অত্রি ভট্টাচার্য্য-এর কবিতা
মুষ্টিযোগ
তোমায় দিয়েছি বলে আমারও কি
প্রবেশাধিকার থাকতে নেই?
কথপোকথনের ন্যুনতম লার্ভা
গুটি পাকাচ্ছে। আমিও
এমন এক চেনায় মুষ্টিযোগ হেনেছি
আঙুলপ্রতুল না হোক–
নির্দেশটুকু নিশ্চয়ই স্থান করবে।
বয়সমাত্রিক প্রতিবাদ পুঁজি করে
বিক্রিত থাকবে তোমার একটি
ইঙ্গিত-ও মূহুর্তগুলিকে
ছাপিয়ে যাবে না।
বোঝো না এই যে বহুভাষিক
উত্তরের স্ট্রিপ বিছিয়ে যাওয়া
অনবদ্য সব রাম সব প্রতিক্রিয়া নয়
প্রয়োজনের অতুল নির্বাপণমাত্র?
এতই যদি সমাধান দু’হাতে,
নিদ্রাহীনতার সম্ভাবনাময় চারিপাশে
বৃত্ত হচ্ছে তার জুলফি বেয়ে কণ্ঠনালী
‘তক্ ছুঁতে পারোনি।
এতবড় বিস্ফোরণ হল খাতায়,
শিরোনামই পড়া গেল না,
ভবিষ্যৎ যে লিখেছে
তার হস্তাক্ষর তার দর্শনাধিক খারাপ !
লাইন
এত পরিকল্পনার শিষে শ্রাবণ আসে না
ফোঁটা ফোঁটা দরখাস্তের বানান সাপের দ্বিধা-য়,
চালুনির গুহ্যে অভিমান না করলে
সমস্ত আক্রমনের আমি আলখাল্লা
তৎপর করে খুঁজত !
করোটির অতিদীর্ঘ কপাল চোখে পড়ত উৎপাদক
ও অসংজ্ঞা এ ওর শরীরে ও দ্বিধার ব্রত হয়েছে।
ওসব চিৎকৃত গ্রহবরাবর আছড়ে, কাঁটাতারমত
ফেনিল হয়ে কোন না কোন সীমানা এঁকেছে।
অথ আমার ঈশারামূলুকেরা কস্মিনকালেও
এগিয়ে আসবে না। এমন দৃশ্যদুষ্টের অতিথি
হবে না এমন পনেরো-র আগেই যখন
চোখে পড়েছে পা, বেতো আঙুল, অকুস্থলে
জড়ুল, যে কোন মূল্যে মূর্ত হয়ে উঠতে
তৎপর প্রতিটি অ্যালার্জি-
হে তাগিদের অস্তিত্বপূর্বক দীর্ঘগামী,
হে জলপরাজিত হিপোক্রেসী,
এই হুহু বিষন্নতা যখন অতর্কিত হবে
এত বছরফসলের লাইভগুলি ভেঙে
চূড়চূড়, তুমি আশাহত হোয়ো না।
আমার কাগজ আমি পকেটে নিয়েই
মায়ের পেট থেকে বেরিয়েছি।
Posted in: March 2020, Poetry