অনিন্দিতা ভৌমিক-র কবিতা
নিষাদ
১.
বাকিটুকু নিছক ক্ষয়ে যাওয়া। স্থির আলোর দিনে হারিয়ে ফেলা যাবতীয় বাতিল পথ। এমনকি পায়ে জড়িয়ে নেওয়ার মতো কোনো ফাঁকা ঘর নেই আর। ইঁট, চুন, সুরকির ব্যবহার ও খিলান তৈরীর নির্জনতা রপ্ত হওয়ার ফলে , ডান হাতের খসখসে আঙুলগুলিও অন্য মাত্রা পায়। তুলে নেয় অপার নিঃসঙ্গতা। সাইপ্রেস পাহাড়ের গায়ে রুক্ষতম দিন।
আমি দেখি ক্রমশ হলুদ হতে হতে নষ্ট হয়ে যায় স্মৃতি। দেখি দীর্ঘ মূক শরীরে জমে উঠছে ইসামীর কবিতা…
থমকে দাঁড়াই
অসাড় ক্ষতের ভেতর মুখ ডুবিয়ে খুঁজতে থাকি উদভ্রান্ত এপিটাফ
ক্ষয়ে যেতে যেতে নিজস্ব সীমারেখার ওপর আমি সাজিয়ে রাখি আদিম শস্যের বীজ
ধীর পায়ে নেমে আসা মানচিত্র
ঘোড়সওয়ার
২.
ব্যবচ্ছেদ করো। বাদামি উঠোন পেরিয়ে লক্ষ্য করো এই ধীরগতি। উৎকীর্ণ ভাস্কর্য, ঘোড়া ও জিনের ব্যবহার।
যেন এই উত্থান মূলত স্বমেহন। যেন থার্মোমিটারের গায়ে লেগে থাকা জ্বর। নিভৃত।
মনে করার চেষ্টা করো তোমার নীল শিরা, মরা আঁশ, সাম্রাজ্যের গায়ে পুরু শ্যাওলা – যারা জীবনকে প্রভাবিত করে।
আনুমানিক দূরত্ব থেকে তুলে আনে সারিবদ্ধ নৌকা। অতি পুরাতন।
অস্তিত্ব আসলে ন্যুব্জতা নয় সময়ের। বরং জড় এই বিশ্বে সে প্রবল অগঠিত। অর্ধ-তরল অর্ধ- জাগ্রত। যা শিল্পের অতল চায়, নিষেধ চায়। কশেরুকা থেকে বের করে আনে গূঢ় চিৎকার। দাফন করার এক ছটাক মাটি।
Posted in: April 2020, Poetry