দীপক দাস-এর কবিতা
ঘৃণিত পুরুষ
প্রবল ভাবে ছিড়ে ওঠা একটা যন্ত্রণা নিয়ে তুনি হেমলক নদী পার হয়ে যাচ্ছো।তোমার আঁচল ভালোবাসাহীন এক শোণিত শহর।কত অযুত বছর, কত প্রাগৈতিহাসিক জংগল অতিক্রম করে তুমি শেষ আঙুলটা ধরতে।
কিন্তু আমি তোমার ঘৃণিত পুরুষ, যে যুগ যুগান্তর ধরে হেঁটে চলা বুকে উবুড় করে শীতের অন্ধকার নিয়ে। একা একা আর পারিনা। হাজার হাজার বছরের পাপ,
ক্রমাগত আর্তনাদ, কুন্ডলী হয়ে উঠছে। তোমার দুই স্তনের মাঝে গাঢ় অন্ধকার, আইসক্রিমের কাঠি ক্যান্ডেলের নরম আলোয় উদ্ভাসিত সরু পথে অক্ষয় মালবেরির নিস্তব্ধতা, কেমন ভাবে ফুরিয়ে উঠছে।
এই অন্ধকার, এই তাৎক্ষণিক আলোক, দুফোঁটা রক্ত নিয়ে নতুন বছরের আধ খাওয়া চাঁদ শান্ত পদ্মপাতার উপর ধুধু শোকে কেঁপে কেঁপে উঠছে।
তখন সিগারেট আর জীবন মৃত প্রেমিকের পাশে টুপি নামিয়ে শেষ বারের মতো…
ফেলে যাওয়া কবিতা
মাঘ শেষ হতে চলেছে, এবছর শুধু হারতেই শিখলাম
পর্দা সরিয়ে হলুদ আলো আজ কেউ ছড়িয়ে দিয়েছে
কুড়ি বছর আগের বটতলা, সর্ষেক্ষেত, ক্রিকেট টুপি ভেসে উঠছে
পেশাদার খুনির থেকেও ভদ্র মুখোশ ধারীদের আজ ছেড়ে যেতে চাইছি
মেয়ের জন্য ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে ভিক্ষারত বাবাকে আজ দেখেও দেখছি না
সময় আজ চির বসন্তর কোন ট্রাম লাইন ধরে হাঁটছে….
চাকরির পরীক্ষায় বারবার না পাওয়া ভাই কে, আজ আর কি বলবো
কান্না সেতো শুধু চোখের জলেই আটকে থাকে না
ভালোবাসা শুধু চুম্বনেই শেষ নয়
এসব কথা আজ আমি আমার ওয়াকিটকি বালা ষ্টেশন মাষ্টার বন্ধু কে জানাতে চাইছিলাম
Posted in: February 2020, Poetry