উৎস রায় চৌধুরী-র কবিতা

উজাগর

জমানো বারান্দার হাতগুলো পাখি, আলতো এক মুঠো
 দু আনি শব্দপাত খালি খালি চাঁদ কলসীতে ভরছে
  শ’য়ে শ’য়ে ঝিলাম বাহার যে ধান্য কালের গান
   তার অতি মিঠেল গলি পথ পকেটে পুরছি রোজ
   মেগাস্থিনিস আঁকা জামায় যে গুলাবি মখমল
    তার কিছুটা অসময় হয়ে ঝুলে আছে অমান্য দেহে

     বিশদ ফুটপাত এহেন যেন ঘর বসে আছে কার্পেটে
      আমার কলম জপে ব্যাঞ্জন ভীষন যৌন তুমিও আমি!!
       অমন বা এমন ধিন্নি মুখের ওপাশ টা খই তাপছে
        এ উত্তাপ সুরংগ অহেতুক সুন্দর বলছে বুঝতে না বুঝতে
         কিসমের পাঁচ পা সরে কেমন তরপাচ্ছো যেন সৈনিক
          আমার যুদ্ধ ক্লান্ত ফরাস পাতা মেঝে আজ হাউই বাগান—

 

 

অসেরামিক পাখি

 

 

উড়ন্ত অবসাদ এক কোণে প্রেমিকার মতো
 ছুঁই ছুঁই মধ্যবিন্দু আগল মাখা চারকোণ
  সবসময় এক তরফা হয় না, চীর ধরা দেয়াল
   ফোকরে বড্ড যে প্রেম চিলেকুঠি শালিক
    তা বাদুরিয়া হাসানের নামাজ পল্লী
     কুরমিল্লা থেকে পারদ চেয়ে দেখিয়েছো বিকার

      মলমলি আওয়াজে চোখ খুলে যায়
       বিলে ওঠে জল আর অবাধ ছড়ানো আঁতাত
        ভিন্নতা বোঝো না বলে আমি আকাশ
         নন বেলেবল চিহ্ন ধরে হাতিয়ে দেখেছি মুখ
          কান্নার সোঁদা গন্ধে স্ট্যাচু হয়ে যায় চাওয়া
           বলো তো বলতেই এক ঝুড়ি ফিঞ্চ পাখির গান——

Facebook Comments

Leave a Reply