অহনা সরকারের লেখা

বাদামওয়ালা

বাদামওয়ালা।
আঙুলমুঠি করে ধরা চারটে বাঁ হাতের আঙুল হালকা কালোর সরঞ্জাম। কেমন করে ভেঙে এসেছে জানো, সোজা হেলিয়ে শোয়ানো সোজা মুড়ে নিচের দিক একটু চৌকণ। ধরা আর আঙুলের মাঝখানে ফাঁক কোণাকুণি। মুঠি যেন খুব হালকা ধরা তীরের ফলা নেমে শ্রাম আবার আকৃতি। কি মনে হচ্ছে একটা জিনিষকে যে কোনো কিছু ধরে আছো মাথায়। শরীর হয়ে নামানো পোষাকী ঢিলে পাঞ্জাবী ফতুয়া সাদার অফ হ্যোয়াইট সাদা স্নো ঘাড়ের কাছ হয়ে বগলে পাঁজর বুকের কিছুটা কোমরের দু ধার পকেট কালোর হালকা কুঁচ কোঁকড়ানো ঙ্গ। ধুতি পরে আছেন মানুষটা লাল। এক দুই দুই তিন চাআ এখানে এটা নিচের পাঁচ ছ কুঁচি বড় ছোটো মিলিয়ে ঘের লালের গায়ে গায়ে ঘন কাল। যেখানে মুখ মুড়েছে পায়ের কাছে এসে সরু ঝিঁঝোল। দু ভাগের মাঝের অংশটা ছাড়া খোলা ত্রিভুজ কিছুটা বর্গমূলে কেটে আঙুল মুড়ে সেলাইয়ের ছোপ দাগ। এখানে পয়লা বৈশাখ অল্পেরা। নিচতা অন্ধকার ফাঁকা দুই পায়ের মাঝে। অন্য হাত ডান মানুষটি সোজা রেখেছেন শরীরের সাথে সটান। ঘাড় গলা থুত চিবুক ঝাড়মোছ একটা গভীর কালো কাটা দাগ ভেতরে তরে মেশালি ন্ধ এই ফুটফুট দাগগুলো অন্ত্রের অন্ধধ্বনি। চোখের কোল নাবোল প্রসারন্ধ্র ভ্রম হাত বাড়িয়ে ছোঁয়া ঘাম এক কণা সা সরিয়ে ভুরু কপাঙ্গ দাগ দাগ এভাবে এভাবে। নিঃশ্বাস জোরে ফেললে কি নড়ে নড়বে হাওয়ার এলোমেলো ক গাছি সামনে বাড়িয়ে আঙুল। ঝোপঝাড় এলোমেলো রোদ পড়েছে এই দিন সঙ্গের কষ মিলিয়ে সাদাটে চক অন্য ধূসর সিঁথির ডান পাশ কানের গথর। মাথার ওপর ধরে রাখা যা বেতের সরু বাঁশের কাঠি কদমে কদমে সাথে অন্য মোড় সাথে গিরে গিরে চৌকো গিঁটটা খুঁজলেও পাবে পাওয়া যাবে ভেতরে কোনো ফাঁকে অন্ধকারের। বাদাম ঢেলে সাজানো ওখানে নানা ছোটো বড় শব্দ পাশে একই অন্য ছোটো ওজনের নুনের আর এটা ঝুপড়ি বস্ত্র একন্ড রুমালে লাল দোয়াচুরি

চোখ দ্বেষ নামানো পাযের পাতা খালি বুড়ো আঙুলের ফাঁকে সাদা ঠিক ন হলদেটে নয়োজ জলে গুলে মোটা চপ্পল প্ল্যাস্টিকের গলানো পা মোটা কালো সাদার চওড়াগুলো সীমানা ছাল উঠে ভেজা জল নুন ছালের ঘা কাটা দাগ

নয়

একটা গোয়েন্দা গল্প লিখতে গেলে সবচেয়ে আগে কি লাগে?
মোটিভ
মোটিইভ

ঠিক কোন জায়গাটা দাঁড়ালে বলা যায়, আমি আর একটু তোমার হলাম?
হিসেব পাতি রান্নাঘর টুকরো বেগুনের খোসা নীল রঙের একটা ধূতির পাড় কখনও কি ধূতি পরতে? পরেছো?
অক্সিজেনের নল বেয়ে আসা শব্দগুলো অচেনা লাগে তোমায়! আমি! এই ঘরটা ধূপপাত কুয়াশার মতো আর একটু পরেই যেন কিছু করে দড়ি হাতে সব সসস্ত্র মামলায় মুখ বাঁধা মিছিলে তারা এই ঘরের পেরোনো উঠান।
জলের ছিৎকারগুলো নীরবে থেমেছে একভাবে এসি মেসিন বয়ে গড়িয়ে চলা জল। তারা একটু হতবাক যেন থতমত!
থামবো কি না এগোবো! এই পরিস্থিতী বরঞ্চ জমাদারকে ডাকা যাক।
ফ্রিজের ভেতর একটা বড় বরফের টুকরো পড়ল। মেসিন বন্ধ হবার শব্দ। দমন!

কাঁচের ঘরটাতে একা যে মানুষেরা বসে তাদের হাতদুটো ধরি ঠান্ডা! হিমশীতল রাত। আপনি কি মারা গেছেন! এখনই! গল্প
চৌদিকটা বেশ খানিকটা নিস্তব্ধ। বিস্কুট চিবানোর আওয়াজ শব্দ চিবাচ্ছ তুমি শব্দ করে
এখন ভালো লাগছে শরীরটা একটু? হ্যাঁ গো! হাত ধরি তোমার। নিতাই নিত্যানন্দ ডাকের ছাপ গোপনে বুকের এই কাছে খুব কাছে খুর

ঘোড়াটাকে আমরা কাটবো বলে ছুটতে বেরিয়েছি। খুব শব্দে খুব পদস্থ

Facebook Comments

Posted in: March 2020, Poetry

Tagged as: , ,

Leave a Reply