অর্ঘ্য কমল পাত্র-র কবিতা
বাগানবৃত্তান্ত
১.
এইসব যাচ্ছেতাই রাত…আমি একে ভ্রমর মনে করেছিলাম। তুমি তাকে নিয়ে গিয়েই বন্ধ করেছিলে দরজা। হয়তো এসব নিয়েই গান গেয়েছেন কবীর সুমন। এত কাটাছেঁড়া, গলায় ব্যথা আর নারীস্পর্শে আমাদের বাগানেও একটা আস্ত হেমন্তকাল ছিল
২.
ঘুমন্ত ফুলের কপালে জল ঢেলে দেয় সকাল। তবু এমনই তার সংসার, সস্তা আহ্বানেই উথলে ওঠে নদী। জীবনে যা কিছু সত্য তার উপর পড়ে থাকে হারামি পায়রার করুণ বিষ্ঠা। এখন কিছুকাল বৃষ্টি সেজেছি আমি। বিপদের দিনে ঝরে পড়েছি পায়ের ফাটলে। তুমিও শুষে নিয়েছো প্রেমহীন আরোগ্যলাভ। এখন এখানে অর্ঘ্য বলে কেউ থাকে না। হয়তো এখানে সেরকম কোনো মালি ছিলই না কোনোকালে…
৩.
দিগন্ত খোঁড়ার পর বাগানে বসাতে পেরেছি গানের ক্লাস। জলের ভেতরে মাছও তো বুজতে পারে না চোখ। হায় বাগানের আত্মজন, তোমাকে দেখে অন্ধ হয়ে গেছে দিগন্তের ভ্রমর। তুমিও বোধহয় আমার মতোই একটা বানচোদ
৪.
বিশ্বাসঘাতক হাতের রেখা জানে—গোটা শীতকালটাই ছিল হারমোনিয়ামের। এবং বাগানে কোনো টেলিফোন বসাইনি কোনোদিন। অথচ, একটা বুথ ছিল সকলের। কথা হত আইনস্টাইনের সাথে, কথা হত জীবনানন্দের সাথে।
এবং সেসব কথা শেষ হয় না কিছুতেই…
৫.
জীবন কী করে আমার কথা শোনে? নীরবতার মধ্যে দিয়ে
যেসব ফুল ফুটতে চায়। সেসব ফুলকে বিক্ষত করে চলে যায় কবির স্নেহের গুটিপোকা। তোমারও শরীর খারাপ এ সময়ে। স্বর্গের বাগানে এখন নিষিদ্ধ হয়ে গেছে স্যারিডন
Posted in: April 2020, Poetry
ভালো লাগলো ❤️