অয়ন্ত ইমরুল-এর কবিতা
মন্দা থেকে মন্দায়
ছায়াটা টাঙিয়ে চিঠি লেখা
‘রোদের অন্তরা নাই’নলারোদ যেভাবে পথ চেনায়—
দৌড়ে যাই পথের শেষে সবুজ যুগের ডাকবাক্সের কাছে।
সন্ধি শেখায়নি মেয়ে।
দীনের কোলে বসে ভাবছি ভেজা এই ট্রেন-অসুস্থতা—
দূর পাল্লার যাত্রীবাহী,যাত্রী-ছাউনির ঘেরাটোপে না বলা বালিকারা
চোখের টবে ফুল কুমড়ো হয় বলে চাষীটিই লতিয়ে উঠলো
তবু দেওয়ালি হলো না!
অন্ধকারে যে হাওয়া হলো—আরতির ঘন্টা থেকে পথ বেঁকে যায় বড় বড় ফোঁটাওয়ালা বৃষ্টির দিকে।
সেই থেকে সন্ধ্যার আভায় ঝিঁঝি বেড়ে যায়।জোনাক বাড়ে না।
বড়লেখায় আমন ফসলের মাঠ শূন্য পড়ে থাকে।
ফিরেও তাকায়নি যে,পর পর তিনদফা বন্যা শেষে কি করে পায় সোনালি রঙের ঢেউ,শিউলির মতো ভাত!
ডাকাতির কথা অতি,
না হয় অতিথি সৎকার ভ্রম।
ক্ষেতের আ’ল যার মিছে অবাক হয় তার বেনারসি আটপৌড়ে সন্ধ্যায়—
যেভাবে যাও মন্দা থেকে মন্দায় চিলকায়
ঘর-গৃহস্থালি…
আমাদের দুমড়ানো মোচড়ানো কৃষ্ণচূড়া
রোদের রিলিফে মেঘ ঢালা মেয়ে
ভ্রু কুঁচকে
ছড়ায় ইশারার ডন
এখন আমার কাঁপা-কাঁপি হাওয়া
শোঁ-শোঁ হয়ে গেলে পাতা ঝরানো বনে
বনবিহারি হারিয়ে যেতে চায় পরকাল খুলে—
চূর্ণ চূর্ণ কথার রেণু একা একাই ওড়ে
ওই যা সুখকল্পনা চাঁদ অবধি টপ্পা ফেলে
পথ ভাঙতে ভাঙতেও ঋতুভ্রম
কোকিল ডিঙিয়ে ফাল্গুনী —
আমাদের দুমড়ানো মোচড়ানো কৃষ্ণচূড়া
এই তো ফিরে ফিরে আসা…
Posted in: March 2020, Poetry