রাহেবুল-এর কবিতা
০টি
“জানে ক্যা হোগা রামা রে
জানে ক্যা হোগা মওলা রে”
—জনপ্রিয় হিন্দি সংগীত
****
০টি হাত পাইনা
ক্রপ করেছি কপালের লিখন।
ক্রপ করেছি কপালের লিখন
তাতে যত সব রাষ্ট্রের চোদন
০টি হাত পাইনা
হাতড়ে চলি।
হাতড়ে বলি: উৎপাটন চাই।
(কীসের, কার, কেন— বলিনা কিছু)
ভয় পেয়েছি নাকি?
হে রামা, আতঙ্ক—
উলঙ্গরা রাজা, রাজপাট তাহাদের।
কানাইচরিত কাব্য:
কানাকড়ির খোঁজে নিখোঁজ কানু, রটে যায় এমন
আই/আম্মা/মা/মাও পাগলিনী হয় কানুর বা কারোর।
যদিচ সকল পাগলি ভাইরাল হয় না, যে হেতু হতে পারে না সেই হেতু।
ফিরিঙ্গি হতে চেয়েছিল এক দল কাকেশ্বর
চেয়ে ধ্যান নিমগ্ন হয়
তাহার পর প্রথম টুপি পরিয়েছিল যে একজনার মাথায়
কিংবা যে নিজে পরেছিল, শোভনীয় বলে হয়তো-বা।
এ সকল তথ্যাদি কালীঘাট টু করতোয়া কোত্থাও নাই
রাইট টু ইনফরমেশন মারফতও জানায়নি দয়াল
বলেছে: দেশের স্বার্থে তা পাঁচকান-দশকান হওয়া বাঞ্ছনীয় নহে, টপ সিক্রেট।
এইভাবে করতে করতে একদিন গূহ্যমন্ত্রের নিকটে গিয়ে দেখি, টাঁকশাল, যার মালিকানা মালিকের।
****
বিয়োজিত অংশ উদ্ধার: রাধিকাবালা পালা—
“বালা নাচো তো দেখি, বালা নাচো তো দেখি”
এইঢক করে বলছিল এক একজন শিং গজানো গব্বর।
গব্বর বলে (অমনটা সে মনে করে): “রাধিকা আমাদের মেয়ে।
তাহাকে রক্ষা করিবার দায় আমাদের। এবং রক্ষিতা করিবার অধিকারও আমাদেরই।
উহারা গণিমতের মাল (মেয়েদের মাল বললে শুনতে ভালো, শ্রুতিমধুর)”।
তাই বালা নাচে। রাধিকা নাচে। বোরখা পরেও নাচে।
(কানুর বাঁশি মরমে পশে না এখন রাধার। আদতে কেরল কী কাশী ফেরতা এক ট্রেনে মব-লিঞ্চিংয়ে মারা পড়ে কানু।)
****
“জানিনা সেই ঈশ্বর কেমন? ঐ যে মুল্লা চিৎকার করিয়া ডাকিতেছেন তাহার অর্থ কি? তোমার প্রভু কি বধির? হায় অতি ক্ষুদ্র কীটের চরণেও যে নূপুর বাজে তাহাও তিনি শুনিতে পান। মালাই ফিরাও, তিলকই লাগাও, লম্বা জটাই বাড়াও, তোমার অন্তরে শাণিত খড়্গ; —এমন করিয়া ঈশ্বর মেলে না”।
—কবীর (অনুবাদ: ক্ষিতিমোহন সেন)
Posted in: Cover Story, January 2020