মুখ তোলো দেখি
তোরণ পথে হাঁক বসিয়েছে ওরা। দিন আনা দিন খাওয়ার গল্প। ভাতের সাথে জল জোটে তাও বা
রঙ পেন্সিল ঘষে ঘষে যে সবুজটা ও আঁকা দিনকুড়ি
কবিতার হরফে তোমায় চিনতে চাই
যখন জাগো
বানালে
১.
কবিতার হরফে তোমায় চিনতে চাই
যখন জাগো
শুনি শুনছি আকাল সব শব্দের
বরফে আঙুল ঘষে ঘষে একটা গর্ত বানালে নাম দিলে
নাম
যে নামেই ডাকো ডাক
বাড়ির সামনে ডাকাতে পরা চিলগুলো জেগে উঠেছে
হাওয়ার ছটফট
উড়ন্ত বদ্ধ নীলে
আর একটু বেপরোয়া হলাম আরো একটু তোমার চাইতে চাইতে। দুটো চশমা পাশাপাশি শুয়ে
পশু শিকারের পর মন্মথ জেগে ওঠে ঘুমন্ত
২.
যে ভূমিগুলো তল এঁকেছো জল
তুলিগুলো জল আঁকছে মেঘ হচ্ছে
গায়ে পাহাড় জলের
হাতে তুলি
পাখিটা গান গাইতে গাইতে উড়ে এলো ওদের ভাষার বসলো কিছুক্ষণ ডাল এ ডাল ও হয়ে
পানি দেখো চানে চান্দ
উধার
রাতে যেসব পাখিরা ডাকে বড় বলে বৌ কথা কও সঙ্গী খোঁজে বাড়ানোর
তুলি বাড়তে বাড়তে মেঘ হয়েছে জল মেথরনামা চাঁদ গাইছে পাথরে পাথারে মানুষটা দু হাত কান্না জোড়া ওকে একটু গিয়ে বসি একটু ওর হই
দেওয়ালে বড় বড় রাতের পর্দা সবাই মুখ তুলে দেখছে পর্দার ফাঁক বাড়ানো মুখ
ও মেয়ে তোর কপালের টিপটা বেঁকা বলতে ইচ্ছে করে
ভাঁজ
না! এখন ঠিক সে পরিস্থিতী নেই মানুষটি দাঁত বের করে হাসছে এক চোখে দেখছি বা আধা চোখ দাঁতগুলো বেশ সাদা তিন তার ভাগের একটি বেশি মাথায় কপালে পাশ আর একটু ওপরে সাদা ক্ষতের দাগ রিভলবার!
এখন কেন্দ্রগত বিষয়। দুঃখ খুব সামান্য শব্দ ছোট্টো
গাধার মতো গাধার পিঠে গাধার বাঁ পা পেটে গাধাটা তার মানো গাধী ধবল চূড়া
মানুষটি আবার মুখ বার করে এবার বেশ পুণকিত চওড়া হাসি নিচের একটা চোখ ওপরে তাকিয়ে
তাকে আরো ছিঁড়ে ফেলে কেটে
না ঠিক তোর মতো করে বলাটা হচ্ছে না। কারখানা দেওয়াল হাতলে শার্ট খুলে রাখা সবুজ স্যান্ডো গেঞ্জি
মানুষটির একচোখ আবার নাকের ওপরে
এবার হাসিটা আর একটু যেন অন্য প্রাণখোলা ঠোঁট কামড়ে নিষ্ঠুর
একান্ত স্থানে কেবল একাই থাকা যায়
এই যে বিভিন্ন রকম হাসি চোখ দাঁতের কামড় কিছুই নয় কম্বলের বিভিন্ন রঙ মাথা নিচু রেখে এক চোখ মাঝে মাঝে নানা দেখা পাল্টে পাল্টে
এখন হা করেছে দুদিকের মুখ খোলা চোয়াল
!!!
তামিলের কোনো গ্রাম। নানারকম মাছ বিক্রি হচ্ছে বাঁশির সুর, মেয়েরা না সব অদ্ভুত ধরনের কাপড় পরা অদ্ভুত রঙের, সবই প্রায় একই রঙ। গাঢ় নীল সবুজ ধূতির মতোন করে পরা, পিছনে একটা মানে সামনে কুচি করে দু পায়ের ফাঁক দিয়ে সেটা পিছনে এনে গোঁজা। সামনে সমুদ্র আছে রোদে বেশ চিকচিক করছে বেশিক্ষণ না তাকিয়ে থাকা যাচ্ছে না, বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখে লাগছে জলের চিকচিক। নৌকাগুলো বোধহয় মাছধরার কেমন মাথা উঁচু! লোহার একটা কেমন লাঠি মতোন তাতে জাল জড়ানো, নীল পাড়ের জাল।
কিন্তু অদ্ভুত কি বলোতো, কোনো গন্ধ এতক্ষণ! ইঃ! বাবা কি আঁশটে দমবন্ধকর গন্ধ! ইশ! নাকে হাত চাপা দিয়ে পালাই
তবে শুধু মাছ নয় এত লোকের ঘাম ধূলো ওই যে জলটা চিকচিক করছে না ওর ও কেমন যেন একটা গন্ধ আছে রোদ পোড়া হলুদ হলুদ নুনের গন্ধ।
মাথা তুললে আকাশ! দিব্যি পরিষ্কার সাদা চকচকে নীল হালকা হালকা আকাশি ধরনের
এই লেখাটা না অদ্ভুত হল! অদ্ভুত মানে ওই নীল পাড়ের জাল, এ পর্যন্ত আমি কোনো গন্ধ পাইনি নাথিং! হঠাৎ গন্ধ পাচ্ছি না কেন এটা ভেবে নাক টানতেই!
এমন আগে কখনো হয়নি, ফিল করে হয়নি মানে ফিলই করিনি। অদ্ভুত কেমন একটা লাগলো আশ্চর্য! উত্তেজিত হয়ে গেলাম
Posted in: May 2020 - Cover Story, POETRY