দীপঙ্কর দেবনাথ-র কবিতা

ব্রহ্মা

একটি খোয়াড় অনেকদিন ধরে বন্ধ
শূন্যে ওড়া পাতার লহর, গ্রীষ্মের মলাট সাজাচ্ছে মাটি;
স্যাঁতসেঁতে গন্ধ, চর্যার অক্ষর ফুটে উঠেছে-
আশ্চর্য এই জীববৈচিত্র্য।

মালিক নেই
পশুরা নিজেকে আর গবাদি ভাবে না।

সুন্দর ঘাস আগাছায় মুখ দিয়ে তারা তৃপ্তিতে খাচ্ছে;
ঘন বেড়ার শক্ত কাঠিগুলো প্রজন্মের মেরুদণ্ড; উইঢিবি।

ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়া ঝুরঝুরে মাটি বৃষ্টি ধোওয়া সার;
বন্য বীজকে যতই আশ্বাস দিক-

একভাগ স্থলে কোনো দল নেই,
প্রকৃতি ভিন্ন কোনো দেবতা নেই।

জানি, আছে আদিপুরাতন এক ব্রহ্মা
সুর- অসুর উভয়কেই আশীর্বাদ দেয়।

দর্শন সিরিজ

এক নির্জন দার্শনিকের রান্নাঘরে ঢুকে দেখি-
বরফের ওপর খালি হাঁড়ি চাপানো।

বিস্ময় – এমন এক অজ্ঞানতা যা নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত হই।

একটা মাতাল ধুলোর বিকেলকে আস্ত ডাবে পুড়ে দিলে
আকাশটা ভালো কাগজ হয়ে ওঠে।

সাধারণের বাস্তব কঠিন
ম্যাজিক সহজে ভোলায়;
তাই তুকতাকের দোকানে এত ভিড়।

মানুষ এবং ইঁদুর
গর্তে থাকলে কারো চোখে লাগে না।

সব আনন্দের মধ্যে বিষাদ লেগে আছে
একে তুমি নিজের ভাবতে পারো।

এ পৃথিবী ধ্বংস হওয়া জরুরী
এখানে শাস্ত্রও ঘোষণা করে আমার বলে কিছু নেই।

মানবে কিনা জানি না!
এ তোমার আমার পাপ মাত্র নয়;
কেউ তো আছে!
যার ইচ্ছাধীনে শুধুই মরশুমে দেখা হয়।

Facebook Comments

Leave a Reply