সমীরণ ঘোষ-এর কবিতা

আচমন

ভাতের পাথরে নামি। টং লাগে জলের বরফে

ঠিকানা মিচ্ছু।কালো স্রোতের লেফাফা। কাঁকড়ার পায়ের ছলাৎ

দিগন্ত হামাম।গুল্মের নীচে বাড়িঘর। পোড়া মাটির কিতাব থেকে
ফিকিরি সুড়কির পথ যতদূর
শরীর বাজাই। সুর ছোটে ডুবোজাহাজের ঝিলে

ঘিলুর সামান্য ফুল। কামরাঙাবন খুলে শিসের নৌকো

ছড়ের অস্থি বাজে ফুরনো মাংসে। বনবেড়ালের জিভে

নলির রবার শোনে চিতার আচমন

কাঠকয়লার বন

ফুলে ওঠা বাঁশি। গলে যাওয়া পাখির চৌরাশিয়া
যেন কেউ সম্পর্ক করছে ভাঙা রিডে।নিষ্করুণ চাপের ছায়ায়

দোলনা সামান্য। কিন্তু বসেছে কেউ মুখের জ্যামিতি খুলে সূর্যাস্তশিখা

সুরও গলছে। ফুটো থেকে তামার জোনাকি। আংশিক। ইথারসামান্য

ডানার হিজাব খুলে মুণ্ড উড়ছে। মুখে হারানো জিভের শিস

লাভার নতুন দেশ। নীচে বসতির পোড়া খুনসুটি

পাতালসরণি থেকে ছায়া সরে আত্মবিম্বহীন কাঠকয়লার বনে

Facebook Comments

Posted in: March 2020, Poetry

Tagged as: , ,

1 thought on “সমীরণ ঘোষ-এর কবিতা Leave a comment

  1. একটি আবেদন
    *********************
    সেই প্রেরনা দায়ী কথাটি – ” সকলে মোরা সকলের তরে”- আমায় প্রেরিত করল কিছু কাতর ভাব প্রকাশের জন্য। সৃষ্টি শীল এক জন মানুষ সব সময় এই ভাব নিয়েই চলে – ” আমার যত ভাব তোমারি প্রভাব—-” . সেই ‘তুমি’ বা তিনি এক এক জনের কাছে এক এক রকম। কিন্তু তাঁর করুনা ছাড়া কি সম্ভব কোনো কিছু সৃষ্টি হওয়ার? সে সৃষ্টি যাই হোক – গান, কবিতা, শিল্প, ভাস্কর্য। আর সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ই লোক কল্যাণ, লোকের প্রাণে আনন্দ জাগিয়ে তোলা। তাই তো এই অপূর্ব বিশ্ব সৃষ্টি দেখে একটি সাধারণ প্রাণ গেয়ে উঠে –
    ” এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করেছ প্রভু
    তোমাকে জানাই প্রনাম।
    রবি, শশী , তারকা প্রণতি জানায়
    প্রভু দেবতারা গায় জয় গান।”

    কবিরা হলো বিশেষ ধরনের স্রষ্টা। এদের সৃষ্টি কাল বা সময়ের সীমা কে ছাড়িয়ে যায়। কবিরা হয়ে উঠতে পারে সমাজের গুরু। সমাজের পথ প্রদর্শক। কিন্তু সেই জন্য তাদের সৃষ্টি এমন হওয়া চাই যা প্রতিটি প্রাণ ছুঁয়ে যায়। সমাজের অশিক্ষিত ব্যক্তি টি ও যেন কবিতা শুনে বলে উঠতে পারে – ‘ আমি সব কিছু ঠিক বুঝিবার পারি নাই কিন্তু শুনতে খুব মিষ্টি লাগিল|’ এমন টা কি হওয়া সম্ভব নয়? সত্যি ই সম্ভব। আল্লার ইচ্ছায় কি না হতে পারে।
    আমার একান্ত আপন যিনি, তিনি তো বললেন
    ” দিন গেল তোর এই বলে আর
    বসে থাকলে চলবে না
    ধরতে হবে , করতে হবে
    যেমন টি তোর কামনা| ”
    দাদারা, আপনারা পারেন না বাংলার সেই অগ্নি যুগ কে আবার ফিরিয়ে আনতে ? কেন পারবেন না ? নিশ্চয় পারবেন। আমার যে দৃঢ় বিশ্বাস আপনাদের সবার উপর। উঠান না এক বার আপনাদের কলম , লিখে ফেলুন কিছু সাড়া জাগানো কবিতা! সমাজ আপনাদের দিকে তাকিয়ে।
    ” জীবনের গান গাইবো মোরা
    জীবনের গান গাইবো
    জীবনের পথে চলবো মোরা
    জীবনের পথে চলবো।
    নতুন সূর্য উঠেছে আকাশে
    নতুন চাঁদের আলো-
    বৃত্তি নেশা ভেঙে ফেলো আজ
    নামের আগুন জ্বালো।”

    নিতান্ত আশাবাদী
    (আপনাদের ই আমি)

Leave a Reply