শানু চৌধুরী-এর কবিতা

أستغفرالله

১.

আমার কাশির ভিতর ছুটে যাচ্ছে মায়ের একেকটা ছবি। যে ছবি আমার নিস্তব্ধ পাথর খুলে জাগিয়েছিল নির্বাক স্বার্থকতা।আছে ধর্ম! পড়ে আছে বুদ্বুদের ভিতর আহরণসুলভ মিথ্যে। আমি মিথ্যে বলতে চাই তবু মুখের খাবার আমার নেশার দিকে ফিরে তাকায় না কখনো। সত্যির ইরা উড়িয়ে দিয়ে দরজা ধরে কাঁদছে মা। যার ছায়ার ডোরাকাটা দাগ আমাকে শিখিয়ে দিচ্ছে সময়সংক্রান্তহীন হওয়ার আগে প্রতিনিধির জিজ্ঞাসা।



أستغفرالله

২.


প্রচন্ড তিমির তোমার মন্ত্র থেকে আলো হয়েছে মা। যে কথা ফুটে বেরোনোর আগে আমার রোগ ছিনিয়ে নিয়ে তুমি দিয়েছিলে ঘুমের ওষুধ।কিন্তু  আমার কাঁধে কেন ঝুলে ছিল একঝাঁক শয়তানের নিশ্বাস? আমার অনিষ্ট শব্দ থেকে ভেঙে গেছিল এক বিরল ও তৎকালীন জোনাকি। তুমি বলেছিলে জা নামাজ অথবা স্তোত্রের ভাষা, যেখানে নতুন করে দেখেছি না-বদলানোর নিবিড় ঢেউ ও পারস্পরিক পালিতের তর্জমা!

أستغفرالله

৩.

আমার পাপ পরিষ্কার করো অথবা মেরে ফ্যালো আমায়। আমার অনুভূতি মরে যাওয়ার আগে,আমি সত্যি বলতে চাই। প্রতিটি ভিখিরি দশার আগে মুখের নেশায় যেন প্রবেশাধিকার আটকে যায়, আত্মীয়ের ঘর-বাড়ির মতন। আজ বুঝতে পারি আমি কেন শেষ হওয়ার আগে উঁচু হওয়া কবর দেখেছিলাম! কাঁদতে কাঁদতে থমকে গেছিলাম। যাও এবার হাসতে পারো। হাসতে হাসতে আমার মাথায় বসো শয়তান আর ভাবো আশীর্বাদ মনে রেখে ছোট হয়ে আসে প্রত্যক্ষ বিষুব।

أستغفرالله

৪.

মৃতজাতক পুঁতে ফেলতে পারতে তুমি। আমি বুঝে নিতাম নাড়িছেঁড়া মায়ের বিষণ্ণ ভ্রুণ। এই অঞ্জলিবদ্ধ হাত আমি দেখেছি বিস্ময়ভরে কৃষ্ণচূড়ার তাবাসসুমে। যেখানে পুরোনো ক্ষতে ব্যথার স্পর্শ লাগে, সেখানে আমার অধিকারে নেশাখোর পাখির শঙ্খ জুড়ে যায় রাংতার কালো ছোঁয়ায়। আমার খাদ্য চাই! খাওয়ার আগে দেখি মন্দিরে অথবা স্তুপের পর্দায় মায়ের পায়ের ছাপ।

أستغفرالله

৫.

প্রত্যুষ খুলে গেলে ঘুম ভাঙে মায়ের। যথাস্থানে যে প্রবল অর্থহীনতা তারই দিকে খোয়া গেল জরাসন্ধ রঙের আহত পশুটি। কে যেন বলেছিল আমাকে নিয়ে খেলবে? মায়ের আরাধ্য বিগ্রহ ভেঙে লাল হয়ে যাবে আমার খাবার! তবু এক দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন ছিল যেখানে অপর্যাপ্ত কান্নায় আমি হয়েছি জন্মশতাব্দীর গরীব!

Facebook Comments

Leave a Reply