অস্তনির্জন দত্ত-এর কবিতা
প্রাণীবিতান
কুকুর
ফুলহাতা সোয়েটার পরে হাঁটলে নিজেকে শীতের ফসল মনে হয় , টাটকা ও ভারহীন যথাযথ এনপিকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। হেঁটে যাওয়ার রাত হচ্ছে, নির্জনতা হয়েছে আর কুয়াশা হয়েছে। ডিসেম্বরের একদম শেষে, মানুষ কমে গ্যাছে রাস্তায়।
কুয়াশা এক দ্বিপার্শীয় প্রতিসম এম্বয়ড্রারি বিশেষ বা ইভাপোরেশন যেখানে জলকণাগুলি স্ত্রীলোক ও ভিজে, মাদময়সল বলে টুপি খুলে ঝুঁকে পরে নিতে হয়, সে পেলব
এবং সে মানুষ কামিয়ে দ্যায়। সে গলির সামনে সাদা আলোর ভেপারে কিছু ভিক্স কিছু অম্রতাঞ্জন মিশিয়ে একটু টিউন কমিয়ে রাখে, ঘোলাটে করে রাখে, গলির ভেতর কুকুর। কুয়াশা জাত, নরম জড়সড় ঝুঁকে দেখলে মনে হবে কেউ যেন কাঠি দিয়ে সামান্য গুলিয়ে দিয়ে গ্যাছে।
জিরাফ
ডাক কমে গেলে মানুষ দাড়ি কাটে। আফটার শেভ মাখে। চান করে পরিচ্ছন্ন লিফটে ঢুকে যায়। ফ্লোরের বোতাম টিপে উঠতে উঠতে তার গলা কলারের ওপরে ঢলঢল করে। ডাক কমে গেলে মানুষের গলা বড় হয়ে যায়।
আর
জিরাফ ডাকতে পারে না।
ফলতঃ ভাষাতত্ববিদ হিসেবে এই এক প্রাণী মুখস্থ থেকে অনেক দূরে সরে পাতা খায়। ফল খায়। অনেক উঁচু থেকে দেখতে পায় নিম্নবুনিয়াদি, সয়াতুঁদ গাছ গোলাপি মরচে পড়া সেউ ! গ্লেজি ও বার্নিশ করা খানিকটা
নক্সা খানিকটা জাফরি কেটে জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে।
জিরাফকে জঙ্গলে জানালা মনে হয়।
মৌমাছি
বি কিপারদের নিয়ে আমার এক স্বাভাবিক কৌতূহল আছে। আমার তাদের আপাদমস্তক পলিথিন ঢাকা আস্ট্রনট মনে হয়। যেন চাঁদ থেকে তারা মৌমাছি চাষ করে মোম ও মধু জমায় ও বি কিপারদের ওপর মাধ্যাকর্ষণ খুব
একটা কাজ করে না আর যেহেতু মৌমাছি মেক্সিকান ওয়েভের এক থক থকে প্রাণী ও ওয়ার্কোহোলিক আমার আরও মনে হয় অই লিক থেকে মধু পড়ে।ঠাণ্ডায় সর্দি কাশিতে কাজে দেয়।
ফলতঃ
কোন মুমূর্ষু বা সদ্যজাতের মুখে এই মধু ফেলার স্ট্রাকচারটা যদি আমরা দেখি।
আমরা বুঝতে পারি, কিছু অক্সিজেন, কিছু হাইড্রোজেন কিছু কার্বন হাত ধরাধরি করে মিষ্টি হয়েছে।
Posted in: January 2020, Poetry