অনঙ্গদীপ বসু-এর কবিতা
“যত বলি নাই রাতি…”
আমি এক রণাঙ্গনে এসে পড়েছি আচমকাই
বসে আছি কোনো একটি হত্যা কিংবা জীবিকা
দেখতে চাই
আহির ভৈরব আর কোনোদিনও না-ও বাজে
যদি শ্মশানের মতন একটি
বিধ্বংসী অভিমান নিয়ে আমি
বেঁচে থাকতে চাই
প্রগাঢ় যন্ত্রণা যেনো দ্রিদিম ক্ষেত্র ধরে
ভেদ করে ফেলতে চায় খালের শিশির
ঘুম পায় দ্বিপ্রহরে
পায়রা হয়ে যেতে মন করে
শ্মশানের অন্ধকারে মিথ্যার যোনি
ছুঁয়ে জেগে বসে থাকি
সশব্দ শ্মশান বড়ো সুধীর হলেই
ভাবি, দেখা হবে
অগঠিত আহ্বানে জ্বলে উঠবে চিতা
কে কোথায় প্রাসঙ্গিক
মনে পড়ছে নতুন বাসায় ?
চোট
রাজস্থানির মতো কোনো এক ভাষা যদি
মাঝরাতে
ঘরে আসে কোনো রং ছুঁয়ে থাকতে ভয়
ভয় করে
বাসগুলো ধাক্কা মেরে চলে গেলেও
তাকিয়ে তাকিয়ে শুধু ভয়
ভয় করে
ভাষার কলঙ্ক-কলুষ
গায়ে এসে লাগে যেন
দগ্ধ অথচ ধর্মে স্তব্ধ করে দেয়
চারপাশে ওড়ে কতো দক্ষিণার টাকা
ভয় করে
বিধাতার নামে মুঠো শক্ত করে থাকি
পাথর, পাথর তীর্থে গলে গেলে নরনারায়ণ…
মদ খাই—
যদি এই অশক্ত কবিতার কাছে
কোনোভাবে সৎ থাকা যায়
চলতে কষ্ট হয়
বিড়ালের মতোন থাবা গুটিয়ে ঘুমাই
বিশ্বস্ত হচ্ছি বুঝি; ভয়
ভয় করে ॥
টান
ওরে বিষবৃক্ষের ফল
তোর হাতে পয়সা দিনু দুটো
দাখানি রজ্জুতে আমার টান
মেরে শিরা ছিঁড়ে আন
ওরে বিষবৃক্ষের ফল
আহুতি তো দিতেই পারি
সন্দেহ থাকে যদি প্রাণ
পেতে দেখাচ্ছি
এ’ আসনে আলপনা
এ’ আসনে রক্তসূর্যোদয়
আহির
ওই যে শাদা বাড়িটার গায়ে
গভীর সূর্যের আলো লেগে আছে
তার গায়ে লেগেছে একটি ঘোলাটে আকাশ
“ভাবছি তোমাকে একটি সুযোগ বুঝে বাদামি
বর্ণের কোনো গেঞ্জির ভিতর ভরে যত্ন করবো”
বৃহৎ বৃক্ষ যেমন তেমনই নিঃসঙ্গ বিকেলে
হিংস্র অথর্বজনে এইসব ছেঁড়া-ছেঁড়া কথা লিখেছিলো
যেভাবে মরেছিলেন ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ
কিছুতেই তেমনটা হতে দেওয়া যাচ্ছে না আর
অজস্র চোখের থেকে দূরে বসে রয়েছে আঘাত
সে-ও ক্ষমাপ্রার্থী যার অন্তস্থল থেকে রক্ত ঝরে না
Posted in: January 2020, Poetry