জনজিৎ চক্রবর্তী-এর কবিতা

স্বাধীনতা

রাতভর্ত্তি ভারী ড্রাম বুকের উপর দিয়ে গড়িয়ে যাবার পর গান পারি না তেমন এই বজরায় আছি কাল আকাশপথে এক কিশোর ও মাস্টারমশাই নেমে এসেছেন গলায় কেন জানিনা মোটা রশির ছাপ ফিরিঙ্গিদের মতিগতি ভালো নয় দেবী ভবানীকে বার্তা পাঠান কিশোরটি দিনভোর পায়চারি করে মাস্টারমশাই নিমগ্নে পড়ে চলেন লাল মলাটওয়ালা গীতা মুন্সিকে দেখলাম গজার মাছের পিঠে সন্নেসীদের ডাকতে চলেছে ও হ্যাঁ তারপরই নোঙর বেয়ে কাশীপুর বরানগরের কিছু ছোকরা ভিজে লালবই হাতে উঠে এসেছে পাটাতনে এই গীতা আর লালবইয়ের মাঝে চতুর্থ মাত্রায় মা আবির্ভূতা হন মাস্টারের চোখ বেয়ে অনর্গল জল পড়ে আমি দেবীর ঘরে ঢুকে আপেরা গ্লাসে চোখ রেখে দেখি দূর তারার নিচে টুটাফাটা জীবন পেতে বসে পড়েছে যত খোঁড়া নুলো অন্ধ হাড়গিলে হাভাতের দল একটু পরেই নাকি সাদা ঝরঝরে ধোঁওয়া ওঠা ক্ষুধার অঝোর বৃষ্টি নামবে পরদিন থেকে চিরকাল তরল রক্তের ভোরে ভেসে চলেছে এই বজরা…

দেশ আমার

হাওয়া চিৎকার রক্তের ভিতর
পুঁতে রাখি তোমাকে
যাই দিগন্ত নিয়ে আসি
অরণ্য ফুরিয়ে আসে
ভিজে মাটিতে
স্নিগ্ধ দীর্ঘ পায়ের ছাপ
টানটান বোলানোর আগে
মৃত্যুর হাত মুচড়ে ছিনিয়ে আনা
তাদের একভোর হাসি
ফুটে আছে
আকাশ শহীদের শোকে নীল
হাওয়া চিৎকার রক্তে
রেখে গেলাম তোমায়
এই অনিঃশেষ
গাছ হয়ে পাহারা দাও
তুলো না
আমি দিগন্ত হয়ে ফিরব …

Facebook Comments

Leave a Reply