ধারাবাহিক গদ্য : সিন্ধু সোম
পর্ব-৪
রাজস্থান ডায়েরিস—৮
উহারা কি…! একটা প্রকাণ্ড কুঁজো মাল দাঁত বার করে ভ্যাঙালো অনেকক্ষণ। বোদমা পাহাড় আর অরক্ষণীয়ার বুকে ঢিল। ভেলভেটের স্বর্গরাজ্য। সফিস্টিকেটেড হলুদ বিস্কুট। ব্যোমকেশ হলে সোনা বার করা যেত। চেরা। বড় পাটালির মতো পা। বালির সঙ্গে তার মল্লযুদ্ধ। কেউ আঁকে বালি মোছে। কেউ কাঁদে বালি মোছে। জল এমনিই বাষ্প ভালোবাসে। জিগ্যেস করে দেখো। দিতি চোখ নাচিয়ে বললে, “কি? এমন করে জড়িয়ে ধরার আর ছুতো পাবে?” আমি হাসি। মরে যাওয়া হাসি। “ছুতো কথাটায় বড্ড ছুঁচো ছুঁচো গন্ধ যে দিতি!” দিতির চোখ ভাসে। দিগন্ত বড় বেশি নগ্ন এখানে। চোখ নামিয়ে বিস্বাদ জবরদখল বলে, “হবেও বা! আমার বড় হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে।” বিবাহিতা আমার জামার খুঁট ধরে দাঁড়ায়। দাঁড়িয়ে থাকে স্থানুর মতো। “কিছু বলবে?” বিবাহিতা সিঁদুর দেখিয়ে বলে, “বলার কথা বলাতে গেলে বলন লাগে, সময় আসে নি যে আজ!” “ও আজ আসবে না। কি একটা রয়েছে বলল গতির বাড়িতে!” কুঁজের চাপে ছড়িয়ে যায় রামায়ণ। আমি কুঁজটাই আঁকড়ে ধরি। বেলি ড্যান্স করতে করতে এগিয়ে চলে বাংলা।
নীচের ধূসরতা চুমু খেয়ে যায় বুকে। পরিচয় নেই। যৌনাঙ্গ নেই। মুখাবয়ব নেই। ক্যাকটাসের মতো সাদা ফুলের কাঁটায় দুঃখের পায়ের পাতা ছিঁড়ে যায়। তবু গন্তব্য কাঁটাতারে আটকায় না। দুঃখ পথিকরাজ। তার ওড়না নেই, আভিজাত্য আছে। বোতাম বলছে আজ কিছু একটা হবে। দিতির চুলের গন্ধে আমি পুরোন গন্ধ পেয়েছি। বাড়ছে। বাড়ছে। বালিতে হাওয়াতে ঢেকে যাচ্ছে পা। আকাশের অবয়বটা একবার কেঁপে উঠল। বালি। খস খস। নিরাবয়ব মূর্ত খোঁজে। আমি একদৃষ্টে তাকিয়ে আছি। আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে অতি বৃদ্ধ এক লোলচর্ম জন্ম। একক নয়। একান্তর। ছেঁড়া কম্বলের মধ্যে দিয়ে সে বাড়িয়ে দিল হাত। আমি শুনলাম যে সূর্যমন্ত্র একদিন কুন্তীর একান্ত আপন ছিল। “দাও”! নখ দাঁত বার করে ফালাফালা করে দিল আঙুল। দুটো অক্ষর। আমি গর্জে উঠলাম, “কেন দেবো?” এও চিরন্তনী। অহং। কন্দর্পের ভয় আমার আর বিসদৃশ লাগে না। বরং শক্তির দিকে আরো এক পা এগোই আমি। জন্মের একচক্ষু সাদা। নিটোল কীটের মতো সাদা। সে ধিক্কার দেয়। দিতে চায়। হারিয়ে যাবে? যায় না! বহুদিনের বসে থাকা কফের মতো সবুজ প্রসব-যন্ত্রণা। বলে, “যোগ্যতা যতটা বাধে, জোর তার বাইরের ঘাসের লোভ ধরায় প্রতিদিন। দিগন্তের শর্করা রক্ত। একটু নুন না হলে জন্ম জমে না বরখুরদার!” চলে যায়। চলে আসে। চলে গেল গলনাঙ্ক না জেনেই। আমি বোম্বাই ফিল্মের রিলে লেগে থাকা এঁটো নই। ঠোঁট কামড়াই। আর্তনাদ ওঠে না। ওঠে নি কোনোদিন!
বালি? ধুলো বরং। রাখ। খাক। পুরোন রেকর্ড বন্দী বৃষ্টি। “উঢ় উঢ়কে কহেগি খাক সনম”! পা বসে যায়। ফল্গুর রূপকথা-বুকে চেরা পায়ের ছাপ রেখে যায় থর। আমি দেখি দুটো পালক লাগানো শিরস্ত্রাণে দুইচোখ কান্না। হাতুড়ি তার সাপের রক্তে হারিয়ে গিয়েছে। দিগন্তের বুকে আগুন ধরিয়ে কাঁচুলি নিয়ে যায় একটা লাল কাপুড়ে বুড়ো। ছুপ ছুপ। ছুপকে। স্কুল পিরিয়ডের মাঝে দরজা দিয়ে উঁকি মারা ছাত্রের মতো। অত্যাচারের অপেক্ষায় থেকেই স্বাধীনতা তারিয়ে খায় চোখ। চোখের নিচে গাড়ির চাকার দাগ। উটের গাড়ি। বাবলা গাছের ছায়ায় রঙ টানে সাদা কুর্তি কুর্তা। জীবনের বৃষ্টি তার চেটে নেওয়া বাকি। দিতি আর আমার মাঝে জন্মের দূরত্ব বাড়ল। আমি আবিষ্কার করি। না করলেও করি। বিবাহিতা এখানে নেই। ছোটবেলার মতো সে মরুর তীরে অপেক্ষা করছে। ছলাৎ ছলাৎ। বাষ্পবোঝাই বৈঠা পড়ে। কেটে আসে গর্ভপাতের ভয়। অলক্ষ্যে।
ঠক্ ঠক্ ঠক্। দরজা নয়। এখানে সবটাই দরজা। ঘরে আসার অনুমতি নেওয়া অভদ্রতা। বুড়ো হাড়ের কড়া। সোনার ডাঁইয়ে চাপা পড়ে ছটফট করছে। ঐ এক ডাল। ঝুঁকে আছে প্রশ্নে। এতক্ষণে চোখে পড়ে। একটা দড়ি ঝোলে। বাঞ্জারার লাশ হয় না। কাফনের মশাল ধিকি ধিকি ধিকি। দড়িতে দোল খায় দিতি। নীলকন্ঠি। টুপ টুপ। কষ বেয়ে লাল। বালির সংকর্ষণ বাড়ে। আঠার মতো প্রযুক্তি লেগে থাকে ঠিক নীচটায়। বাড়ানো পিচের রাস্তার মতো জিভ তার। কয়েকটা আফ্রোদিতে ভন ভন করছে প্রযুক্তির জিভের চারপাশে ক্রমাগত। দিতির ছায়াটা দীর্ঘ হয়ে আমার জুতোয়। পা হড়কে বালিয়াড়ির গোড়ায়। ধুলোর রঙ লাগল ক্যানভাসে। ওলটানো চোখ জরির পাড় বেয়ে প্রশ্ন করে, “আসবে তো?” আমার প্রায় নুয়ে আসা বাঁশিকৃত বোধ জোব্বার সুরে বলে,
“…সখী সীদতি তব বিরহে বনমালী।।
দহতি শিশিরময়ূখে মরণমনুকরোতি।
পততি মদনবিশিখে বিলপতি বিকলতরোহতি।।
ধ্বনতি মধুপসমূহে শ্রবণমপিদধাতি।
মনসি বলিতবিরহে নিশি নিশি রুজুমপযাতি।।”[1]
একা একটা ইজেল। টুল ছেড়ে আমি উঠে দাঁড়ালাম। ক্যানভাসের ক্লিভেজ অবধি হাওয়া। চোখের পর্দা। সরে না। সোঁ সোঁ শব্দে পুরো দৃশ্যটা কোনাকুনি খুলে গেল। পায়ের কাছে। পিছনে ধুলোর ঝড়। ধাক্কায় ফিরিয়ে দিচ্ছে অন্তরাল। হাতের দেয়াল টপকে যতটুকু আলো। পাঞ্জা মারা। এগিয়ে চললাম। কে যেন ‘চেনা’-র সংজ্ঞা দিতে গিয়ে হারিয়ে গেছিল। এগোনোটা পওরওস আর পেনিয়ার ফুলশয্যায় শেষ হয়েছে চিরটাকাল। সানসেট পয়েন্ট। ঝোপঝুপে খ্যণ্ডার। গরুর গলার কাছে কাঁপছে চামড়া। আমিও ধূসর। পা বলে, “কখনও তো এলেনা মেঘে!” আমার চোখের পাতায় তুলি। রঙ করে দেব ভেবে তাকাই। দেখি পা আমায় ছেড়ে মরুভূমির ঘরে গিয়ে উঠেছে কত জন্ম আগে। চশমা চাপা ভুরুতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। বিবাহিতা দীঘল চোখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তার পর রোদ বেয়ে এগিয়ে যায় উদ্দামতার ছায়ায়।
এমন কিছু বিন্দু। এমন কিছু অসমতল। এখানে আপতিক শব্দার্থ বসে সাদায় মোড়া বৃদ্ধ সেজে। কখনও কখনও আমিও আসি। বহুজন্ম। কেন আসি? বিড়ির আগুনে উন্মাদনা। ধীরে ধীরে ধূসরতায় ডুবে যায় বাস্তব। অপেক্ষায় আছি আমরা। পা দুটো হারিয়ে গেছে। আমি একটু আঙুল সেঁকি। উটের পিঠ থেকে থরে যদি বিবাহিতার সিঁদুরে মেঘ আসে। পা আমার বাড়ি আসবে। ঠিক আসবে। বুড়ো আঙুল অবধি ঘোমটা টেনে। এখন রোদ চাইনা। স্বার্থপর বুড়োর চোখ আর যৌবনের উদ্দামতা ভাষা পেতে একটা মরুভূমির সূর্যাস্ত লাগে। একটা সম্পূর্ণ সূর্যাস্ত…
আলোকলেখ্য—স্বয়ং
২৫শে অক্টোবর ২০১৮
সকাল ৯টা ৪৩
ক্লান্ত অবধূতের জমিন দেখেছ কোনোদিন? বিবাহিতা তার সন্দর্ভক্রান্তি বিস্মৃতির তলায় জবান-বন্দী গুন গুন
দিগন্তেরা ফিরতি পথে বাড়ির আনাজ ছোঁয়। কে কার দ্রাঘিমায় বল অপেক্ষার শীতলতা ঢালে!
রাজস্থান ডায়েরিস-৯
কালকের উড়ে যাওয়া পাতা আজকের জানলায় উড়ে আসে কখনও সখনও। ঢুকতে পায় না। জমি গুছিয়ে রেখেছে গরাদ। কেউ ডাল কেটে রেখে গেছে। হলুদ পাতা। সোনালী দুপুর বাসের চাকায় সন্ধের তেল হয়ে নামে। বাড়তিতে প্রদীপ। আকাশে মেঘের চিলেকোঠায় কোঠা সাজিয়ে বসেছে বুড়ো বাইজি। তার কাছে দাবি নিয়ে আসে না অদিতি। দিতির নখে অন্ধকার ছিঁড়ে এসেছিল কখনও। ফুটিফাটা চাদর। ঝুরি ঝুরি। সুতোয় ফসল লেখা থাকে। চোখ চলে না। বুক চলে না। শনের মতো চুলের বাইরে ঘোলা ঘোলা যন্ত্রণা। শরীরে নখের দাগ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। অবসর। টানতে থাকে। কোলের শিশুর মতো চুম্বক আঙুল তার। বৃদ্ধার গর্বের দিন। আনন্দের স্মৃতি। আজ চাঁদোয়ায় চাঁদ বসে না। শিকলের মরচে একা একা দাগ কাটে ঝরে আসা খাঁচার উপরে। বসার বয়স। তবু পায়ে আড়মোড়া ভাঙ্গে। এক দুই তিন। ঠাঁই দাঁড়িয়ে পা কনকন। পরশুর ফেলে যাওয়া নাড়ু। একটু বাসি রঙ ধরেছে। তিনপায়ের চোখে পড়ল। ঝপঝপ। বিবাহিতা শিউরে উঠে আমার পিঠে চিমটি দিল।
“করুন চিলের মতো সারাদিন ঘুরি
ব্যথিত সময় যায় শরীর আর্তনাদে, যায়
জ্যোৎস্নার অনুনয়; হায়, এই আহার্যসন্ধান।
অপরের প্রেমিকার মতন সুদূর নীহারিকা,
গাঢ় নির্নিমেষ চাঁদ, আমাদের আবশ্যক সুখ।”[2]
রোদের পায়ের ছাপটুকু জড়িয়ে বালি সরে গেল। আমি নেমে গেলাম বেশ খানিকটা। ধুলোর ঝড় এখন পড়ো পড়ো। বাষ্পের দেয়াল। সমাজ বলে,”ধুলো মানেই রাস্তা।” এতবড় পায়ের পাতা নেই তার। থেকে থেকেই সূর্য দেখতে গিয়ে চাঁদ দেখে ফেলাটা দোষের নয়। তবে চাঁদের কাছে তেল টেল চাওয়াটা……। মরুভূমির ওপর দিয়ে মেঘেদের ওভারব্রিজ দিয়ে একবার দিতির খবর নিতে আমাকে যেতেই হবে চেতকের পিঠে। পায়ের মান ভাঙাতে। তৃতীয় পায়ে গতি পায় জীবনের আবহ। লেংচে লেংচে। কে? রোদের মুখ ভার। বলে, “ক্ষয় ক্ষয়। যক্ষার ওপার থেকে আজ একটা গাংচিল এসেছিল। চোখের আওয়াজে ঠোঁট ফুটে যায়, “নামতা শোনার স্বপ্ন এখনও দূর ভাই! কুচকাওয়াজের প্রতিজ্ঞায় ঘুঙুর পরিয়ে গেল কেউ। এবার তো এগোতেই হবে!” রোদ পায়ের কাছে বসলে হাঁটু গেড়ে। বললে, “তা হবে। হলে কিন্তু গাল দিবিনে বলে রাখলুম!” “জবরদখলে গাল খেতে অভ্যস্ত হ ভাই, ওরকম অর্ধচন্দ্র দিলেই তবে জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা আসে।” কিছু বললে না। বলার ঝুলি উপুড়। ঘুঁটেকুড়ানিয়া মৃদু আলতায় যায়। যায়। যায়। যেতেই থাকে।
বুড়ির কোঠায় পাথর কোঁদা নকশা। কাশির সারেঙ্গীতে ঝঙ্কার ওঠে। একটু গুছিয়ে নিতে চায়। বোধহয় সময় এল। উঁচু ঢিপ নক্সার চৌর্যবৃত্তি দূর থেকে মহলের মতো লাগে। হোলির দিনে সিঁদুরে জোৎস্না। আলপনাদিকে রঙ্গে আঁকতে গিয়ে বিদ্যুৎ। ভেজা পাহাড়ের উপরে ওপর দিয়ে আমি নমনীয়তা ঢেলে দিচ্ছিলাম। আলপনাদি তাকিয়েছিল। গলিয়ে দেওয়ার মতো বিচ্ছুরণ। আরামের আশ্বাস। আদরের হাতেখড়ি প্রকৃতির অসীম ব্ল্যাকবোর্ডে। অথচ হিসাবের খাতায় তখনও গেরোর বাঁধুনি পড়েনি। “এই!” সময় আমার জামাটা আলতো একটু টানে। সোজা করে। ভুরুর ঢেউ। আয়নায় নিজেকে দেখা যায় না। নিজেকে দেখতে একজোড়া মরা চোখ লাগে। আমার চোখ ধূসর এখন। মরা ছাগলের মতো ঘোলাটে। সময় নাকে নাক ঠেকায় এগিয়ে। বলে, “এই টিপটা দেখেছ? কেমন লাগছে গো? মৃত্যুর কাছাকাছি হতে পেরেছি বলো!” আমি বললাম,”টিপে ভানুসিংহ ছুঁলে, নিজেকে গঠন করার ক্ষুদ্রতা থাকা চাই। তোমার অস্তিত্বই যে ক্ষয়ে!” নাকের পাটা ফুলে উঠল। বুর্জোয়া দাঁতে শোষিত হল অধর। একগাছি চুল হাত দিয়ে সরিয়ে দিলাম কপাল থেকে ওর।
বুড়ির সিঁথিতে সিঁদুর। আমি জানি ওর বিয়ে হয় নি। দুরু দুরু। ঝুলে এসেছে ছন্দ। প্রশস্ত রাজপথ। ঐ লাল পথ অপেক্ষার। দিগন্তের নক্সীকাঁথায় ছলকে ওঠে সুতো। ফাঁসে লেগে থাকে দিতির মতো মৃতদেহ। সন্ধ্যাসঙ্গীত। পোড়া চুলের পোড়া মন। ছলনা তার এখনও ফেরেনি বাড়ি। চুলের শরীরের ভাঁজে জড়িয়ে থাকে সর্ষেফুলের কানের। হাতের ছাপে দাসখত। ভাঙা পথের ধুলোর নিবেদন। নিবেদিতা সবার অলক্ষ্যে প্রণাম করে। নিজের শয্যাকে। আকাশ তার চাদরে ঢাকে মুখ। রক্তে ভেজা রাণুর বুকে সমস্ত রাত্রি জেগে থাকেন ওকাম্পো। অন্য প্রেমিকের বার্তা। আমি এগিয়ে চলি একলা। পায়ের মান ভাঙে। এ সূর্যাস্তের সাক্ষী থাকে কোজাগরী। রক্তপথ ভিনগ্রহের প্রাণীর মতো চকচক করে। চখার চোখে চাখার চাঞ্চল্য। সাতসমুদ্র পাহাড় পেরিয়ে এসেছে বালি। ডানা। কাঁথা ছুঁড়ে মারতে এখন ভুলেছে বাঈজী। পিল পিল পিল পিল। ধুনুচি নাচ। রাজার সৈনিকেরা এখন দক্ষিণারঞ্জন ছেড়ে সরকারী খালাসিটোলায়।
“আসুন, আমরা আর একটা পৃথিবীর খোঁজে বেরিয়ে পড়ি বাসপোযোগী মানুষ সে আর একটি প্রাণহীন তাপদগ্ধ সৌরগ্রহে অবৈধ মুদ্রা-ধার অভিযানের মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে এবং ভালোবাসাহীন মানুষ কোনোকালে চাঁদে বা মঙ্গলগ্রহে গিয়ে স্থায়ীভাবে বাস করতে পারবে না।”[3]
একটাই স্বপ্ন। দিতির কষ বেয়ে আসা রক্তের আপতনে আমি শব্দ ছুঁড়ব না। লালকমল নীলকমলের সুরে একটা পাঁচালি কাটব। বিবাহিতা রূপকথা ভাববে। সময় রূপকথা ভাববে। সবাই রূপকথা ভাববে। আসল কথাটা মরুভূমির বালিতে পা পেড়ে বসে আমি আর নচিকেতা ঘোষ আলোচনা করব আখেরনের কাছাকাছি আরেকদিন। এমনই সোনালী জোৎস্নায় ভেসে যাবে দিতির লাশ, আর খানিকটা কাম্য নিস্তব্ধতা…
আলোকলেখ্য—স্বয়ং
২৫শে অক্টোবর ২০১৮
সকাল ১১টা ১৫
ধবলতা সময়ের গয়নালি তানপুরা মাটি, ধাপ গোনে যতদূর হাতির দাঁতের হাতিথাম, অস্থি সে অস্তি জানে না
লালচোলি পালিকার নগর কাঙালি সতী শুন সর্ব্বোজনে, এমন ঘাটের পারে কদম্ব ফুল কিছু কুড়াইয়া নিও
_________________________________________________________
[1] জয়দেব।
[2] বিনয় মজুমদার।
[3] শৈলেশ্বর ঘোষ।
Posted in: December 2019, Prose