কবিতা নিয়ে : ইন্দ্রনীল ঘোষ

প্রথম পর্ব

ঈশ্বরের থিয়েটারে একটা টিকিট কেটেছি

আলোচনা — ঈশ্বরের থিয়েটার / বিশ্বরূপ বিশ্বাস

Iswarer Theater by Biswarup Biswas
ঈশ্বরের থিয়েটার | বিশ্বরূপ বিশ্বাস | প্রকাশক দমদম জংশন | দাম ১০০টাকা

কিছুদিন আগের কথা, ফোনে এক বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা হচ্ছিল — ‘লেখক-কেন্দ্রিক কবিতা’ বিষয়ে। বিষয়টা বলি। সাধারণ ভাবে একটি কবিতা কবি লেখেন তাঁর বোধ, অনুভব, অভিজ্ঞতা, কল্পনা ইত্যাদি দিয়ে। আবার সেই লেখা প’ড়েই পাঠক যে কবিতা টের পান তা কিন্তু পাঠকের নিজস্ব। কবি যেভাবে ভেবেছিলেন, যে অনুভবের থেকে ওই কবিতায় পৌঁছেছিলেন পাঠকের ভাবনা, অনুভব তার থেকে আলাদা হতেই পারে। কবিতার কম্যুনিকেশন তাই সচরাচর একরৈখিক হয় না। প্রবন্ধের মতো কোনো নির্দিষ্ট একটি বিষয় সঠিকভাবে বোঝানোর, একমত হওয়ার তাগিদ কবিতার নেই। সেখানে তাই নির্দিষ্ট করার বদলে উল্টোটা করা হয়, ইঙ্গিত দেওয়া হয়, যা বহুমুখী। এবার এই গোটা সিস্টেমটা ভাবলে বড় ম্যাজিকাল লাগে, না? নির্দিষ্ট ক’রে কোনো কিছুই বলা হচ্ছে না, কেবল কিছু ইশারা, আর তাই থেকেই ভিন্ন ভিন্ন পাঠক নিজের মত কবিতা টের পাচ্ছেন। তবে কি আর্বিট্রারি কিছু ইশারা দিয়ে দিলেই পাঠক তা অনুভব করবেন নিজের মতো ক’রে? হয়ত করবেন, কিন্তু সেক্ষেত্রে সংযুক্তির বোধ তৈরি হবে না। কবিতায় ওই ইশারাগুলির মধ্যে যোগসূত্র থাকে, এক থেকে অপরে সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে চলে তারা। সেই সম্পর্ক স্থূল থেকে সূক্ষ্ম যেকোনো রকম হতে পারে, এমনকি সম্পূর্ণ জাম্প-কাটও দুটি ইশারার যোগসূত্র হতে পারে। কিন্তু পাঠক এই সম্পর্কগুলো স্পর্শ করতে পারলেই এক ইশারা থেকে আরেক ইশারায় সাবলীলভাবে এগিয়ে যেতে পারেন। তাই বলা হয়, কবিতায় শব্দের চেয়ে শব্দের মধ্যের স্পেসটুকু বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কবি যখন নিজের জীবনবোধ, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখেন তখন খুব স্বাভাবিক ভাবেই জানতে-অজান্তে তাঁর জীবনের অনেক ঘটনা-কণা সেই কবিতায় গিয়ে মেশে। তার কিছু যারা ওই যোগসূত্র নিয়ে আসে অনায়াসেই কবিতার অংশ হয়ে যায়, বাকিরা বিক্ষিপ্ত কিছু অংশ হয়ে প’ড়ে থাকে পাঠকের কাছে যার মর্মোদ্ধার সম্ভব হয় না লেখক কী ভেবেছেন না জানতে পারলে। যেমন, ধরা যাক কোনো লাইন হয়ত, “আজ আটাশে মার্চ, আমি রেসকোর্সে ঘুমিয়ে পড়েছি”। লাইনটি কবিতায় এলে, তা লেখকের ব্যক্তিগত ঘটনা হয়েই আসে, অভিজ্ঞতা বা কাল্পনিক-অভিজ্ঞতার অংশ হয়ে। কিন্তু লাইনটা কোনো বাধা দেয় না পাঠককে, এটা একটা ঘটনা হিসাবে অনায়াসেই তিনি গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু যদি লেখা হয়, “আটাশে মার্চ এলে পৃথিবীর চামড়া থেকে স্থির কবুতর ঝ’রে পড়ে”। এবার সত্যিই সমস্যা তৈরি হবে। পৃথিবীর চামড়া থেকে কবুতর ঝ’রে পড়া নিয়ে অসুবিধে নেই। কিন্তু তা কেন আটাশে মার্চ এলেই পড়ে, বাকি দিন পড়ে না, এ’ কথা একমাত্র লেখক বাদে আর কেউ জানেন না, পাঠকের পক্ষে লেখকের মাথা খুঁড়ে দ্যাখা বাদে নিজের মতো এগিয়ে যাওয়ার কোনো উপায়ই নেই। অনেকে বলবেন, ওই অংশটা উপেক্ষা করলেই হয়। হ্যাঁ, সেটাই একমাত্র পথ এক্ষেত্রে। ছোটবেলায়, আমরা একে ‘ব্যক্তিগত কবিতা’ বলতাম, অর্থাৎ এমন এমন অনুষঙ্গ যা শুধু লেখকই জানেন, এমন কোডিং যা খালি লেখকই ডিকোড করতে পারবেন। আপাতত ‘লেখক-কেন্দ্রিক কবিতা’ বলতে আমরা এই ধরণের কবিতার কথাই বলছিলাম। ‘ব্যক্তিগত’ শব্দটা — পরে বুঝেছিলাম — ভুল। পাঠক ঠিকই এই কবিতা নিজের মতো ক’রে অনুভব করতে পারেন, শুধু কিছু ব্যবহার, কিছু অনুষঙ্গ বাকির সাথে না মিশে আলাদা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, রহস্য তৈরি করে। তাতে ক্ষতি কী? বরং পড়তে পড়তে এক ঘোর তৈরি হয়, অপরিচিত এক জগতে এসে পড়ার ঘোর, যাকে কিছুটা টের পেয়ে কিছুটা না টের পেয়ে আবিষ্কার করতে করতে এগিয়ে চলেন পাঠক। দীর্ঘকাল ধ’রে সাহিত্য পাঠকের মনে এমন বহু কবিই, বহু কবিতাই জায়গা ক’রে নিয়েছে।

প্রথম দশকের কবি বিশ্বরূপ বিশ্বাসের দ্বিতীয় বই ‘ঈশ্বরের থিয়েটার’ পড়তে পড়তে এই কথাগুলোই আবার মনে পড়ছিল। কেন, সে প্রসঙ্গে একটু পরে আসছি।

কাব্যগ্রন্থ নয়, বরং শুরুতেই লেখক এই বইকে ‘পূর্ণাঙ্গ লেখোনীগ্রন্থ’ ব’লে উল্লেখ করেছেন। মোট ১০১টি লেখা নিয়ে সাড়ে তিন ফর্মার এই বই। পড়তে পড়তে অবাক হতে হয় বিশ্বরূপের লিখনভঙ্গিমার বিবিধতায়। কোথাও হয়ত সরাসরি উত্তম-পুরুষের ন্যারেটিভ, কোথাও হয়ত বা শব্দ থেকে শব্দে ধ্বনি সূত্র ধ’রে ধ’রে এগিয়ে যাওয়া, আবার কখনও হয়ত সমস্ত কম্যুনিকেশনের দায় ভুলে কোন গভীরে ডুব দিয়েছে সে।

যেমন, বইয়ের ৮১ নম্বর লেখায় আমরা দেখছি দুজন মানুষের কথোপকথনে তৈরি হচ্ছে গোটা লেখাটা।

আমি বেথুয়াদুন যাইতেছি। আপনি কি আসছেন আমার সঙ্গে। ও আচ্ছা আপনার বাড়ি দুর্গাপুর। কিভাবে আসবেন সেটা জানতে চাইছেন তো। ও পুরো ঠিকানাটা বলবো আমি। আচ্ছা দাঁড়ান একটু। আমি লিখে দিচ্ছি সম্পূর্ণ ঠিকানা।আপনি যেন কোন কোন নদীর নাম বললেন। যদি আরেকবার বলেন প্লিজ। আমার মনে পড়ছে না এখন। কুনুর। টুমনি। তামলা। সিঙ্গারণ। এগুলো শাখা নদী অজয় এবং দামোদরের। বা বেশ। আমি প্রথমবার শুনলাম শাখা নদীগুলোর নাম। ভারি আনকোরা টাইপের নামগুলো। তাই না। আচ্ছা আর আলতুফালতু ব’কে লাভ নেই। এবার পুরো ADDRESS-টি আগে দিই তারপর না-হয় আলোচনা করবো। ঠিকাছে। লিখুন প্রথমে আপনি দুর্গাপুর স্টেশন থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে উঠবেন। তারপর হাওড়া এসে নেমে শিয়ালদহগামী বাস কিংবা হলুদ ট্যাক্সি ধরবেন। তারপর শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ লোকাল কিংবা হাবড়া লোকাল ধ’রে সোজা চ’লে আসবেন হাবড়াতে। তারপর হাবড়া থানার সামনে থেকে সোজা চাকলাগামী অটোতে উঠবেন। অটোতে উঠে ড্রাইভারকে বলবেন আমি আবাদ-মাকালতলার ৩ রাস্তার মোড়ে নামবো। তারপর আবাদ-মাকালতলার ৩ রাস্তার মোড়ে নেমে বলবেন আমি বেথুয়াদুন যাবো। দেখবেন সবাই-ই দেখিয়ে দেবে বেথুয়াদুনটা কোথায়। পায়ে হেঁটে মাত্র দু’ মিনিটের পথ। আপনার অক্লান্ত পরিশ্রম সার্থক হবে। আসছেন তো তাহলে আগামী ডিসেম্বরে। আমি আপনার আগমনের অপেক্ষাতে রইলাম কিন্তু। — আচ্ছা সব-ই তো বুঝলাম। তা এই বেথুয়াদুনের বিশেষত্বটি কি যদি বলেন প্লিজ। এই দেখুন এ কথায় সে কথায় আসল কথাটা-ই বলতে ভুলে গ্যাছি মশাই। শুনুন বেথুয়াদুন আমার ঘরের কোনটির নাম। মানে আমি যে ঘরটাতে থাকি আরকি। আর যেখানে আমার স্ত্রী রুমা ৬ মাস অন্তঃস্তত্বা অবস্থায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো। —অ্যাঁ…! অ্যাঁ নয় জনাব হ্যাঁ গো হ্যাঁ।

গোটা লেখাটিই সোজাসাপটা কথোপকথনের ভঙ্গিতে কাউকে ঠিকানা ব’লে চলা, অন্তিমে এক নাটকীয় চমক দিয়ে যা শেষ হয়। মধ্যে নদীর প্রসঙ্গ। ব্যাস। আবার ঠিক এর পরের লেখাটিতেই, সম্পূর্ণ অন্য এক বিশ্বরূপ। লেখাটা শুরু হচ্ছে এইভাবে, “বৃষ্টিধোয়া দুর্ঘটনায় আরাম দ্যায় বাচ্চার মাথা প’চে যেতে যেতে। ভালো-ই হয় অবশেষে যখন নারকেল থেকে বিতাড়িত হয় অভিঘাতের সরু সরু আপেল”। মাঝের কিছু অংশ এইরকম,

তরুণ ১টি স্টেশনের নাম ষোড়শীনগর। কালো-শার্টফাটা বিকাল এখন প্লাটফর্মে। এই জংশনে মহাফেজখানা সহজে বিভীষিকা জ্বালবে। অবসরে বাঘের থাবা সহস্রাব্দ পিছনকে আগে টেনে আনবে হত্যাকাণ্ডের কাছাকাছি।  মশা আর মাছিও থাকবে অশ্বারোহণের চরাচরে জাদুবলে। কিছু ডালপালা ধ্বসে গেলে দুনিয়ার পরে গাইড থাকে মৃতগাছ। আমাদের হারানোর ধারণা বাড়ে তখন। বাড়ে তখন মৃত্যু আর বিবাদের বিধান।

শেষ গাল-মন্দ আত্মউচ্চারণে স্নায়ু ছিঁড়ে দিয়ে গ্যাছে আমার। কতোবৎসর হলো অনন্যা আর সুস্মিতার সঙ্গে রাস্তাঘাটে ব’সে ব’সে মদ আর স্তন্য খাইনি। শরীরের ঘাড় কিডনী চিবুক বেঁকে গ্যাছে যেন জাতীয় সড়কের মতন। একদিকে বাংলাদেশে আর একদিকে ভারতবর্ষীয় জমিন জায়গা সমাধিস্থল। আমি কি বাস্তববাদী না-কি কল্পনাবাদী এখনো ঠিকঠাক ঠাওর করতে পারিনা এরমধ্যে এখন।

সাবলীল সংসার সত্যি সত্যি-ই আকাশে তারা ফোটাতে পারে। চিবিয়ে রাখা হাড়ের পুঁটলির নাম সন্ধ্যাবেলার সন্ন্যাস। প্রায় শরীরকে সারাজীবন পালঙের ক্ষেতে তাড়িয়ে মেরে বিশ্রী সাড়াশব্দ দিলো না তো চাঁদ। কিংবা অস্তগিরির সূর্য। সাধ আর আহ্লাদ ফুরিয়ে গ্যালো ফালতু ফালতু। ফুসফুসে এলো পুড়ে যাওয়া ছাই। ভাঙাচোরা অনন্তসকাল। একবার গাল টিপে ফিল্মে কিংবা ফুটপাতে হেসে দিলে ন’ড়ে যায় সমস্ত নিকোটিন। প’ড়ে যায় গাল। [৮২(অংশ)]

আবার কোথাও এই একাত্ম নিবিড় বিশ্বরূপ শব্দ থেকে শব্দে চলেছে ধ্বনি-সরণের খেলায়।

যত বিনিময় হচ্ছে জীবন। তত বিনিময় পাচ্ছে না। ক্লোজ যত গুক্লোজ হচ্ছে। পানি তত থাকছে না। [২১(অংশ)]

গোটা বইয়ের সব লেখাই একই শৈলীর হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা তো নেই, তাছাড়া লেখকের সেরকম কোনো ইচ্ছা ছিল বলেও মনে হয়নি আমার। আগে থেকে খুব ভেবেচিন্তে, শৈলী নির্ধারণ ক’রে লিখতে বসেননি তিনি। লেখার প্রয়োজনে স্টাইল তৈরি হয়েছে। এক থেকে অন্য হয়েছে থেকে আরও অন্য। বিশ্বরূপ শুধু লেখাটি লিখে গেছেন প্রচণ্ডভাবে। কী লিখেছেন? নিজের বেঁচে থাকা, নিজের পারিপার্শ্বিক, দেখা, জীবন-বোধ, দর্শন, অনুভব, উপলব্ধি, সিদ্ধান্ত, কখনও সরাসরি উপদেশ, কখনও স্বগতোক্তি, কখনও বা ডায়ালগ হয়ত নিজেরই উলটো-পিঠের সঙ্গে। তাঁর থেকে এই লেখা শুধু শুরুই হয়নি, তাঁরই আবর্তে ঘুরেছে এই লেখারা। পড়তে পড়তে লেখকের জগতে ঢুকে পড়েন পাঠক। লেখকের সিদ্ধান্ত, জীবন-দর্শনগুলোর সাথে বাদানুবাদ হয় তার, কখনও সমর্থন আসে, কখনও বিরোধ। তবে নিঃসন্দেহে সম্পূর্ণ এক নতুন জগতের সাথে পরিচয় হয় পাঠকের, যা একান্ত ভাবেই বিশ্বরূপের। আর এখানেই সার্থক হন লেখক, এই নতুনত্বে, অনন্যতায়। তাঁর ইচ্ছা, অনুভব, অনুভূতি, সিদ্ধান্ত সবটাই যেন আগে কারো ছিল না।

কখনও তা হয়ত বেশ সোজাসাপ্টা — “বিয়ে কোরবো না ব’লে-ই কবি হয়েছি”।

কিংবা, “পৃথিবীতে আমার মতন একা কেউ-ই নেই। কারণ আমি নিজেকে নিজে-ই সব সময়ে একা ভাবি”।

আবার কখনও হয়ত এরকম, “ড্যামেজ কিডনি নিয়ে কেউ দেহের ডেক আর ডেকচি ভরবে না এই তুমলুকে”।

একটা কথা সাহিত্য-জগতে খুব চলে, “নিজের লেখার প্রতি সৎ”, প্রায়ই শোনা যায় কথাটা। তো, বিশ্বরূপ হলেন সেই বিরল লেখকদের একজন যাঁরা নিজের লেখার প্রতি সৎ। গোটা বই জুড়ে তিনি তীব্রভাবে নিজেকেই খুঁজতে চেয়েছেন, প্রকাশ করতে চেয়েছেন। আর কী অদ্ভুত, এই চাওয়াটাই তাঁর আঙ্গিককে করে তুলেছে নতুন, অভূতপূর্ব। শৈলী নিয়ে তিনি কিছুই কী ভাবেননি? তা নিশ্চয়ই নয়, কিন্তু খুব একটা ধার যে ধারেননি সেটা বোঝা যায় বইটা পড়তে পড়তেই। কোনো লেখার কোনো অংশে হয়ত মনে হলো কী অসম্ভব উচ্চতায় উঠেছে, আবার পর মুহূর্তেই মনে হতে পারে — এ কী! একই লেখকের লেখা! ধীরে ধীরে আপনি বুঝবেন, পাঠকের ভালো বা খারাপ লাগার ধারই ধারেননি লেখক। আমি নির্মিতি সংক্রান্ত ভাবনার, পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিরোধিতা করছি না—লেখালিখি যখন শিল্পকর্ম, নির্মাণকে গুরুত্ব তো দিতেই হবে; কিন্তু তারও আগে তো নিজেকে, নিজের সত্যিকে খোঁজার, প্রকাশের চেষ্টা জরুরি। ধার করা জীবনবোধ নিয়ে সাহিত্য করলে নিজের ও সাহিত্যের দুইয়ের প্রতিই যে অবিচার করা হয়। স্বকীয়তা তখনই আসা সম্ভব যখন স্ব-এর খোঁজটা জারি থাকে।

শেষে পল্টু ঘোষের করা অসাধারণ প্রচ্ছদের কথা উল্লেখ করতেই হয়। আর বইয়ের নাম—যদিও সেক্সপিয়ারকে মনে করায়—তবু খুবই ভালো, বিশেষত যে বইয়ের শুরু থেকে শেষ অবদি লেখকের জগতের চেনা-অচেনা রঙ-চরিত্রগুলো ছড়িয়ে থাকে।

বিশ্বরূপের আগামী বইয়ের জন্য আজ থেকে অপেক্ষা শুরু হলো।  

Facebook Comments

1 thought on “কবিতা নিয়ে : ইন্দ্রনীল ঘোষ Leave a comment

Leave a Reply