অনুবাদ : শ্রীপর্ণা দত্ত

ভাইরাসের সদগুন : রকো রোনকি

[রকো রোনকি একজন ইতালীয় দার্শনিক। উনি বর্তমানে University of L’Aquila-এ দর্শন-এর অধ্যাপক। ফিলসোফি অফ কমিউনিকেশন: দি ওয়ার্ল্ড এস রেস্ট এন্ড থিওজনি , ব্রেচট: ইন্ট্রোডাটশন টু ফিলসোফি , বার্গসন: এ সামারি ইত্যাদি গ্রন্থ সমূহের রচয়িতা।]

মহামারী ইভেন্টের অনুপাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময় উপমা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা কঠিন কাজ । কভিড-১৯ এর অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ছড়িয়ে যাওয়া বর্তমানে এক সাধারণ রূপক হয়ে উঠেছে , আধুনিকতার পরবর্তী সময়ে মানবিক অবস্থার উপর যা প্রায় প্রতীকী বৃষ্টিপাত। যা চল্লিশ বছর আগে হয়েছিল এইচআইভি ছড়িয়ে পড়ার সময় তারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে এখন। মহামারীটি এক ধরনের পরীক্ষামূলক ক্রুশিসের আকারে দেখা দিয়েছে, যেখানে অনুমানগুলি রাজনীতি থেকে বিশ্বায়নের প্রভাব এবং ইন্টারনেটের সময় যোগাযোগের রূপান্তর, যা অনুমানগুলি কে রূপকের সুউচ্চ দৃষ্টান্তে পৌঁছে দেয় । বিচ্ছিন্নতা, অবিশ্বাস, সন্দেহর কারণ হওয়ায় অন্যভাবে ভাইরাসটি “পপ্যুলিস্ট” এবং “সার্বভৌমবাদী(সভরেইনিষ্ট)”। বর্তমান অবস্থা আমাদের বাধ্য করেছে “ব্যতিক্রম অবস্থা” কে বিশ্বজনীন ভাবে প্রয়গ করতে, যা আবারও ফুকো র থিসিসকে সঠিক প্রমাণ করে যে সার্বভৌম ক্ষমতা হলো বায়োপলিটিক্যাল (যা মানুষের জৈবিক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে, পরিচালনা করে এবং শাসন করে) । ভাইরাসটির অনাবাদী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনেকটা অর্থনৈতিক পুঁজিবাদের ভিতের মত। এটির সংক্রমনের তীব্রতার সঙ্গে অনলাইন যোগাযোগের “ভাইরাল” শব্দটির তুলনা করা যেতে পারে। অবশেষে ভাইরাসটি আমাদের চিরন্তন মানব অবস্থার ইঙ্গিত দেয়। যদি মানুষ ভুলে গিয়ে থাকে যে তারা মরণশীল, সীমাবদ্ধ, নির্ভরশীল, উদাসীন, সত্বা বিশেষে অভাবপূর্ণ, ইত্যাদি, তবে এই ভাইরাস তাদের বিভ্রান্তি সংশোধন করতে বাধ্য করে। এই বিবেচনাগুলি বৈধ , এগুলি প্রকৃতপক্ষে ন্যায় সঙ্গত। তারা এসব উপলব্ধি করতে পারছে এবং তার একমাত্র কারণ তারা অজানা থেকে জানায় নেমে এসেছে। তারা এখন ভাইরাসটিকে ইন্টুইটিভ প্রুফ হিসেবে ব্যবহার করছে যা প্রত্যুত্তরে ফেনোমেনোলজির তাত্ত্বিক ভাষায় কথা বলে। ভাইরাসের চারপাশে যে সমালোচনামূলক অন্তর্দৃষ্টি তৈরি হয়েছে তার জন্য কভিড-১৯ পূর্বানুমানকে উপস্থাপিত করার কাজে ব্যবহৃত বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর চলচ্চিত্রের নাম।
যদি ভাইরাসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি একটি ইভেন্টের মত হয় (এটা অস্বীকার করা খুবই কঠিন )তাহলে এর নিশ্চই কিছু গুন থাকবে। ইভেন্ট এই জন্য না যে এটা ঘটেছে, ইভেন্ট শুধুমাত্র ঘটনা নয়। ইভেন্টের একটা গুন আছে , একটা ক্ষমতা এবং একটা অধিপত্ব আছে । এটা নিজে থেকে কিছু করার ক্ষমতা রাখে যা সাধারণ ঘটনা থেকে আলাদা। একটা ঘটনাকে আমরা তখনই ইভেন্ট বলব যখন তা সমাজে একটা বিপর্যয় নিয়ে আসবে। যদি কোনো ঘটনা বিপর্যয় না নিয়ে আসে তাহলে তা ইভেন্টই নয়। অর্থাৎ কিছু ঘটেছে এমনটা আমরা বলতে পারি না। এখন প্রশ্ন হল তাহলে ইভেন্ট কি করে ? ইভেন্টগুলি এমন কিছু পরিবর্তন ঘটায় যা এর আগে অসম্ভব ছিল। আবার ঠিক ইভেন্টের পর এই পরিবর্তনগুলি অতীত হতে শুরু করে। সংক্ষেপে, ইভেন্টের এরকম হওয়ার কারণ এটি বাস্তবে সম্ভাব্যতাকে দর্শায়। মাথায় রাখতে হবে যে কোনো কিছু “সম্ভব” কারণ তা কার্যত প্রয়োগ করা যায়। “সম্ভাব্য” মানে যা করা যায় বা যেতে পারে। “সম্ভব” কোনো অ্যাবস্ট্রাক্ট কল্পনার জগৎ নয় যা এই জগতের চেয়ে ভালো। এটা হলো শুধুমাত্র “কার্যক্ষমতা” যা কাজ এবং তার নির্ধারিত গতিবিধির উপর নির্ভর করে। একটা ইভেন্টর গুন এটাই যে যা আগে অসম্ভব বা ধারণার বাইরে ছিল তা ইভেন্টটি ঘটার পর সম্ভব। একটা ইভেন্ট পরিবর্তন করে, যা আগে অসম্ভব ছিল তাকে সম্ভব করে, আমাদের একটা নতুন ভবিষ্যত দেয় যা একান্ত ভাবে এই ইভেন্টেরই তৈরি। একটা ইভেন্ট সমাজে নতুন প্রয়োজন সৃষ্টি করে যার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যত বর্তমান হয়।
বর্তমানে কভিড-১৯ ইভেন্টের পরবর্তী ভবিষ্যতের আমরা খুবই কাছে। এখন আমাদের মানুষকেই ভয় পেতে হচ্ছে, আর আমরা এই অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী। যদিও, এই ভাইরাস অপ্রত্যাশিত ভাবে আদর্শগত পরিবর্তন ঘটিয়েছে। চোখে পড়ার মত বিষয় হল সীমানার সাথে যুক্ত আদর্শের আকস্মিক অন্তর্ধান। এই ভাইরাসের আবির্ভাব এমন সময়ে যখন প্রায় গোটা বিশ্ব একটা নির্দিষ্ট বিশ্বাসে এসে মিলিত হয়েছে যে বিশ্বায়নের হুমকি গুলি কেবমাত্র সীমানা রক্ষা এবং শক্তিশালী আত্মপরিচয়ের দ্বারা নির্মূল করা সম্ভব। পপ্যুলিস্টরা বই ঘৃণা করে কিন্তু মানবকেন্দ্রিক(anthropocentric) মতবাদে বিশ্বাসী হওয়ায় সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেয়। এর ফলে এরা যে সম্প্রদায় তৈরি করে তা ঐতিহাসিক, রোমান্টিক এবং ট্র্যাডিশনাল। এই সম্প্রদায় স্থানীয় কারন এটি অসাম্প্রদয়িকতা (কসমোপলিটানিসম)-এর শত্রু। পপ্যুলিস্টরা মনে করেন প্রকৃতি ভিন্ন, তা শুধুমাত্র সম্প্রদায়ের মঙ্গলার্থে ব্যাবহার যোগ্য দ্রব্যের উৎস (একবার ভেবে দেখুন বালসনারোর আমাজন বিনাশ, বিশ্ব উষ্ণয়নের ক্ষেত্রে ট্রাম্প-এর উদাসীনতা, গ্রেটা-র প্রতি সলভিনির ঘৃণা…)। পপ্যুলিস্টদের কাছে মানবতা সবসময়ই ব্যতিক্রমী এবং এটাই তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি। আমার মনে হয়, কোনো পপ্যুলিস্ট যদি ক্রস কে চুম্বন করে তাহলে তার একমাত্র কারণ এটি ধর্মতাত্ত্বিক ভেবে মানুষের ব্যতিক্রমধর্মী কার্যকলাপকে প্রতিষ্ঠিত করে। এই ভাইরাসের অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ছড়িয়ে পড়া ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃভাবে আমাদের একটি বিশ্বব্যাপী সম্প্রদায়ে পরিণত করেছে যেখানে আমরা একই ধরনের প্রাত্যাহিক কাজ করছি (যেমন হাত ধোয়া)। বর্তমানে আমাদের নিয়তি আমাদেরই হাতে এবং তা অবশ্যই প্রকৃতির বাইরে নয়। আমাদের কালচারালিস্ট এবং মানবতাকেন্দ্রীক অন্ধবিশ্বাস কখনই গতিহীন এবং অকার্যকর শিক্ষার দ্বারা জয় করা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র এই পৃথিবীর অংশ হওয়ার সাধারণ সত্যের জন্যে প্রতিটি ব্যক্তির সমস্ত জীবের প্রতি যে দায়বদ্ধতা রয়েছে তা এড়িয়ে চলা একটা কাশি হঠাৎ করে অসম্ভব করে তুলেছে।
ভাইরাসের বিপর্যয় সৃষ্টির ক্ষমতা আমাদের দেখিয়েছে যে “সমগ্র” একটা “অংশ”-এর মধ্যে বিরাজমান, “সবকিছুর অবস্থান, নিশ্চিত ভাবেই, সবকিছুর মধ্যে”। পৃথিবীতে এমন কোন জাতি নেই যা সার্বভৌম এবং ব্যতিক্রমী। প্রকৃতির নিয়মে রাজত্বের কোনও উল্লেখ নেই। “পদার্থের” ওপর “আত্মার” শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা নিয়ে স্পিনোৎজা একবার উপহাস করেছিলেন। এই ভাইরাসের অদ্বৈতবাদ সত্যিই বন্য এবং ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর। যদি সংস্কৃতি চর্চা (কালচার) আমাদের এবং বর্বরদের মধ্যে বিভাজন তৈরী করে এবং বিভিন্ন ধারায় বিভক্ত করে, মনুষত্বের ক্রমবিভাজন ঘটায় তবে তার বিপরীতে ভাইরাসটি সংযোগ স্থাপন করে, আমাদের একটা সর্বজন স্বীকৃত সমাধান খুঁজতে বাধ্য করে। বর্তমানে নিজের নিজেকে রক্ষা করা একটি অসম্ভব ব্যাপার এবং আরও অসম্ভব এই প্রক্রিয়ায় প্রকৃতিকে এড়িয়ে চলা। বলা হচ্ছে যে এই মহামারী কতগুলো “রেড জোন” গঠন করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যা গার্হস্থ্য জীবন কে নির্জন এবং এলাকা গুলির সামরিকিকরন করবে। এটাই হলো আসল কথা। এই প্রক্রিয়ায় যে দেওয়ালের উল্লেখ করা হচ্ছে তার অর্থ ধনী ও গরীবদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী দেওয়ালের থেকে আলাদা। এখন যে দেওয়াল খাড়া করা হচ্ছে তা “অন্য”-দের জন্য, তা সে যেই হোক। বর্তমানে “প্রতিবেশী”-র ধারণাটিও “অন্য”-এর স্তরে উপনীত হয়েছে। মানুষে মানুষে এক মিটারের দূরত্ব যে দেওয়ালটা তৈরী করেছে তা এখন হাত মেলানোর পরিবর্ত হিসেবে কাজ করছে। এই ব্যবহার কোনোভাবেই পৃথকীকরণের সংকেত নয় বরং এটিই এখন যোগাযোগের মাধ্যম। এই বিষয়টি নিশ্চিত যে ফ্যাসিস্টরাও এই দেওয়াল গুলি উপস্থাপন করতে সক্ষম হয় নি এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তাব গুলির ক্ষেত্রেও তারা কতটা সঠিক ছিলেন সে বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এই ভাইরাসের তীব্রতার সামনে অল্প সময়ের জন্য হলেও ফ্যাসিস্টদের সবচেয়ে শক্তশালী অস্ত্র সরিয়ে রাখতে হবে।
ভবিষ্যতে এই ইভেন্টের ফলে ঘটা রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলি দেখার জন্য আমাদের খুব একটা বেশী অপেক্ষা করতে হবে না। এখানে একটা দিক বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাইরাস সেই সমস্ত প্রধান কাজগুলির পুনরুদ্ধার করছে যা এককালে রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রের অংশ ছিল। এই বিষয়টি তুলে ধরতে ক্লাসিকাল চিন্তাবিদদের একাংশ একটা রূপক ব্যবহার করে থাকেন। যেমন ধরুন, দুর্যোগপূর্ণ সমুদ্রের মধ্য দিয়ে কোনো নাবিকের যাত্রা। অতীতের চিন্তাবিদরা বাস্তববাদী (রিয়ালিস্ট), তারা জানত যে এরকম সময়ে যাত্রা শেষ করা অসম্ভব কারন কোনো সুরক্ষিত উপকূল পাওয়া যাবে না। তাদের মতে সমুদ্র যাত্রার প্রয়োজন জীবনের থেকে বেশি। প্রকৃতির মতো রাজনৈতিক উপাদান গুলিও ভাগ্য, সুযোগ আর ঝুঁকিগ্রহন এর ওপর নির্ভর করে। এই উপাদান গুলি দক্ষ বুদ্ধিমত্তার দ্বারা যথাযথ ভাবে নিয়ন্ত্রণই হলো রাজনীতির “গুন”। রাজনীতি প্রধানত ‘ মানুষ এবং যা কিছু মানবিক ‘ সেই সমস্ত কিছুর ত্যাগ করে “আধুনিক” মানবতার একটি ভ্রম তৈরী করে যা পরবর্তীতে আত্মার সঙ্গে পদার্থের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রাজনীতির প্রধান কাজ হল প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, শাসন করা নয়। এটা আবার পরক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রণের রাজনৈতিক কারনকেও তুলে ধরে। এই বিষয়ে প্লেটোর একটা সূত্র মনে রাখা দরকার: kata dynamin বা সংক্ষেপে, যতটা একটা মানুষের পক্ষে সম্ভব। নিঃসন্দেহে উহান প্রদেশের কাশি এই রাজত্বের অনুমানকে হাস্যসম্পদ করে তুলেছে। একটা কাশি সেই বিপর্যস্ত নাবিককে এমন একটা বাস্তব সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে যা এই সময় আমাদের পরিকল্পনার বাইরে ছিল। কভিড-১৯ রাজনৈতিক দল গুলিকে তাদের সার্বভৌম স্তর থেকে নামিয়ে এনে তাদের প্রকৃত দায়িত্ব পালনে বাধ্য করেছে। নিজে আজ্ঞাধীন থেকে, নিজের শক্তিহীনতা প্রদর্শন করে অসাধারণ প্রযুক্তিগত কাজ করেছে। এমন দুর্যোগপূর্ণ সময়ে এই ভাইরাসের অপ্রতিরোধ্য সংক্রমণ একমাত্র রাজনীতির দ্বারাই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, উহান প্রদেশ এর উদাহরণ (বলে রাখি, গ্রীকদের কাছে রাজনীতির “গুন” হলো “সাইবারনেটিক” যা নৌ সন্মন্ধিয়)। বস্তুত, যা কিছু সপ্তাহ আগেও অসম্ভব বলে মনে হচ্ছিল তাই বর্তমানে দেখার বিষয়। অর্থনীতির ওপর রাজনীতির প্রাধান্য সবসময়ই থাকবে। তবে এর পরবর্তী সময় অবশ্যই একজন প্রিন্সের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকার করবে যিনি তার নাবিকদের ভাগ্য নিয়ে চিন্তা করবেন।
সবশেষে, এই ভাইরাস আমাদের ভাবতে বলে। যদিও আমি এটা বিশ্বাস করি না যে ভাবার বিষয় মানুষের অনিশ্চিত অস্তিত্ব বা কাজকর্ম। মানুষের অস্তিত্বের অনিশ্চয়তা প্রমাণ করতে নিশ্চিত ভাবেই কভিড-১৯ এর কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু দুশ্চিন্তা এখনও নির্মূল হয়নি। ভাইরাস আমাদের এবং অন্যদের অস্তিত্বকে ভাগ্যের দ্বারা আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে। হঠাৎ করে মনে হচ্ছে আমাদেরই ইচ্ছার বিপরীতে আমাদেরই শরীরে বেড়ে ওঠা একটা শক্তিশালী কিছু আমাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা কি এতটুকুও আপোস করে? স্বাধীনতার মানে যদি কোনো ঘটনার অবশ্যম্ভাবিতার সাথে বিরোধিতা করা হয় তাহলে তা নিশ্চিত ভাবেই মাঝারি ধরনের স্বাধীনতা। এই ভাইরাস আমাদের স্বাধীনতার একটা পরিমিত ধারণা দেয় যা অবশ্যই এর গুণ গুলির মধ্যে একটি। ভাগ্যের বেঁধে দেয়া ছকে কিছু করার মধ্য দিয়েই স্বাধীনতা অর্জন করা যায়। কোনো নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে যথাসম্ভব কাজ করাই হল স্বাধীনতা। সংক্রমণ আটকাতে হাজার হাজার মানুষের আন্তরিকতা এবং আত্মোৎসর্গ প্রতিদিন এই স্বাধীনতাকে মূর্ত করে তুলছে।

Facebook Comments

Leave a Reply