সৌমনা দাশগুপ্ত-র কবিতা

মেঘেদের গানবাড়ি

একদিকে হেলে আছে সিঁড়ি। তুমি আজ নামগান হয়ে বেজে ওঠো, পদাবলী কীর্তনে ভরে যাক পাড়া। আমি তো আখর হব, সুরের উঠোনে।
সেই এক জিপসি ভ্রমর উড়ে আসে। পরিখার বুক ঘেঁষে চাঁদ পড়ে যায়। কান্তিবিদ্যা শিখে ভোল পালটায় মাঠ, তার শরীরের আঁকিবুঁকি। চড়কের কাঠে কাঠে ঘুরছে জীবন। তার পাশে মহাজাগতিক ডাল ঘোঁটা। শুধু সেই অন্ধ ভাস্কর এক বসে থাকে, মূর্তিটি অসমাপ্ত, বহুরৈখিক হাত উপড়ে নিয়েছে তার পরানের পাখি। অ্যালার্ম-ঘড়ির থেকে খুলে গেছে কাঁটা।
তবে কি কি করবে সে ত্রস্ত নিলামঘরে, মেঘ বেচে দেবে, গান বেচে দেবে কিলোদরে?
তবে কী সে বল্মীক ছিল কোনও গাছের জীবনে!
সূর্য কটাহে পোড়ে মেঘেদের গানবাড়ি।
তার দিন কেটে যায় পথে ও বাদাড়ে, ঝোপঝাড় গলে পাখি আসে। দীর্ঘ আলখাল্লার ভাঁজে তাদের নখ ও ঠোঁটের দাগ, ছেঁড়া কাপড়ের সুর পাখিও বোঝে না, আমিও জানি না কিছু সুতোর ব্যাপারে। সেই এক কল্পদ্রুমের থেকে কালো কালো ঝুরি নেমে আসে

তন্দুরি রাত

কে যেন এইমাত্র হাততালি দিল
কে
কে ও
সেকি আমি
মাদারির খেল থেকে খুঁটে তুলি
রং
কে সে
সেকী আমি
এ যে এক মহারসের কূপ। ঘাই মারো, মারো ঘাই। লেখা হোক ফণার বিস্তার। সে তো আধবোজা কুঁড়ি এক, জাগাও তাহারে। রসরতি-কাব্য ছলে ডেকে নাও চূড়ান্ত কুহেলি ভেঙে রৌদ্রের দিনে। যেমন সূতিকাগারের মাঝে একলা মানবী চিক্কুর পাইরা কাঁদে গভীর ব্যথায়, তেমনি যাতনার মাঝে তোমার নামটি লেখা হল, স্মরণীয় তোমার কথার থেকে চৈ চৈ ধ্বনি। ভিয়েনে চড়াও এ দেহের বাগান, ও চাঁদ, মৃদু আঁচে সেঁকে নাও তন্দুরি রাত। তুমি কী খবর রাখো জাতি ও যুঁথিসম পুষ্পসকল তোমার বারান্দায় এসে কোনও এক আশ্চর্য সকালে বলেছিল, ঠাঁই দাও! ভীরু এ জাহাজ কোনও জলকে নামেনি।

Facebook Comments

1 thought on “সৌমনা দাশগুপ্ত-র কবিতা Leave a comment

  1. দারুণ সময় কাটলো সৌমনার কবিতার সাথে

Leave a Reply