দেবাঞ্জন দাস-র কবিতা

করোনার দিনগুলিতে

৪.

ফাঁকা রাস্তা দেখে
প্রজাপতিকে মানুষ মনে হয়
বসন্ত লক আউটে আছে
এই ঘোষণা
নিস্প্রাণ সন্ধ্যার মত ফিরছে
শ্রমিকের ছাউনীতে

এক টুকরো সবুজের জন্য
আমরা মৃত্যুগুলো উৎসর্গ করলাম
আমেন!

এই শীৎকার তুমি হয়ত পেরোনোর চেষ্টা করবে
মাজা বাসনে মুখ দেখবে বারবার
আর আলোর কথা বলতে গিয়ে
মোমবাতির দূরত্বে বস্তি, হরিৎক্ষেত্রের মাঝে
আমি কমলালেবুর মাংস মাখব
টকদই, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ দিয়ে

৫.

অনেক মেহনতের বিকেলে এসে
অভিবাদনের কথা ওঠে
পা দুটোতে আগুন জ্বেলে
দেশকে সন্ধ্যা দেখালো ওরা
দৃশ্য জুড়ে টিলার ওপার থেকে
পথ নামে গুঁড়ো গুঁড়ো
চলে চলে যায় অট্টালিকারা
এক অসমর্থ বিকেল পড়ে থাকে ছায়াপাট জুড়ে

গ্রামগুলোতে উপসাগরীয় শ্রমিকের কলজে আসে
নদীর ঘাম নিয়ে উঠে আসে দক্ষিণের সেন্টারিং মিস্ত্রী
তখন ঝরে পড়া শিশিরগুলোকে ডাকনামে ডাকে সবাই
সেই ডাকছোঁয়া আঙ্গুলে খাতায় বিকেল লিখতে গিয়ে
সমুদ্র পরিহাস করে
অভ্যাসে বিছিন্ন হই বহুতলের অহঙ্কারে

৬.

ভোর ভোরের মতই হচ্ছে
তবু পাতাকে পাতা মনে হচ্ছে না
সবুজ নিয়ে তর্ক করতে করতে
বরফের গাছ বানাচ্ছ
তাকে দোস্ত বলে দিন শুরু করলে
চিনতে চাইলে
চোখের মণি বরাবর ঠাণ্ডাকে
গাছের পৃথিবীতে হাওয়া
মাছের পৃথিবীতে জল
এই সত্য পেরিয়ে
তুমি ভাবলে বরফকে ডানা দিয়েছ
ধানক্ষেত জাগছে শরীরে
রাস্তা ঠাণ্ডা হচ্ছে কফি কাপে

চাইলে রেকর্ডেড থাক এই উচ্ছ্বাস
ক্রমশ নিজেকে নেভালে দেখবে
রোদে ভেসে যাচ্ছ কারখানার চিমনীতে
বর্ষায় কথা বলছ মাঠে ময়দানে

এসব বিকেলে এসো বাঘবন্দী হই
খেলি সাজানো গুটিতে

Facebook Comments

Posted in: April 2020, Poetry

Tagged as: , ,

Leave a Reply