গল্প : সোমনাথ ঘোষাল
তারা মা হোটেল
তারকবাবু পিঁপড়েদের খুব ভালোবাসে। পারিবারিক নিয়ম মেনে রোজ সকালে পিঁপড়েদের চিনি দেয়। হোটেল খোলার আগে। পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব বয়স। বউ মারা গেছে। অনেক বছর। এক মেয়ে ছিল। বিয়ের পর আর তেমন খোঁজ রাখে না। অতএব তারকবাবু একাই থাকে। হোটেল বলতে, ভাতের হোটেল। একবেলা। আগে রাতেও চালাত। কিন্তু কর্মচারীরা একে একে কমে যেতে আর টানতে পারে না। দুজন কর্মচারী। রোজ মেরেকেটে ষাট সত্তর জন খায়। মাছ ভাত- ৪০, চিকেন ভাত – ৪৫, ডিম ভাত- ৩৫ আর সব্জি ভাত- ৩০। একটা পুরনো পলকা কাঠের চেয়ার টেবিল। মাথার ওপর লক্ষ্মী গনেশ কালী আর শিব। আর তারা মা’র একটা বড় ছবি। বাঁধানো। অনেকদিনের। একটাই ঝোল। একটাই তরকারি। কিছু একটা ভাজা। আর ভাত। মাছ আর ডিম আলাদা থাকে। চিকেনের ঝোলেই বাকি সবকিছু চলে যায়। আর নুন লঙ্কা লেবু। পেঁয়াজের যখন যখন দাম বেড়ে ছিল, তখন কিনতে হত। এখন এমনি। হোটেল খোলে বারোটায়। কিন্তু কাজ শুরু নটা থেকে। বিকেল সাড়ে তিনটে চারটে অব্দি লোক খায়।
এই হোটেলের পুরো বিষয় সামলায় ফতেমা খাতুন। বয়স ষাটের কাছে। মোটাসোটা। দীর্ঘ বছর ধরে তারকবাবুর হোটেলে কাজ করে। একাই সব সামলায়। ভোরে সোনারপুর থেকে রোজ আসে। সন্ধ্যায় ফিরে যায়। ফতেমার কেউ নেই। এক সময় কোলে মার্কেটে সব্জি বেচত। ফতেমার স্বামী তখন ছেড়ে দিয়েছে। ছেলে ছেলের বউ দেখে না। একটা ঘর পেয়েছে। অনেক কষ্ট করে। সেই সময় তারকবাবু সব্জি কিনতে যেত। সদ্য বউ হারানো তারকবাবুর ফতেমার প্রতি একটা আলগা পিরীত জন্মায়। সেখান থেকে তুমুল প্রেম। যৌবনে তারকবাবু লাল ঝাণ্ডা নিয়ে অনেক বিপ্লব করেছে। তখন গ্লাসের কারখানায় কাজ করত। বাড়ির অমতেই বিয়ে। মেয়ে মাধ্যমিক দিয়েই পাঞ্জাবী ছেলের সঙ্গে পালালো। তারকবাবুর বউ আগে থেকে হার্টের রুগি। তাই বেশিদিন বাঁচল না। সেই ফাঁকা সময় তারকবাবুর সঙ্গে ফতেমার প্রেম। প্রথম দিকে জানাজানি হতেই খুব সমস্যা হয় তারকবাবুর। কিন্তু পরে আস্তে আস্তে থিতিয়ে যায়। তারকবাবুর একটাই কথা জীবনে সঙ্গী লাগে। একা থাকা যায় না। আর এমনিতে খুব মুখমিষ্টি। আর আগাগোড়াই দুপুরে গরীব অসহায় মানুষদের মাগ্নায় খাওয়ায়। তাও সেটা দশ পনেরো জন। রাস্তার ধারেই হোটেল। খুব একটা পরিষ্কার নয়। আর লাভ বলতে তেমন ভালো কিছু নয়। দুজনের মাইনে দিয়ে আর ফতেমার জন্য কিছু টাকা রেখে তারকবাবুর হাতে বিশেষ কিছুই থাকে না। মেয়েকেও মাঝেসাঝে টাকা পাঠাতে হয়। আর বাসি খাবার বেচে না তারকবাবু। পারলে একটু বেশি করেই খাওয়ায়।
তারকবাবুর হোটেলে মূলত মিস্ত্রীরাই খায়। বেশির ভাগ বাঙালি মুসলমান আর বিহারী। কারখানায় থাকাকালীন এই শ্রমিকদের জন্য খুব গলা ফাটিয়েছে। তাই আবেগ আছে। কথায় কথায় সিগারেট আর বিড়ি। রাতে একটা হুইস্কির নীপ। কিন্তু এই বিড়ি সিগারেটের জন্য ফতেমার সঙ্গে মাঝে মাঝেই অশান্তি। তারকবাবু মিস্ত্রীদের সামনেই হাসতে হাসতে হলে, শোন আমি মরে গেলে এই হোটেল তোর। ফতেমার সব ভালো কিন্তু খিস্তি শুনলে কানে গঙ্গাজল দিতে হয়। কারণ একটাই দীর্ঘ বছর কোলে মার্কেটে সব্জি বেচার ফলে মুখে খিস্তি ছাড়া আর কিছুই থাকে না। ভালোবেসেও খিস্তি মারে। কারণ একা একটা মেয়ের পক্ষে সব্জি বেচা মানে কি সেটা তারকবাবুও খুব ভালো মতন জানে। ফতেমা কখনও কখনও মাল খেলে এইসব কথা বলে। সেইদিন আর বাড়ি ফেরে না। কারণ কান্নাকাটির পর ফতেমা তারকবাবুকে বলে কি রে করবি না! না লাগালে আরও মন খারাপ হবে আমার। প্রথম প্রথম শিয়ালদার ঘণ্টার হোটেলগুলোতে তারকবাবু লাগিয়ে নিত। ফতেমা বলত, শালা তোর রস তো না যেন এঁচোড়ের ফেদা। তারকবাবু হা হা করে হাসত।
সরু আলপথ ধরে খেজুর গাছের সারি। কিছু বাচ্চা খেজুর পাড়ছে। ঢিল মেরে। খানিকটা এগিয়ে গেলেই ফতেমার ঘর। সোনারপুর থেকে অনেকটা ভেতরে। গ্রামের নাম আসলপানি। ফতেমার বেড়ার ঘর। সামনে একটু জায়গা। এখন একটু পাঁচিল দিয়ে ঘিরেছে। উঠোনে সজনে গাছ। খেজুরপাতার ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করছে। ঘরে দুটো আলো। সরকারি বাথরুমে একটা আর একটা ঘরে। দালানে হ্যারিকেন জ্বলে। নাহলে সামনের ল্যাম্পপোস্টের আলো দালানে আসে। আজ পূর্ণিমা। ষাট ছুঁই ছুঁই ফতেমার এখনও যৌবন বাকি আছে। ফতেমা নিজেকে ওই সজনে গাছের মতন ভাবে। এখনও ফুল হয়। গতর জুড়ে ফুল। তারকবাবুর জন্য এখন ভালো আছে। নাহলে এ শরীর নরকের মতন হয়ে গেছিল। যখন যে পারত ভোগ করত। যদিও ফতেমা কোনোদিন টাকা নেয়নি। ফতেমার একটাই দোষ। ফতেমা জানে সব মিথ্যে তাও বিশ্বাস করতে চাইত। সেই কবে থেকে নদীর জল ভাঙছে। তবুও নদীতে জোয়ার ভাটা খেলেছে। বালির চর জমে যেত। আবার চাঁদের আলোয় চিকচিক করে উঠত নদী। এখান থেকে অনেকটা দুরেই মাতলা নদীর আল গেছে। সেও মাতাল নদী। কত মাথা খেয়েছে। কত ঘর! সেই পীর যদি না তাবিজ পুঁতে দিত নদীর চরে, তাহলে এতদিনে কেউ থাকত না! সজনে গাছের হাওয়ায় চাঁদের আলো দোল খাচ্ছে। দালানে বসে ফতেমা তাকিয়ে থাকে। ফতেমা ভাবে জীবনে দুটোই খিদে ছিল। এক পেটের আর এক শরীরের। যদিও এখন শরীরের খিদে তেমন নেই। শুধুমাত্র তারকবাবুর জন্য মায়া। তাই একটু সঙ্গ দেয় ফতেমা। জীবনে তো অনেককিছুই করতে হয়েছে। পনেরো বছরে বিয়ে হয় ফতেমার। সতেরো আর কুড়িতে দুই ছেলে। কিন্তু যৌবন ছিল। ছিল খিদেও। ইকবাল ওর স্বামী। রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। ভালোই চলছিল। অভাব ছিল না। চল্লিশের গোড়ায় ইকবালের আবার বিয়ের সাধ হয়। ফতেমার ওটাই ছিল অভিমান! কারণ ইকবাল কোনোদিনই ফতেমাকে শান্ত করতে পারেনি। তাও ফতেমা মেনে নেয়। তারপর ফতেমাকে জীনে ধরে। ফতেমা না কি মাঝরাতে বাগানে ঘুরে বেড়াত। ইকবাল তখন মসজিদের মৌলবির কাছে নিয়ে যায়। মৌলবির কথা মতন তিন বছর ফতেমাকে আলাদা রাখার কথা বলে। ততদিনে ইকবালের বিয়ে হয়ে যায়। ফতেমার বড় ছেলেরও ঘরে বউ আনে। ফতেমা বুঝে যায়, ফতেমার ঘর নেই। তাই মৌলবির নদী হয়েই ফতেমা ভাসতে থাকে। তারপর এই ঘর। কোলে মার্কেট। সেখানেও অনেক হাত নদীতে হাত ধোয়া। ফতেমার মন নেই। হয়ত কোনোদিন ছিলও না! মন আসলে কিছুই হয় না। ওটা আসলে একটা হিসেব! ফতেমার মা বলত, যতক্ষণ আশ ততক্ষণ শ্বাস! ফতেমার আশ কমে এসেছে। যেভাবে চাঁদের আলো কমে ভোরের দিকে। ফতেমা আজ অনেকদিন পর ঘরে এসেছে। কিছু শাড়ি নিতে। আর আশপাশের লোকজনের জন্য কিছু টাকা দিতে। সবকিছুই না কি বন্ধ হয়ে যাবে। তারকবাবু বলছিল। সবাই মরে যাবে। কেউ বাঁচবে না। তাই ফতেমা এসেছে। কারণ এখন কলকাতায় থাকতে হবে। তারকবাবুর হোটেলে। ফেরা যাবে না। গ্রামে এখন ফতেমাকে সবাই ভালোবাসে। কারণ মৌলবি মরার আগে বলে যায় ফতেমা খুব পবিত্র জীন। আল্লাহ ওকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। ইকবালরা এখন কোথায় সেটা ফতেমা জানে না! কিছু বাড়িতে চাল ডাল কিনে দেয় ফতেমা। কিছু টাকাও দেয়। আর বলে যায় আল্লাহ চাইলে দেখা হবে। তোমরা আমার ঘর আর সজনে গাছটা একটু দেখো। জল দিও রোজ। ফতেমা ভ্যানে ওঠে। সেখান থেকে টোটো। তারপর ট্রেন। কলকাতা। এই আসলপানি গ্রামে সবাই এখন ফতেমাকে পরী’মা বলে ডাকে। ফতেমা ট্রেনে উঠে একদম আলাদা মানুষ হয়ে যায়। এই লাইনে ফতেমাকে চেনে না এখন কেউ নেই। কারণ ফতেমার খিস্তি ও অন্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া। যদিও ফতেমা টিকিট কাটতো। আর কথায় কথায় ল্যাওড়া গাছের চচ্চড়ি।
শহর এখন বন্ধ। দেশ বন্ধ। খাবার! জানে না কোটি কোটি মানুষ! আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ দিন আনা দিন খাওয়া। সব বন্ধ থাকলে কীভাবে চলবে? এই কথাই চলছে ট্রেনের মধ্যে। কেউ বলছে আমাদের দেশে কিছু হবে না! আবার কেউ বলছে ভগবান আছে। কেউ বলছে আল্লাহ! সবাই সব্জি বেচে। আবার কেউ হকার। সবারই খুব চিন্তা। কাল থেকে ট্রেন বন্ধ। ফতেমা বিষয়টা জানত। তারকবাবু বলেছিল। কিন্তু এখন বুঝতে পারছে না… কেউই কিছু বুঝতে পারছে না। এখন কোনোদিন হয়নি। শোনেনি কখনও। ছোঁয়া লাগলে মরে যাবে! না জুটবে মাটি না জুটবে চিতা! অ্যাসিড দিয়ে গলিয়ে দেবে…! ফতেমা কথাগুলো শুনতে থাকে। খুব ভয় পায়। ভাবে এমন কী রোগ যা আল্লাহও সারাতে পারে না! ভগবানেও পারে না! কোথাও ভিড় করা যাবে না! কোথাও বেরোনো যাবে না! তাহলে মানুষ খাবে কি? চিৎকার করে একটা বাদামওলা বলে ওঠে। পাশে একটা সব্জিওলা বলে, কেন দাদুর বিচি! ফতেমা বলে, হ্যাঁ রে বাঁড়া তোর বাবাকে বল এখন বিচি চুষতে! আজ ভেন্ডারে চরম ভিড়। ফতেমা গেটের সামনে কাগজ পেতে বসে আছে। ফতেমা আজও ট্রেনে উঠলে ভেন্ডারেই যায়। অনেক পুরনো চেনা মুখের সঙ্গে দেখা হয়। ফতেমা জানে ও আসলে একাই। এটা করেই পেট চলত। দীর্ঘ বছর।
টিনের চালের অবস্থা খুব একটা ভালো না। তারকবাবু ভেবেছিল এই পয়লা বৈশাখে নতুন চাল করবে। হোটেলের। রঙ করবে। কিন্তু যা অবস্থা তাতে পেট চলবে কীভাবে জানে না! তারকবাবু বিড়ি ধরায়। ভাবে আর সিগারেট খাওয়া যাবে না! এরপর মিস্ত্রীরাও চলে যাবে। চলবে কীভাবে। আর মিস্ত্রীদের কাজ না থাকলে ওরাও বা টাকা দিয়ে খাবে কি করে? আর টাকা থাকলেও সে আর কতদিন! তারকবাবুর কারখানার কথা মনে হয়। সেই সব নেতারা এখন বিরাট বড়লোক। যাদের কথায় দিনের পর দিন কারখানা বন্ধ ছিল। কিন্তু রজতদার মতন নেতাও ছিল। যাকে মালিক আর নেতারা মিলেই মেরে ফেলে। তারকবাবুর বাঁ হাতের দুটো আঙুল নেই। তবুও তারকবাবু আজও বাঁ হাতেই বিড়ি বা সিগারেট খায়। সেইদিন বিশ্বকর্মা পুজো ছিল। তারকবাবু ও বাকি কারখানার শ্রমিকরাও মাল খেয়ে আউট। হঠাৎ করে জানতে পারে, মালিক পক্ষ বলছে আর কারখানা চালাতে পারবে না। নেতারা সব জানত। আর সেইদিন রাতেই রজতদাও মারা যায়। রজতদা বাংলা খেত। বলত, শোন কমরেড দরকার হলে শ্রমিকের ভাত ছিনিয়ে নিতে হবে। জানবি আমরা কাজ বন্ধ করে দিলে মালিকেরও টান পড়বে। লড়াই চলবে। আর শোন, শ্রমিকদের পাশে থাকিস। মার্কস, লেনিন, স্তালিন বুঝতে হবে না। ভাত বোঝ। অধিকার বোঝ। লড়াই বোঝ। ইতিহাস তাই বলে। সেইদিন তারকবাবুও বাংলা খেয়েছিল। রজতদার জন্যে কান্না পায়। ভাবে এই সময়টা রজতদার কথাই অনুসরণ করবে। কাল সকাল থেকে সব বন্ধ। কিন্তু তারকবাবুর মদ ছাড়া চলবে না। দুজন কর্মচারী বাপি আর কার্ত্তিক বলছে এখানেই থাকবে মাইনে লাগবে না। তারকবাবু কার্ত্তিককে বলে এই নে সাতশো টাকা সব বাংলা নিয়ে আয়। ওটা ছাড়া তো চলবে না! কার্ত্তিক চলে যায়। সন্ধে হয়ে গেছে। ফতেমা ফেরে। বাপি চা করে। তারকবাবু বলে, শোন বাপি তুই আর কার্ত্তিক আমার নিচের ঘরে শুয়ে যাস। এখন আর হোটেলে থাকতে হবে না। পুলিশ এসে আবার কি করে! ফতেমা আমার পাশের ঘরে শোবে। কিন্তু চলবে কীভাবে! সেটা তারকবাবু বুঝতে পারে না! ফতেমা বলে, যাদের জন্য এতদিন খেলাম তাদের তো খাওয়াতে হবে। তারকবাবু বলে, শোন সব মিস্ত্রী তো চলে যাবে। বাপি বলে, না সবাই আর পারবে না কি! অনেকে তো বহু বছর ঘর যায়নি। এখানেই খেতে আসে। তারকবাবু বলে আমার কাছে কিছু টাকা আছে। চালিয়ে নেব। কার্ত্তিক বাংলা নিয়ে এসে বলে ওসব হবে যাবে। কিন্তু কী কী হবে? কীভাবে হবে কেউ জানে না! কতদিন হবে তাও জানে না! কিন্তু সব বন্ধ থাকবে। শুধু পেট বন্ধ থাকবে না। রাতে একটু বাংলা আর সেদ্ধ ভাত খেয়ে তারকবাবু ঘুপচি ঘরের জানলার দিকে তাকিয়ে থাকে। পাশে হরেনদের টালির চাল। ডাব গাছের ছায়া পড়েছে। বিড়ি ধরিয়ে ভাবে, হোটেলটা এখন বন্ধ করবে কি না! কার্ত্তিক আর বাপিকে টাকা দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলবে! কিন্তু কীভাবে যাবে? মেদিনীপুর। সবই তো বন্ধ হয়ে গেল। দুম করে। শুয়োরের বাচ্চারা একবারও ভাবল না কি হবে? একটু সময় দিত। তারকবাবু হাঁপিয়ে ওঠে। ঘর অন্ধকার হরেনদের আলো কিছুটা ঘরে এসেছে। ফতেমা দরজার সামনে এসে বলে, এত চিন্তা করো না। আমার কাছে কিছু টাকা আছে। যতদিন পারি হোটেল চলাবো। কেউ টাকা দিলে দেবে না দিলে এমনি খাওয়ানো হবে। ওরা কোথায় যাবে? এত বছর ধরে আমাদের এখানে খেয়েছে। তুমি আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বোলো। হোটেল বন্ধ করা হবে না। তারকবাবু বলে, না রে একসঙ্গে এত লোক খাওয়ানো যাবে না! ফতেমা বলে তাহলে খাবার বিলি করব। ডাল ভাত সব্জি।
তারকবাবু ফতেমাকে ডেকে বলে, শোন সব বন্ধ হলেও মাঝে মধ্যে একটু করতে দিস। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে…!
Posted in: April 2020, Cover Story
সময়োচিত ও বাস্তবকে তুলে ধরার নিরলস প্রয়াসকে কুর্নিশ ।